পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bや সঙ্গে খেতেন, তারা মেয়েদের প্রতি করুণাব্যঞ্জক ব্যবস্থারণ স্থবিধাটুকু নিতে রাজি হননি। পালা করে ছেলে ও মেয়ে সকলেই কাজ করবে এই এদেশের মেয়েদের ইচ্ছা । মেয়েরা সবল ও প্রফুল্প, তাই ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে পারেন । আমাদের দেশে ও বিলাতে যাদের “গাল গাইডস” (Giri Guides) বলা হয়, এ-দেশে তাদের নাম ক্যাম্প, ফায়ার গাল । বয়স্কাউটুসদের যা প্রতিজ্ঞ ও নিয়ম তা প্রায় সবই মেয়েদেরও করতে হয় ; অবশ্য কিঞ্চিৎ পার্থক্য আছে। ছুটির দিন দলে-দলে এই মেয়ে স্কাউটের (Scout) দল ও অন্যান্য সকলে চড়াইভাতি কবৃতে যায়। মেয়েদের দলে সাধারণত কেবল মেয়েরাই যায়। ছাত্র-জীবন এদেশের শিক্ষা-বিভাগ মেয়েদের খুব যত্ব নেয়। পাবলিক স্থলে ( সাধারণের বিদ্যালয়ে) সব শ্রেণীতেই ( প্রাথমিক, গ্রামার ও উচ্চশ্রেণীর স্কুলে ) শারীরিক ব্যায়াম প্রভৃতির প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়। স্কুলে ছেলেমেয়েরা সাধারণতঃ একসঙ্গে পড়ে, তবে মেয়েদের জন্য আলাদা ক্লাসও আছে, সেখানে সাংসারিক অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয় । যে-সমস্ত বিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ের এক-সঙ্গে পড়ে, সেখানে সৰ্ব্বত্রই ব্যায়াম প্রভৃতির ব্যবস্থা ও শিক্ষা মেয়েদের একেবারে আলাদা। মেয়েদের উপযোগী নানা-প্রকার খেলার জন্য প্রত্যেক স্কুলেই তাদের ব্যায়ামাগার (Gymnasium) আলাদা আছে,অবশ্য টেনিস ইত্যাদি খেলা তা’র ছেলেদের সঙ্গে খেলে। আমেরিকায় প্রায় ২৭২ • • • পাবলিক স্কুল—৫ থেকে ১৮ বৎসর বয়সের ছেলে-মেয়ের এ-সব স্কুলে বিনা খরচে পড়তে পারে। এমন-কি বই পৰ্য্যস্ত কিনতে হয় না । শিক্ষা-ট্যাক্সে সব খরচ চলে যায়। ছাত্রীদের কেবল পেনসিল ও খাতা কিনতে হয়। বাণিজ্য-ব্যবসায়শিক্ষার বিদ্যালয়ে নানা-প্রকার যন্ত্রপাতি দরকার হয়। ছাত্রদের পয়সা দিয়ে তাও কিনতে হয় না। প্রাথমিক শ্রেণীর ছাত্রদের বয়স আন্দাজ ৫ থেকে ৯১০ বছর পর্য্যন্ত । গ্রামার স্কুলে ১০ থেকে ১২১৩ বছর বয়সের ছাত্র আছে। আমাদের হাই স্কুলে যা শেখান হয়, এখানে অনেকটা প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড --سا۔۔۔---اے- ------ایم------------ -------------------- ---- ------- ----------سا-ہ--- گا ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ তাই হয়। হাই স্কুল-বিভাগে তিন বা চার বছর পড়তে হয়, এখানে সাহিত্যিক, ব্যাবসায়িক দুইটি বিভিন্ন ধারায় শিক্ষণ দেওয়া হয়। সাহিত্যিক শ্রেণীতে ইংরেজি সাহিত্য, লাটিন বা গ্ৰীকৃ, ফরাসী বা জাৰ্ম্মান ভাষা ইতিহাস, গণিত, রসায়ন ও পদার্থ-বিদ্যা এবং ভূগোল ইত্যাদি শেখানো হয়। ব্যাবসায়িক বিভাগে শর্টহাও, টাইপ-রাইটিং, হিসাব-রক্ষণ ইত্যাদি নানা বিষয় শেখানো হয়। অবশ্য যাহার যা ইচ্ছা এদেশে সে তাই শিখতে পায়। গ্রামার স্কুলেও শারীরিক ব্যায়ামের ব্যবস্থা আছে। মনে রাখা দরকার সবই বিনা পয়সায়। প্রত্যেক পাবলিক হাই স্কুলে যেমন মানসিক ও শারীরিক দিকের বিকাশের প্রতি মন দেওয়া হয় তেমনি সৌন্দৰ্য্যবোধশক্তির বিকাশের দিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয় । এপর্য্যন্ত যদিও মাত্র ২৩টি পাবলিক স্কুল আমি দেখেছি, তবে তার প্রত্যেকটিতেই একটি করে’ গায়ক ও বাদক-দল আছে দেখেছি। সবই ছেলে-মেয়েরা চালায়। ১০১২-রকমের বাজনা ব্যবহার করে, একটি স্কুলে ১৬-রকমের যন্ত্র ব্যবহার কবৃতে দেখেছি। এরা সকলে সঙ্গীত শ্রেণীর ছাত্র। অনেকে স্কুলের বাইরে সঙ্গীত-বিদ্যালয়ে বা কলেজে সময় মতন সঙ্গীতের পাঠ নেয়। প্রত্যেক স্কুলে একটি বড় হল থাকা চাই ; সেখানে প্রতিসপ্তাহে কোন-না-কোন সভা-সমিতি হবেই। ইলের দেওয়ালে নানা-প্রকারের চিত্র দেখা যায়, তার ভিতর অনেকগুলি ছেলে-মেয়েদের পিতামাতারা যা উপহার দিয়েছেন, কতকগুলি স্থানীয় শিল্প-সমিতি উপহারসরূপ স্কুলকে দিয়েছেন বাকিগুলি স্কুলের টাকায় কেনা হয়েছে। সম্প্রতি মাসাচুসেটস্প্রদেশের একটি গ্রাম্য মেয়েদের স্কুলে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখলাম যে, মেয়েরা স্কুল-কামরাটা নিজেদের আঁকা পেনসিল-চিত্রও জল-রংএর ছবিতে পূর্ণ করে’ রেখেছে। এপর্য্যস্ত বড় সহরে বা ছোট-খাট সহরে কোন পাবলিক স্থলের মেয়েদের ক্লাস নেই, তবে একটি রবিবাসরীয় বিদ্যালয়ে মধ্যে-মধ্যে পড়াতে গিয়ে হাই স্কুলের দু-চারজন মেয়ের সংস্পর্শে মধ্যে-মধ্যে আসি । প্রথম দিন যেদিন একটি ছোট-খাট সহরে মেয়েদের