পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-২২৮ শ্ৰীমতী লুলু ডিডেরিখস ইহাদের রচনার বিশেষত্ব। ডিডেরিখ সূ কোম্পানী জাৰ্ম্মানির এক প্রসিদ্ধ 巴本中叫夺1 গল্প ও উপস্থাস লিখির প্রসিদ্ধ হইয়াছেন শ্ৰীমতী ক্লার ফীবিগ । “ড়াস্ হাইবার ডোফ* অর্থাৎ “মেয়ে-পল্লী” নামক গল্পে ঐতিহাসিক তথ্য উপকরণরূপে গৃহীত হইয়াছে। পল্লীর কিষাণর লেখিকাকে সু-নক্তরে দেখে নাই। কিন্তু রচনা এতই উপাদেয় যে, পল্লীবাসীরা নিজ গ্রামকে “ক্লার ফীবিগের মেয়ে পল্লী” নামে অভিহিত করিয়া পেষ্ট কার্ড ছাপিয়াছিল। জাৰ্ম্মানির উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম, সকল অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃপ্ত ফীবিগের নানা রচনায় ঠাই পাইয়াছে। পল্লী, সন্থর কিছুই বাদ পড়ে নাই । দরিদ্রের জীবন, বিশেষতঃ শহরে মজুর-জীবন-সশ্বন্ধেও ইহার কলম খেলিয়াছে। “ডাস ট্যেগ লিখে ব্রেট” বা “রোজ আনি রোজ খাই” নামক উপস্থাসের মতলব “নামেই প্রকাশ ।” গল্প-উপস্কাস যাহারা লেখে, তাহারা গণ্ডা-গণ্ডাই লেগে । ফীবিগ বলিতেছেন—“উপকরণ বা মাল-মশলা আমাকে ঢুঢ়িয়া বেড়াইতে হয় নাই । এইগুলাই আমাকে চুঢ়িয়া বেড়াইয়াছে।” অর্থাৎ কোনো বিষয়ে কিছু লেপা কীবিগের পক্ষে কষ্ট-কল্পন-সাধ্য কাও-কারখানা নয়। কলম ধরিলেই লেখা আসে। ইতি ভাবার্থঃ । বুক ঠুকিয় মাথা ঠুকিয়া উপকরণ বা বিষয় খুশিতে-খুজিতে যাহারা হয়রান হয়, তাঁহাদের কলমের আগার “সাহিত্য” বাহির হয় না । ( so ) মারিয়া কন বুলঞ্জেল সাহিত্যু-ক্ষেত্রের নানা বিভাগে হাত দিয়াছেন। ইয়োরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকার নানা দেশে পৰ্য্যটন ইহার জীবনের এক বড় তথ্য। গল্পে, উপস্তাসে, প্রবন্ধে, জীবন-বৃত্তান্ত, সমালোচনায় তাহার ছাপ পড়িয়াছে। প্রবাসী –অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ইলকে লিনা করিলা"আপনার কেনিবলৈ নাম হইয়াৰেr জবাৰ –“ইস্ রডেনবোট ডুপ ডয়েচলাণ্ড” ( অথাৎ নৌকাবক্ষে জার্মান মারিয়া ফন বুদ্বজেন মুলুক ) জার্মানির অঞ্জন বা অল্প পরিচিত নদনদী, খাল-বিল, হ্ৰদ-সাগর, ইত্যাদির উপর একল দাড় বাহিয়া নৌকা চালাইয়াছি। সেই নৌকাবক্ষে একাকী জীবনের ভ্রমণ-বৃত্তান্ত এই গল্পে বিবৃত ৷” বার্লিনের ফিশার কোম্পানী গ্রন্থের প্রকাশক । ছবি আঁকায়ও ফল বুজেনের হাত; আছে। বার্লিনের বড় বড় প্রদর্শনীতে ‘গুল-চিত্র গুলা দেখানে হইয়াছেও। ইনি বলিতেছেন – শিল্প-রীতি-সম্বন্ধে আমি পুরানোপন্থী। নতুন কায়দাগুলার কদর বুঝিতেও রাজি আছি বটে। কিন্তু মোটের উপর প্রাচীন এবং মধ্যযুগের নিদর্শনগুলাই আমার প্রিয়।” * 源 ডায়চে রওশাও, ডায়চে অলগেমাইনেৎসাইটুঙ:ইত্যাদি"মাসিক ও দৈনিকে ফন্‌ বুনজেনের লেখা প্রায়ই বাহির হয়। বিপ্লবের পর হইতে ইনি রাষ্ট্রক্ষেত্রেও দেখা দিয়াছেন। রাজতন্ত্রের পক্ষপাতী “ডায়েচ নাটসিও নাল” দলের সঙ্গে ইনি কৰ্ম্ম করেন । - ফল বুনজেন বলিতেছেন :- কাইজারিন জাৰ্ম্মণ সম্রাটের পঞ্জী

আমার এক মুরুব্বি ছিলেন। রাজদরবাবে সম্রাঞ্জীসকাশে আমার অনেক

কাল কাটিয়াছে। তে হি মো দিবস, গতাঃ।” বুনজেন ব্যয়মারের উণ্টাপক্ষ । ( "כ ) যুগুধৰ্ম্ম এত শীঘ্ৰ-শস্ত্ৰ বদলাইয়া যাইতেছে যে, জার্মানরা আজকাল একমাত্র রাজবংশকে উঠাইয়া দিয়া স্বধী নয়। মামুলী-রিপাব্লিক্ বা গণতন্ত্রে ইহাদের পেট ভরিতেছে না। বেলশেহিৰক রশিয়ার মার্কামার লেনিন টটস্কির মঞ্জুর মাফিক সোহিবয়েট-শাসন কয়েম করিবার জন্তও জাৰ্ম্মানির মহলে-মহলে লোক দেখা যায়। স্তাকৃসনি, টিবিলেন এবং রাইন-ররের কোথাও কোথাও কমিউনিষ্ট পন্থী ধনসাম্য-ধৰ্ম্মী দলের প্রভাব বেশী। ১৯২৩ সালে দুই-তিনবার রুশ জননায়কগণ জাৰ্ম্মানিতে সোহিয়েট বিপ্লব আশা করিতেছিলেন। কয়েকবার নানা জায়গায় মজুর-দীজা দেখা গিয়াছেও । বৰ্ত্তমান-জগতের সর্বত্রই নবীনগ্রবণের দ্বঙ্গের ভিতর বোলুশেহিকে বেদের মন্ত্রধ্বনি শুনিতে পাওয়া যাইবেই বাইবে। জার্মানিতেও শুনা যায়। কিন্তু মোটের উপর জাৰ্ম্মান মজুরের অনেকটা স্থখময় জীবন যাপন করে । ইহাদের দরিদ্রতাময় অবস্থাও বিশেষরূপে শোচনীয় নয়। এইজন্তই বোধ হয় রাশ পেটেন্টের মজুরতন্ত্র জার্মান-সমাজে আজ পর্য্যস্ত বিজয়লাভ করিতে পারে নাই । মজুরজীবনকে স্বখময় করিয়া তুলিবার জন্ত চল্লিশ বৎসর ধরিয়া