পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ) রাজপথ Ros পারতাম না, তবে বুঝতে বড় বেশী দেরীও হয়নি। কিন্তু সে-সব কথা বলতে হ’লে অনেক কথাই বলতে হয়।” বলিয়া বিমান হাসিতে লাগিল । विभांनबिशंग्रेौब्र ५-कथाब्र निदछब्र नभरङ ८कोछूश्ल সংবরিত করিয়া লইয়া গান্তভাবে মাধবী বলিল, “না, না, আপনাকে কিছুই বলতে হবে না। আমার মনে-মনে সন্দেহ হচ্ছিল যে আপনি গবমেন্টের চাকরী করেন তাই হয়ত কারণ। কিন্তু এখন আপনার কথা শুনে বুঝতে পাৰ্বছি যে, সে-রকম সন্দেহ করা আমার ভুল হয়েছিল।” মাধবীর কথা শুনিয়া বিমানবিহারীর মুখ-মওল ঈষৎ আরক্ত হইয়া উঠিল। একটু বেগের সহিত সে বলিল, “হ্যা, নিশ্চয়ই ভুল হয়েছিল ! যে-কারণে আমি তোমার rাদার বিরুদ্ধাচরণ করতাম তা অস্কায় হ’লেও অত নীচ নয়! বিদ্বেষের বশীভূত হ’য়ে আমি-তোমার দাদার সঙ্গে বরোধ করতাম ; চাকরি বজায় রাখবার উদ্বেগে নয়!” সমস্ত সংযম একছুমৃেৰ্ত্ত হারাইয়া মাধবী সবিস্ময়ে লিয়া উঠিল, “বিদ্বেষের বশীভূত হয়ে ? কেন,–কিসের বদ্বেষ ?” কিন্তু পরমুহূৰ্ত্তেই তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, না, না, বলতে হবে না! আমি বুঝতে পেরেছি। আস্থন আপনাকে আমাদের প্রথম স্বতোর আর এখনকার স্বতোর মুনা দেখাই ।” বিমানবিহারী কিন্তু মাধবীর আমন্ত্রণের প্রতি কোনfকার মনোযোগ না দিয়া বলিল, “দেখ মাধবী, এ-সব থা এমন করে’ তোমার সঙ্গে আলোচনা করায় আমার ক্ষে যদি কোন-রকম খৃষ্টত হয় তা হ’লে তুমি আমাকে মা কোরো, কিন্তু কথায়-কথায় কথাটা যখন এতটাই গিযেছে তখন আমার কথার অন্ততঃ একটা দিকৃ আজ শষ করে দিই। অবশ্য তোমার যদি আপত্তি না থাকে।” কোনও কথা না বলিয়া মাধবী নীরবে বিমানবিহারীর কে চাহিয়া রহিল। আপত্তি করিবে, কি করিবে না, বং যদি করে ত কি বলিয়া করিবে কিছুই সে স্থির রিয়া উঠিতে পারিল না। তখন, মৌন সন্মডির লক্ষণ মনে করিয়া, বিমানবিহারী ক্ষেপে সকল কথা মাধবীকে খুলিয়া বলিল। কিছুদিন তে জমিজার সহিত তাহার বিবাহের কথা চলিতেছিল; উভয়পক্ষের মধ্যে কথাটা যখন একরকম পাকা হইয়া আসিয়াছে, তখন সহসা একদিন কেমন করিয়া স্বরেশ্বর বন্ধুরূপে তাহাদের মধ্যে আসিয়া দাড়াইল ; তাহার পর একদিন যখন সে বুঝিতে পারিল যে, স্বরেশ্বর তাহার -প্রবল মত এবং প্রবলতর যুক্তির দ্বারা স্থমিত্রাকে তাহার নিজের দিকে টানিয়া লইতে আরম্ভ করিয়াছে, তখন কেমন করিয়া ক্রমশঃ স্বরেশ্বরের প্রতি বিদ্বেষে তাহার মন ভরিয়া উঠিল, স্কায়-অন্যায়ের প্রভেদবিচার লুপ্ত হইল, নিজের মত এবং যুক্তি দ্বারা নিৰ্ব্বিচারে স্থমিত্রার সম্মুখে স্বরেশ্বরের যুক্তিখণ্ডন করাই তাহার একমাত্র লক্ষ্য হইয়া উঠিল ; অবশেষে তাহাতে অকৃতকাৰ্য্য হইয়া কেমন করিয়া ঈর্ষানল ক্রমশঃ এমন প্রবল হইয়া উঠিল যে একদিন নিজ গৃহে স্বরেশ্বরকে অপমানিত করিতেও তাহার শুভ্রতায় বাধিল না, সকল কথাই বিমানবিহারী অকপটে মাধবীকে : জ্ঞাপন করিল। মাধবীর এ-সকল কথা কতক জানা ছিল . এবং কতক জানা ছিল না । সে শুনিতে-শুনিতে নিৰ্ব্বাকৃ- - বিস্ময়ে বিমানবিহারীর প্রতি চাহিয়া রহিল। একটু অপেক্ষা করিয়া বিমানবিহারী বলিল, “এখন কিন্তু মাধবী, স্বরেশ্বরের প্রতি আমার কিছুমাত্র বিৰেৰ নেই, স্বমিত্রার বিষয়ে আমি আমার মন একেবারে হালষণ " করে নিয়েছি।” বিমানবিহারীর কথার অর্থ ঠিক বুঝিতে না পারিয়া । মাধবী উৎস্থক্যের সহিত জিজ্ঞাসা করিল, “স্থমিত্রার বিষয়ে মন হালকা করে নিয়েছেন তার মানে কি ?” এতক্ষণ বিমানবিহারী সহজভাবেই সমস্ত কথা বলিতেছিল, কিন্তু মাধবীর এ-প্রশ্বে সহসা কোথা হইতে তাহার মনের মধ্যে এক অনতিবর্তনীয় বিহ্বলতা আলিয়া উপস্থিত হইল ; বিচারকের নিকট নিজের অধিকার-স্বত্ব হইতে নিজেকে চিরদিনের জন্ত রিক্ত করিবার সময়ে যেমন হয়, কতকটা সেইরূপ । মনে হইল মনে-মনে সে ধে নিজেকে বঞ্চিত করিয়াছে তাহা প্রকাস্তে মাধবীর নিকট স্বীকার করার পর আর তাহার কোনরূপ দাবিই জীবিত থাকিবে না ; সাক্ষীর সমক্ষে দান-পত্ৰ সহি করিবার পর দান-সামগ্ৰী হইতে চিরদিনের জন্য অপস্থত হইতে হইৰে!

  • , ի 義

অনধিকার স্বীকার করিবার সময়ে কিন্তু বিমানৱিsরY--