পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏱbᏉ8 জেলার-বাবু মিষ্ট হাসি হাসিয়া বলিলেন, “যতদিন রামচরণ পালাস না পায়, আমার বাড়ীতে থাকৃতে পারিস। প{জকৰ্ম্ম এমন কিছু ময় স্বপে থাকৃবি ।” জেলার-বাবুর ইঙ্গিত বুঝিয়া ফলি লজ্জ ও ঘৃণায়ু মুখ ফিরাইয়৷ এছিল । বাবু তখনি ওয়ার্ডারকে হুকুম দিলেন, “ওকে শুপুঞ্চি চলিতে দাও।” শুরুপি কোট অপেক্ষ। এ-কাজটা সহজ । মুrsাদের উপরে জেলার-বাবুর বিশেষ অল্প গ্রঞ্চ তাহারাই এ-কাজ পায়। বাবু চলিয়া যাইতেই পুরানো মেয়ে-কয়েদীদের মধ্যে বেশ-হাসির ধূম পড়িয়া গেল। একজন বলিল, “ফুলি, ভেীর বরাতী জোর ” আর-এক জন গু হু!র ভ্রমসংশোধন কবিয়া দিয়া বলিল, “রূপ-ধেীবনের জোর ” রূপ-যৌবন লইয়া ফুলি বিত্রত হইয়া পড়িল । এ রূপ-যৌবন সে এড়াহবে কেমন করিয়া ? বড়-বাপুর মজর পড়িয়ছে দেখিয়া, পাহারাগুয়াল ও ৪য়াডারের দল সাবধান হুইল । ফুলির সঙ্গে রসিকতা করা তাঙ্গণরা বন্ধ করিল। তাহার পর হইতেই ফুলি দেখিল, তাহার রসদের অনেক পরিবর্তন হইয়াছে । ডাল, ভাত, তরকারী, মাছ সে যাহ! পাঠত তাহ অন্য কয়েদার মত নহে । জেলে সপ্তাঙ্গে একদিন দুধের বন্দোবস্ত আছে, কিন্তু তাহা কাগজে-কলমে। ফুলি কিন্তু ভাই ঠিকই পাইত এবং ঘেটুকু পাছত তাহ। নিলোঁ। এ-আদর যে কেন, ফুলি বুঝিয়াছিল। এই আদরের ভাতব্যঞ্জন তাহার মুখে উঠিত না । সে ঘৃণায় শুধু তুষ্টটি ভাত খাহঁত, আর সব ফেলিয়া দিত । এমনি করিয়া দুইটি মাস কাটিয়া গেল । ধোঁধন সে থালাস পাইল, সেদিন জেলার বাবু তাহাকে আদর করিয়া বাড়ীতে লইয়। গেলেন। কিন্তু ফুলি সেইদিনই সকলের অলক্ষো সেখান হইতে পলাইয় গেল । অনেক কষ্টে সে বাড়ী ফিরিল । আসিয়া দেখিল, প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড তাঙ্গার ঘরখানি মাত্র আছে, আর কিছুই নাই। তাহারি মধ্যে মাথা গুজিয়া, কোন মতে সে স্বামীর অপেক্ষায় দিন কাটাইবে স্থির করিল। কিন্তু দিন কাটানো ভাঙ্গার পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল । গ্রামের দুষ্ট লোকের।. তাহাকে এমনি উৎপীড়ন করিতে লাগিল যেন তাহার চরিত্র বলিয়া কিছুই নাই । স্ত্রীলোকের সতীত্ব, লজ্জা, মর্য্যাদ, সব BB BB BBB BBBB BBB BBB S BBBBS চাদ এখন তাহাকে দশজনের সাক্ষাতেই অপমান করিতে লাগিল এবং সে অপমান দশজনে যেন উপভোগ করিতে লাগিল । ফুলির জীবন দুৰ্ব্বহ ইয়া উঠিল । সে লি শ্রিয়, রূপঘেীবন লইয়া তাসার বাচিয়া থাক। চলে না । সে স্থির করিল গলায় দড়ি দিয়া মরিবে । কিন্তু তাহার স্বামী যখন ফিরিয়া আসিলে, কে তখন তাঙ্গাকে খাওয়াইবে এই চিন্তাই তাহাকে কাতর করিতে লাগিল । সে ভাবিতে লাগিল, স্বামীর কি কুগ্ৰহ হইয়াই সে জন্মিয়ছিল । তাহারি জন্য রামচরণ এমন অক্ষম হইয়াছে—তাহারি জন্য সে তন বছরের জন্য জেলে গিয়াছে । সব দিক দিয়া একটা প্রবল ধিক্কার জাহার মনটাকে বিভ্রান্ত করিয়া তুলিল । লে-দিন সে মাছ বেচিতে বহির হইল ন;—সমস্ত দিন কিছু খাইল ও না । সে ভাবিয়া-ভাবিয়া ঠিক করিল, মৃত্যুভিন্ন নিস্কৃতির পথ নাই । প্রায় দীঘ তিনটা বছর বাচিয়। থাকা - না, তা আর হয় না । ধরের মধ্যে কতকগুলি জালের দড়ি পড়িয়া ছিল, তাহারি একগাছ লইয়া সে ধরের চালে ঝুলাই দিল বং তাখার পর তাও নিজের গলায় পরাইয়া দিয়৷ পৃথিবীর সমস্ত লাঞ্ছনা হইতে নিদ্ধতি পাইল । পরদিন আবার পুলিশ আসিল—আবার ফুলিকে থানায় লইয়া গেল। পথে-ঘাটে ফুলির কত কুখ্যাতি রটিল, কিন্তু কি অভিমানে যে ফুলি চলিয়া গেল—কত-বড় একটা ধিক্কার যে সে পুরুষ-চরিত্রের উপরে দিয়া গেল, তাহ কেহ একবার ভাবিয়াও দেখিল না । إگه