পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমেরিকান মহিলা শ্ৰী অমলকুমার সিদ্ধান্ত, এম্-এ আমেরিকান মেয়েদের কথা, কোন বই বা অপরের কথার উপর নির্ভর না করে নিজে যা দেখেছি, তাই লিপিবদ্ধ করতে চেষ্টা করব । স্কুল, কলেজ, সামাজিক সম্মিলনী, স্কাউটিং, বাগানের কাজ, গৃহ-মার্জন ইত্যাদি নানা ব্যাপারের মধ্যে দিয়ে আমেরিকান মহিলার জীবনের সকল দিকই কোনওন-কোনও ভাবে কিছু-কিছু দেখেছি ও দেখছি । এপর্যন্ত যা দেখেছি তার মধ্যে ‘মলদ’র চেয়ে ‘ভালো’র ভাগই বেশী ; তাই ‘ভালো’র দিকুট। একটু স্পষ্ট করে দেখাতে চেষ্টা করব । ভারতে আমেরিকান মহিলা-সম্বন্ধে অনেক-কিছু শুনতাম, এখানে এসে নিজে দেখে’-শুনে বেশ বুঝছি ধে, দুই-একটা জিনিস দেখে হঠাৎ সমগ্ৰ জাতির সম্বন্ধে একটা সাধারণ মত প্রকাশ করে বসতে জগতের সকলেই সমভাবে পটু। - যেমন ভারত-ফের্তা একশ্রেণীর লোক এদেশে বা বিলাতে ভারতের ‘মলদ’ দিকটা সঙ্গে নিযে আসতে বেশ পটু তেমনি আমেরিকা-ফেরত ( বিশেষতঃ বৃহৎ সহর-ফেবৃত। ) এক শ্রেণীর লোক ভারতে ফিরে’ আমেরিকার ‘ দক্‌ ছাড়া আর কিছু নিয়ে যেতে সম্পূর্ণ অক্ষম। উভয় ক্ষেত্রেই কতটা যে অন্যায় করা হচ্ছে তা সব সময় আমরা বুঝিনে । ভারতের সঙ্গে আমেরিকার তুলনা করা একেবারেই সহজ নয়। ইতিহাসের দিক থেকে কেবল নয়, সব দিক্‌ থেকেই এই দুই জাতির মধ্যে একটা পার্থক্য দেখা যায়। অবশ্য অনেক দিক থেকে সমতাও দেখা যায়। এক-কথায় বলতে গেলে এদেশের মেয়ের মুক্ত বায়ু ও আবহাওয়ায় থেকে, নানা দিক থেকে স্ববিধ পেয়ে ও তাহা তৎক্ষণাং গ্রহণ করে বেশ একটা নূতন জগতের স্বষ্টি করেছে। প্রতিভা ও মনীষার ক্ষেত্রে, সামাজিক মিলন-ভূমিতে, এবং আর্থিক ও রাজনৈতিক حA. ۔ایس۔ دء ح জগতেও মহিলাদের প্রভাব বেশ দেখা যায়। কলেজে, তর্ক-সভায়ু, শিল্প-সমিতিতে, পাঠাগারে সর্বত্রই মহিলাদের প্রভাব দেখেছি। দোকানে জিনিস বিক্রয় করার ক্ষেত্রে, ংবাদপত্রের খবর-সংগ্রহ ও চালনা-ব্যাপারে, পৰ্য্যটকের কাৰ্য্যে এবং মনস্তত্ববিদের ভূমিকায় মহিলাদের সংখ্যা অগণ্য ; এইসব কাৰ্য্য-ক্ষেত্রগুলি ইহাদের দ্বারাই পূর্ণ। একদিন এক দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করি, “আপনার জিনিস বিক্রি কপূতে মেয়েদের রাখেন কেন ? উত্তরে তিনি বললেন, “মেয়েরা সহজে ও শীঘ্র জিনিষ বিক্রি করতে পারে -ত ছাড়া ব্যাবসায়িক সহজ বুদ্ধি আমাদের মেয়েদের খুব বেশী । নিজেদের কাজটা ছেলেদের চেয়ে বেশী সাবধানে ও পরিষ্কারভাবে এর কবৃতে পারে ।” এই উত্তর শোনবার পর নিজে দেখেছি সহরের বডবড় দোকানে মেয়ের তাদের নিজেদের পণ্য-বীথি কেমন সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখে ; অবস্থা ‘পোষাক-বিভাগেই এই মেয়েরা বেশী দক্ষ । ক্লেভল্যাণ্ড (; oveland) সহরে নয় লক্ষ লোকের বাস। সেখানে মেয়েদের একটা ব্যাঙ্ক আছে—সবই সেখানে মেয়ের চালায়। অন্যান্য সহরে ও আছে শুনেছি দেখিনি । অবশ্য সেখানে সব মেয়েরাই যে মেয়েদের ব্যাঙ্কে টাকা রাখে তা নয়। এখানে বলে’ রাখা ভালো যে, এদেশে মেয়েদের কাজ করার বিরুদ্ধে কোন যুক্তি কখনও শুনিনি। ভাবপ্রবণতা ও সুমণীরঞ্জনের পাশ্চাত্য কেতা এখানে আমাদের কলেজ-মহলের মেয়েদের কাছে খাটে ন। একাদন আমাদের খাবার ঘরের নিয়মাবলীর পরিবর্তনের সময় একজন যুবক প্রস্তাব করেন যে, মেয়েদের যেন টেবিলে পরিবেষণ ইত্যাদি কবুতে না হয়। আমরা খরচ কমাবার জন্য পাল করে থানূসামার কাজ করি—কোন চাকরের ধার ধারিনে। কাজেই এ-সব ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় । তিনটি মহিল| আমাদের তবে