পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধকারের দেবতা । কাজেই হোন্ডারের হস্তে বল ডারের মৃত্যুর অর্থ প্রতিদিন দিবাবসানে স্বৰ্য্যের অস্তগমন এবং অন্ধকারের আবির্ভাব ; অথবা উত্তর প্রদেশের স্বল্পকলস্থায়ী গ্রীষ্ম ঋতুর অবসানে সুদীর্ঘ শীতঋতুর আগমন । ভোডারের হন্তে মৃত্যুর অর্থ যেন অন্ধকারের আগমনে আলোকের পরাজয়—শীত-ঋতুর আবির্ভাবে বসন্তের ভিরোপান। ভ্যালির হস্তে বলডোরের হত্যার প্রতিশোধের আপ নিশা বসানে স্বৰ্য্যের পুনরুদয়, শীতাবসানে আবার সুসস্তের আবির্ভাব । শীতঋতুতে চারিদিকে সমস্ত জমিধ তুষার হইয়া পড়িয় থাকে, শীতের পরে বসন্তের আগমণে চারিদিকে তুযiর গলিতে আরম্ভ হয়, তখন বৃক্ষ-পল্লব, এমন কি প্রস্তরদি ইতেও জল ঝরিতে থাকে, শুধু কয়ল। মাটির অনেক নীচে থাকে বলিয়। স্পশ করে না । তাহাকে তুষারের শৈত । তাহার মধ্যে সিক্তভার ভাবও কিছু দেগ; যায় না । সেইরূপ বলডোরের পুনরাগমনের আশাঃ সপলেই আশ্রমোচন করিল—বৃক্ষ-পল্লব প্রস্তরাধি পুয্য কু-এক বাকী রহিল দানবী থকৃ—মে এক হিসাবে ・リ 空エリ | ফুলি Yoዓ এই কাহিনীর নৈতিক হিসাবে একটা - ব্যাখ্যাও আছে—বলড়ার এবং হোডার স্বেরূপ বিরুদ্ধপ্রকৃতির, তাহারা যথাক্রমে পুণ্য এবং পাপের প্রতিরূপ বলিয়। কথিত আর লোকী হইল মায়া ব। পাপের মোহ যে সকলকে ভূলাইয়া পাপে প্রবৰ্ত্তিত করে । বল ডারের উদ্দেশ্লো কতকগুলি উৎসবের ও প্রচলন হইয়াছিল তাঙ্গার মধ্যে প্রধান ছিল দক্ষিণায়নে যেদিন দিনমান বংসরের মধ্যে সকলের ছেয়ে বড় সেই দিনে । তাহারা প্রতিবৎসর এই দিনটাকে বলডারের মৃত্যু এবং পাতালপুরী প্রবেশের দিন বলিয়। গণনা করিত ; প্রাকৃতিক হিসাবেও এই দিন হইতেই দিনমানের পরিমাণ কমিতে অrরস্ত করে । উংসবের অঙ্গ ছিল বাড়ীর একত্র হইয়। নানা-প্রকার আমোদবাঞ্জি-পোড়ানো, ইত্যাদি । এই উৎসব মিড, সামাস ইভ, বলিয়৷ খ্যাত ছিল ; এখন খ্ৰীষ্টীয় যুগে মিড সামাস ইভ—সেন্ট জনস্ ড়ে'তে পরিণত ইইয়াছে । マ秀 বাহিরে সকলে

  • {f&ífù,

ফুলি শ্রী কিশোরীলাল দাশ গু

  • <াম, শীগগির আয়ু” বলিয়া দশ ،4.ىfiژ মেয়ে রামচরণের হাত ধরিয়া টানিতে আরম্ভ করিল। রামচরণ বিস্মিত হইয়া বলিল, “কিরে, ফুলি ?”

“দেখ পি এখন” বলিয়, ফুলি তাহাকে একরকম টানিয়া আনিয় তাহাদের একট। আমগাছের নীচে খাড়া করিল । রামচরণ এক কটুকায় তাহার ইতি বছরের ছাড়াইয়া লইয়া বলিল, “দুর ছাই, বল ন৷ “ক y” ফুলি, কোন কথা না বলিয়, আমগাছের একটা ૨૭-Q. উচু ডালের দিকে আঙ্গুল তুলিয় রহিল। রামচরণ, ফুলির আধুলের লক্ষ্য অনুসন্ধান করিয়া উকিঝুকি দিতে লাগিল, কিন্তু কিছু দেখিতে ন পাইয়া বলিল, “পাখীর বাস ?” ফুলি, অবজ্ঞায় তাহার গায় একটা ঠেল| দিয়া বলিল, “তুই কাণ নাকি ? দেখছিস নে ?”, রামচরণ, ফুলির চার বছরের বড় সুতরাং গাম্ভীৰ্য্য ও সহিষ্ণুতা ফুলির চেয়ে তাহার বেশী নছে । ফুলি তাহাকে কাণ বলিতেই সেও রাগিয়া বলিল, “তুই বোবা নাকি ? বলতে পারিসনে নাকি ?”