পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ዓbo ফুলি, এবার একটু নরম-স্বরে বলিল, “ভালো করে চেয়েই ভাখ, না ?” রামচরণ, সমস্ত দেহটাকে আঁকাইয়া-বাকাইয়া, মাথাটাকে চারিদিকে ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া, কৌতুহলী চোখ দুইটি দিয়া পাতার মধ্যে খুজিতে লাগিল। হঠাৎ তাহার চোখ দুইটি প্রদীপ্ত হইয়া উঠিল। সে হাসিতেহাসিতে বলিল, “দেখেছি রে ফুলি, আম!” ফুলি, সগৌরবে বলিল, “কেমন ?” তখন আষাঢ় মাসের শেষ। সে-অঞ্চলের আম অনেক দিন হইল ফুরাইয়া গিয়াছে । বিশেষতঃ ফুলিদের এই সিদূরে গাছটার আম, ছেলেদের এমুনি প্রলোভনের ছিল যে, কেবল সি দূরে রঙের গৌরবে পাকিবার অনেক পূর্বেই একেবারে নিঃশেষ হইয়া যাইত। তবুও ছেলে-মেয়েদের অমুসদ্ধিংস্ক ও প্রলুব্ধ टि वस्रांशुंभ। একটি আম যে তখনে আত্মরক্ষা করিতে পারিয়াছিল, তাহা খুবই আশ্চর্য্যের বিষয় এবং ফুলি যে সেটিকে আবিষ্কার করিতে পারিয়াছে, তাহাও তাহার পক্ষে কম গৌরবের কথা নহে । রামচরণ আমটি দেখিয়াই তাড়াতাড়ি গোটা-কয়েক চেলা কুড়াইয়া আনিল, কিন্তু পাতার আড়ালে, বহু উঞ্জে স্থিত আমটিকে ঢেলা ছড়িয়া পাড়া যে মৎস্যলক্ষ্যভেদ করা অপেক্ষাও কঠিন, তাহী সে বুঝিতে পরে নাই। তাহার সব কটা ঢেলাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হইল । ফুলি বিরক্ত হইয়া বলিল, “গাছে ওঠন।" রামচরণ নিতান্ত তাচ্ছিল্যের সহিত বলিল, “উঠছি আর কি ! যে মাদালি গাছে, আমায় খেয়ে ফেলুক্‌ ৷” ফুলিও তাহার স্বরের অন্থকরণ করিয়া বলিল, “মাদালিই ত—বাঘ ত আর নয়। অমন দু’চারটা কামড় আমিও সইতে পারি।” মেয়ে-মানুষের কাছে, পুরুষ মাম্বব কিছুতেই পরাজয় স্বীকার করিতে চায় না—সে বালকই কি, যুবকই কি । রামচরণের আত্মমৰ্য্যাদায় আঘাত লাগিল। সে অমূনি बलिग्रा उठेित्र, “वांभिe *ोमेिं " তখন সে মাদালির কামড় উপেক্ষা করিয়া গাছে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড উঠিতে লাগিল। মোটা ডাল ছাড়াইয়া যখন সে অতি উৰ্দ্ধে, সরু মগডালে যাইয়া উপস্থিত হইল, তখন ফুলির ভয় হইল। সে রামচরণকে সাবধান করিয়া দিবার জন্য বলিল, “দেখিস, পড়ে যাস্নে যেন ।” “পড়ি ত পড়ব” বলিয়া রামচরণ, তাহার পড়া যে অসম্ভব, তাহ ফুলিকে বুঝাইয়া দিবার জন্য পায়ের নীচের ডালগুলিকে এক-একটা ঝাকুনি দিয়া উঠিতে লাগিল । হঠাৎ মড়াং করিয়া একটা শব্দ হইল । তার পর পাতার মধ্য দিয়া হুড়মুড় করিয়া রামচরণ, ধুপ, করিয়া, ফুলির সামনে মাটির উপরে আসিয়া পড়িল । “ওগো, শীগগির এস, রামা গাছ থেকে পড়ে' গেছে” বলিয়া চেচাইয়া ফুলি সঙয়ে রামচরণকে যাইয়৷ জড়াইয়া ধরিল । রামচরণ জেলের ছেলে, বেশ শক্তসমর্থ। আঘাতটা খুব গুরুতর হইলেও সে উঠিয়া বসিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু পারিল না। সে ফুলিকে বলিল, “ডান হাত আর পাটায় বডড লেগেছে রে ফুলি, আমি উঠতে পারছি নে।” ফুলি, কাদিতে-কাদিতে বলিল, “আমিই ত তোকে গাছে উঠতে বলেছিলাম।” রামচরণ, তাহাকে আশ্বাস দিবার জন্য বলিল, “আমি কাউকে তা বলব না রে, ফুলি। তুই ছুটে যা, বাবাকে ডেকে আন ।” ফুলি, উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিয়া যাইয়া, রামচরণের বাবাকে ডাকিয়া আনিল । ( २ ) গায়ের ডাক্তার নিধিরাম, রামচরণকে দেখিতে আসিল । নিধিরামের ডাক্তারিতে যে বিদ্যা কত দুর তাহার কোন নিদর্শন ছিল না। কোন ডাক্তারী স্কুল বা কলেজে তাহার পড়া ছিল, তাহাও কেহ জানিত না। তবে কিছুদিন সে কলিকাতায় ছিল । তাহার পর দেশে আসিয়া ডাক্তারি আরম্ভ করিয়াছিল । নিধিরাম, রামচরণের হাত ও পা পরীক্ষা করিয়া বলিল, “হাতের এলবা-জাইন (Elbow.joint) আর পায়ের আঙ্কেল-জাইনের (Ankle.joint) ভিজুলোকেসন (dislocation) KGICs I”