পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] যাত্রারম্ভ جهه -مم-سیاسی সাধনায় মেয়েকে শক্তি বলে’ স্বীকার করে । কৰ্ম্মের প্রকাগু-ক্ষেত্রে এই শক্তিকে দেখিনে ; ফুলকে দেখি প্রত্যক্ষ কিন্তু যে গৃঢ়-শক্তিতে সেই ফুল ফোটায় তাকে কোথাও ধরা-ছোওয়া যায় না । পুরুষের কীৰ্ত্তিতে মেয়ের শক্তি তেমনি নিগূঢ় । o ২৯ সেপ্টেম্বx । ঘে-মেয়েটি আমাকে শুভ-ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি লিখেছিল তার চিঠিতে একটি অনুরোধ ছিল, “আপনি ডায়ারি লিখবেন।” তখনি জবাব দিলুম "না, ডায়ারি লিখব না।” কিন্তু মুখ দিয়ে একটা কথা বেরিয়ে গেচে বলেই যে সেই কথাটা অটল সত্যের গৌরব লাভ করবে এতবড় অহঙ্কার আমার নেই। তার পর ২৪ তারিখে জাহাজে উঠলুম। বাদলার হাওয়া আরো যেন রেগে উঠল-সে যেন একটা অদৃশু • প্রকাও সাপের মতো জাহাজটার উপর ক্ষণে-ক্ষণে ছোবল همسایم-۹ هج মেরে ফোস-ফোস করতে লাগল। যখন দেখলুম দুৰ্দ্দৈবের ধাক্কায় মনটা হার মানবার উপক্রম করছে, তখন তেড়ে উঠে বললুম, “না, ডায়ারি লিখ বই।” কিন্তু লেখবার আছে কি ? কিছুই না, যা-ত লিখতে হবে। সকল লেখার সেরা হচ্চে যা-তা লেখা । যথেচ্ছাচারের অধিকার রাজার অধিকার । বিশেষ কোনো-একজনকে চিঠি লেখবার একটা প্রচ্ছন্ন বীথিক যদি সাম্নে পাওয়া যেত, তা হ’লে তারই নিভূত-ছায়ার ভিতর দিয়ে আমার নিরুদ্দেশ বাণীকে অভিসারে পাঠাতুম। কিন্তু সে-বীথিক আজ নেই। তাই অপরিচিত ক্যাবিনে আলো জেলে নিজের কাছেই নিজে বকৃতে বসূলুম । আলাপের এই অদ্বৈতরূপ আমার পছন্দসই নয়। সংসারে যখন মনের মতে দ্বৈত দুর্লভ হয়ে ওঠে, তখনি মাহুষ অদ্বৈত-সাধনায় মনকে ভুলিয়ে রাখতে চায় । কারণ, সকলের চেয়ে দুৰ্ব্বিপাক হচ্চে অ-মনের মতে দ্বৈত । স্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 團