পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૦ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড BBBBBBB BB BBBD DBD BS BBBBS BBBB SBBB BBBB DDBB BBB BB BBBB BB BBB উপর কোনোরকম অধিকারের কল্পনায় আমার মন আর ভারাক্রান্ত নয়, তাই হালকা ৷ স্থমিত্রার উপর আমার কোন-রকম অধিকার অাছে বলে’ আমি মনে করিনে ৷” নিরতিশয় বিস্ময়ে মাধবী জিজ্ঞাসা করিল, *কেন ?”

  • কেন ? কারণ স্বমিত্ৰা অপরের অধিকৃত । তার সমস্ত মন আর আত্ম। তোমার দাদার অধিকারে রয়েছে।” একথা মাধবীর নিকট নূতন তথ্য নহে, স্বতরাং ইহার মধ্যে বিস্মিত হইবারও কিছু ছিল না। তাই সে শুধু স্বরেশ্বরের দিকূট উল্লেখ করিয়া বলিল, “কিন্তু দাদা ত ক্ষমিত্রার উপর কোন অধিকারই রাখেন না ; স্বমিত্রাদের বাড়ী যাeৱাই ছেড়ে দিয়েছিলেন, আর এখন ত জেলেই

রয়েছেন।” হাসিতে-হাসিতে বিমান বলিল, “জেলে গিয়েই আরও বিপদ করেছেন, বাইরে থাকলে আমার বোধ হয়, কিছু আশা থাকৃত ?” তাহার পর সহসা গম্ভীর হইয়া বলিল, “তুমি চুম্বক দেখেছ, মাধবী ?” “দেখেছি।” “তোমার দাদা স্বমিত্রার চুম্বক,দূরে গেলেও স্বমিত্রাকে অাকর্ষণ করে থাকেন। আমি জানি স্বমিত্রা আজকাল আলিপুর জেলের দিকেই সৰ্ব্বদা উন্মুখ হয়ে থাকে ৷” সাগ্রহে মাধবী জুিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি করে জানলেন? কারো কাছে কিছু শুনেছেন ?” মাধবীর কথা শুনিয়া বিমানবিহারী মৃদু-মৃদু হাসিতে লাগিল । “ আজকাল রেডিয়োর দিনে সাম্না-সামনি সব কথাই শোনবার দরকার হয় কি ? এখন ত আকাশে কান পেতে লোকে দূরের গান শুনছে। কিন্তু আমি তা’ও শুনেছি। সুমিত্রা নিজে আমার কাছ থেকে আলিপুর জেলের দিকৃ ঠিক করে নিয়েছে।” মাধবী যেন শিহরিয়া উঠিল,—“স্থমিত্রা নিজে ।” “হ্যা, নিজে । কিন্তু তা হোক, আর তার জন্তে আমার মনে কোনও মানি নেই।” . *్చ • ... }তার পর মাধবী জিজ্ঞাসা করিল, সমস্ত সজীবন C سببينها দাদার প্রতি বিদ্বেষ চলে গেল বুঝি ?” মাধবীর কথা শুনিয়া বিমানবিহারী পুনরায় মৃদু-মৃদ্ধ হাসিতে লাগিল। বলিল, “তুমি নিতান্তই ছেলেমাস্থ্য, মাধবী ! তা’ও কখন যায় ? তার পরই স্বরেশ্বরের ওপর বিদ্বেষটা সবচেয়ে বেড়ে উঠেছিল! এক-একবার মনে হচ্ছিল যে, জেলের মধ্যে ছুটে গিয়ে স্বরেশ্বরের দেহের উপর আক্রমণ করে’ পড়ি ! একটা নিষ্ঠুর, নিস্ফল আক্রোশে নিজের হৃৎপিণ্ডটা ছিড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল ! কিন্তু—” বিমানবিহারী আর কথা কহিতে পারিল না, সহসা তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল । সভয়ে নিরুদ্ধশ্বাসে মাধবী বলিল,“কিন্তু কি ?” বিমানবিহারীর মুখমণ্ডলে সঞ্চীয়মান রক্তোচ্ছাস এবং নেত্রদ্বয়ে উদভ্ৰান্ত বাগ্রতা লক্ষ্য করিয়া মাধবী মনে-মনে কঁাপিতে লাগিল ! ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বিমানবিহারী নিজেকে কতকটা সংযত করিয়া লইয়া বলিল, “কিন্তু বন্দুকের ভেতর থেকে সমস্ত বারুদ যেমন একমুহূর্তে বেরিয়ে যায় ঠিক তেমনি তার পরদিন আমার মন থেকে সমস্ত বিদ্বেষ নিঃশেষে বেরিয়ে গেল ! সে যেন এক জগদ্ধবাজী ! স্বরেশ্বরের জেলের পর প্রথম যে-দিন তোমাদের বাড়ী এলাম সে-দিনকার কথাই বলছি! তোমাদের বাড়ীতে যখন ঢুক্লাম তখনো মন বিদ্বেষে পরিপূর্ণ; কিন্তু তোমাদের বাড়ী থেকে যখন বেরোলাম তখন বন্দুক থেকে সমস্ত বারুদ একেবারে বেরিয়ে গিয়েছে।” শুনিয়া মাধবীর হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া এত বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিল যে, তাহার ভয় হইল যে, বিমানবিহারী হয়ত তাহার ধবক্-ধ্বকৃ শব্দ শুনিতে পাইতেছে! ইচ্ছার অবর্তমানেও তাহার অনায়ত্ত কণ্ঠ হইতে ঋলিতভাবে বাহির হইল, “কি করে’ তা হ’ল ?” নিজ-কর্ণে তাহার বিকৃত কণ্ঠস্বয় ধ্বনিত শুনিয়া মাধবী চমকিয়া উঠিল। বিমানবিহারী ধীরে-ধীরে মাথা নাড়িয়া বলিল, “কি করে তা হ’ল আল আর বলব না ! সে আমার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় ! আমি সকলের কাছেই তা অগোচর রাখতে চাই। প্রধম অধ্যায়ে আমি যে অভিজ্ঞতা লাভ AAAAAASAAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAAMAAA AAAASAAAA AAAA AAAAMMAAASSSAS