পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ S AASAASAAMA MMMMMMMS ATa SAMAAAS AAAA S প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ २8* डां★, २झै ५७ খানার মতনই একটা-কিছু মনে করে যে, তদ্বিষয়ে কৌতুহল এবং নৈরাপ্তের কথা এমন করিয়া উঠিতেছে ? সে তাহার মুখে-চোখে হাস্য-কৌতুকের কোনও চিহ্ন বর্তমান না রাখিয়া ঈষৎ গম্ভীরস্বরে বলিল, "চলুন, দেখবেন চলুন। কিন্তু তার মধ্যে তিমিমাছের কঙ্কালও নেই, কিম্বা সিন্ধুঘোটক, জলহস্তীও নেই যে, আপনার কৌতুহল তৃপ্ত হবে। আপনার পোষাকের খরচ পোষাবে না দেখছি!” কথাটা বলিয়াই কিন্তু মাধবী হাসিয়া উঠিল। তাহার বাক্যের দ্বারা বিমানবিহারীর প্রতি কতকটা রূঢ়তা প্রকাশ পাইয়াছে বুঝিতে পারিবামাত্র হাস্যের দ্বারা সে তাহা যথাসম্ভব হ্রাস করিবার চেষ্টা করিল। বিমানবিহারী কিন্তু মাধবীর রূঢ়তা প্রকাশ অথবা রুঢ়তা অপনয়ন করিবার চেষ্টার কোনও হিসাব না লইয়া পূৰ্ব্ববৎ হাসিতে-হাসিতে বলিল, “খৰ্বচা পোষাবে কি পোষাবে না, সেটা ভবিষ্যতের কথা, তোমার ঘর না দেখে’ তা বলতে পারিনে। কিন্তু ঘর না দেখে ফিরলে যে পোষাবে না তা ত নিশ্চয়ই। অতএব প্রথমে তোমার ঘরটা দেখাই যাক ৷” তারাসুন্দরী হাসিতে-হাসিতে বলিলেন, “তোমার কোনও ভয় নেই বিমান, আমি আশীৰ্ব্বাদ করছি তোমার খরচ পোষাবে।” বিমান স্মিতমুখে বলিল, “তোমার অভয়বাণী আমার জীবনে সার্থক হোক, !" চরকা-ঘরে প্রবেশ করিয়া সমস্ত দেখিতে-দেখিতে এবং শুনিতে-শুনিতে বিমানবিহারীর মুখ আনন্দে, বিস্ময়ে, পুলকে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। সে প্রফুল্লমুখে বলিল, “তোমার এ-ঘরে কঙ্কাল নেই বটে মাধবী, কিন্তু কঙ্কাল ঢাকৃবার ব্যবস্থা আছে! স্বষ্টি করুবার গৌরবে তোমার এঘর গৌরবান্বিত ।" মনে-মনে আনন্দিত হইয়া মাধবী স্মিতমুখে বলিল, “এর সামান্ত ব্যাপার আপনার ভালো লাগছে ?” অসংশয়িত দৃঢ়ম্বরে বিমানবিহারী বলিল, “লাগছে। একটি অতি ক্ষুদ্র বীজকণার মধ্যে একটা বিরাট বটগাছের সমস্ত সম্ভাবনা যেমন নিহিত থাকে, তেমূনি তোমার এই সামান্ত চরকা-ঘরটির মধ্যে সমস্ত ভারতবর্ষের একটা বিপুল সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে।” ক্ষণকাল নিঃশব্দ থাকিয়া মুণ্ডস্বরে মাধবী বলিল, “এ আপনি সত্যি-সত্যিই বিশ্বাস করেন, বিমানবাৰু?" বিমান সনিৰ্ব্বন্ধে বলিতে লাগিল, “হ্যা, নিশ্চয় করি । কেন বিশ্বাস করি তা বললাম ত, এর মধ্যে স্বষ্টি করবার একটা ব্যবস্থা রয়েছে। অপরকে মারা এর উদ্বেগু নয়, এর উদ্বেগু নিজেকে বাচানো | সংহারে আমার বিশ্বাস নেই, আমার বিশ্বাস হুষ্টিতে, এ-কথা আমি তোমার দাদার কাছে অনেকবার বলেছি।” বিমানবিহারীর মুখের উপর পরিপূর্ণ দৃষ্টি-পাত করিয়া মাধবী বলিল, “কিন্তু দাদার বিশ্বাসও ত আপনার এবিশ্বাসের বিরুদ্ধ নয় ?” ঈষৎ ব্যগ্রভাবে বিমান বলিয়া উঠিল, “না, না, তাত নয়ই ! তা যে নয়, তোমাদের এই ঘরখানিই ত তার : প্রমাণ !* মৃদ্ধ হাস্ত করিয়া মাধবী বলিল, “তবে সৰ্ব্বদাই আপনাদের দু’জনের ও-রকম বিরোধ বাধত কেন ?” মনে-মনে একটু চিন্তা করিয়া বিমান বলিল, “মুখের বিরোধ কি সব সময়েই মতের বিরোধের জন্ত হয় বলে’ তুমি মনে কর । কত সময়ে কত কারণে যে আমরা আমাদের নিজের প্রতিই অবিশ্বাসী হই, তা হয় ত তুমি জানো না !” বিমানবিহারীর কথায় আহত হইয়া ঈষৎ উত্তেজিতস্বরে মাধবী বলিল, “কিন্তু সে ত ভারি অন্তায় ।” মাধবীর বিস্ময় এবং বিরক্তি দেখিয়া বিমানবিহারী भूष्ट्र-यूफू इनिएङ जात्रिण । बलिण, “अछाम्न उ बर्फ़द्दे ; কিন্তু মামুষের প্রকৃতির মধ্যে এমন যে কত ক্রটি আছে— তা ধারণা করাই যায় না, মান্থব এখনও অর্জ পরিণত छैोरु ।” বিমানবিহারীর তত্ত্বনিরূপণের প্রতি কিছুমাত্র মনোধোগ না দিয়া মাধবী ঔংস্থক্য-সহকারে জিজ্ঞাসা করিল, “কিন্তু নিজের মতের বিরুদ্ধেও দাদার সঙ্গে বিরোধ করবার কি কারণ আপনার ছিল ?” “কি কারণ ছিল তা প্রথম-প্রথম আমিও ঠিক বুঝতে