পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] রাজপথ ২১৭ حمد س• عدس----------- করিল। কিন্তু পরবর্তী বর্ষে প্রবেশ বিষয়ক আইন একটু পরিবর্তিত হওয়ায় প্রবিষ্ট লোকদের সংখ্যা ১৭৮২তে উঠিল। ঐ বৃদ্ধির ফলে খবরের কাগজে ভয়ানক আন্দোলন প্রকট হইল । প্রশিয়ান বহিষ্কার-সংঘ ও ঐ-ধরণের সভাগুলি ১৯১০ অব্দে (২০) ওয়াশিংটনস্থ বিদেশী প্রবেশ-বিভাগের সচিবের নিকট ভারতবাসীদের প্রবেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাইল । আন্দোলনে অভীষ্ট ফল ফলিল। বিশেষ কড়া বিধি প্রযুক্ত হওয়ায় প্রবিষ্ট লোকদের সংখ্যা ১৯১১ অব্দে ৫১৭ জনে এবং ১৯১৩ ও ১৯১৪ অব্দে কিছু বাড়িয়া ( ঐ দুই সনে ক্রমে ১৮৮ ও ১৭২ জন প্রবেশ করে ) ১৯১৫ অব্দে মাত্র ৮২ জনে নামিয়া যায়। পরবর্তী ৪ বৎসর ধরিয়া (s-) ThoSan Francisco Call, Tune 29,1910. p., 7 e 1. ক্রমে আরো নামিয়া বায়। ঐ সময়ে মাত্র ২৭৮ জন প্রবেশ করে। ১৯২০ অব্দে সংখ্যা কিছু বাড়ে ও মাত্র ১৬০ জন ভারতবাসী ঐ বৎসরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে । ঐ সময়ে নানা আইনের প্রস্তাব হইতে অবশেষে ১৯১৭ অক্সের ১৫ ফেব্রুয়ারী মাসে ভারতীয়দের প্রবেশে বাধা দেওয়ার আইন বিধিবদ্ধ করা হয়। ঐ আইনের ৫৩ ধারামতে ভারতবর্ষ, শুমি, ইন্দোচীন, সাইকীরিয়ার কতকাংশ, আফগানিস্থান, আরব, মালয় দ্বীপপুঞ্জ ‘নিষিদ্ধ দেশ' বলিয়া ঘোষিত হয় ; এবং এই ৫০ কোটি লোকের বাসস্থান হইতে কোন লোকের যুক্তরাষ্ট্র-প্রবেশ অবৈধ করিয়া দেওয়া হয় । (২১) অবশ্য ভ্রমণকারী, বিদ্যার্থী ও রাজকৰ্ম্মচারীরা ঐ নিষেধের বাহিরে রহিলেন । এই আইনে ভারতীয় শ্রমজীবীর আগমন রহিত-করণে কৃতকার্ধ্য হইল ।

  • > Report of the Commissioner General of

Immigration for 1918-19, p. 60. রাজপথ ত্রী উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় [ ૭t ] তারান্বন্দী ক্রমশ: দেহে পূর্বশক্তি এবং সামর্থ্য লাভ করিয়াছেন এবং যথাপুর্ব গৃহকাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। দ্বিপ্রহরে বারাগুrয় বসিয়া তিনি কবিকঙ্কণ চণ্ডী পাঠ করিতেছিলেন এবং অদূরে মাধবী বসিয়া চত্বক কাটিতে-কাটিতে একমনে তাহ শুনিতেছিল, এমন-সময়ে তথায় বিমানবিহারী আসিয়া উপস্থিত হইল । বিমানবিহারীর নূতন বেশ লক্ষ্য করিয়া তারান্বন্দরী হাসিয়া কহিলেন, “রাজবেশ ত্যাগ করে’ এ তাপস-বেশ কেন, বাবা ?” বিমানবিহারী আজ খন্দরের ধুতি, জামা ও চাদর পরিয়া আসিয়াছিল। সে স্মিভমুখে উত্তর দিল, “তাপসবেশ ভিন্ন মাধবীর আশ্রমে প্রবেশ করা যায় না, তাই । s e-سسه مط۹ আজ মাধবীর চরকা-ঘরে ঢুকে দেখতে হবে কি তার মধ্যে আছে !” বিমানবিহারীর কথা শুনিয়া প্রথমটা মাধবীর মুখ ঈষং আরক্ত হইয়া উঠিল, তাহার পর সে মুছ হাসিয়া বলিল, “কিন্তু সেখানে আপনাদের দেখবার মতন তেমন কিছুই ত নেই। তার জন্তে এত উযযুগ করে’ এসে শেষকালে ভারি নিরাশ হবেন!” বিমানবিহারী হাসিতে-হাসিতে বলিল, “একটা কৌতুহল অতৃপ্ত রাখা অপেক্ষ নিরাশ হওয়া ভালো । নিরাশ হওয়ার দুঃখের চেয়ে না-জানার যন্ত্রণা বেশী পুষ্টকর!” এ-কথাটা মাধবীর ভালো লাগিল না । তাহাদের চরকা-ঘরকে বিমানবিহারী কি জাদুঘর অথবা চিড়িয়া இச்