পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ২য় সংখ্যা ] জাৰ্ম্মান গবর্ণমেন্ট অনেক কিছু করিয়াছে। সেইসকল কাজ বাধ্যতামুলক সৰ্বকারী বীমাপ্রথার অন্তর্গত। কি রোগ, কি বাৰ্ধক্য, কি দৈব-বত প্রকারে ফ্যাক্টরির মজুরদের এবং আফিসের কেরাণীদের জাপদ-বিপদ উপস্থিত হইতে পারে সকল দিক্‌ দেখিয়া-গুলির রাষ্ট্রবীর বিস্মাকৃ১ি৮৮৩৮৯ সালের ভিতর কতকগুলা আইন কায়েম করিয়াছিলেন। এই আইনগুলা মানবজাতির কল্যাণের জঙ্ক জার্মানির বিশিষ্ট দান-বিশেষ। আইনের ফলে মহাজন এবং ফ্যাক্টরির মালিকের দেশের নান৷ স্বাস্থ্যকর স্থানে ইসপাতাল, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা কায়েম করিতে বাধ্য হইয়াছেন। সত্তর বৎসরের বুড়া লোকমাত্রেই বৎসরে প্রায় তিনশ মাকু (২২৫< ) করিয়া পায়। মজুরদের বিধবা পত্নী এবং ষোল বৎসবের কম বয়স্ক বালক-বালিকার পেন্সন্ ভোগ করে । ফলত: বিনা উদ্বেগে সাহসের সহিত জাৰ্ম্মানির আবালবৃদ্ধবনিত কঠিন-কঠিন কাজের দায়িত্ব লইতে সমর্থ হয়। মজুরদের স্বাথ রক্ষা করিবার জন্ত যে-সকল আইন আছে সেই সমুদয় “ডি সোৎসিয়ালু পোলিটিশে গেজেটস গেৰুঙ" অর্থাৎ সমাজ-রাষ্ট্ৰীয় বিধি-ব্যবস্থা নামে প্রচারিত। বালিনের “ৎসেণ্ট ল ফালগি” এই গ্রন্থের প্রকাশক । বার্লিনের হবিবং কোম্পানীও ১৯২৩ সালে এইসম্বন্ধে একখান গ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণ বাহির করিয়াছে। তাহার নাম "আরবাইটস রেই উও আরবাইটার শুটস" (মজুরদের অধিকার ও রক্ষণাবেক্ষণ)। দুনিয়র বড়-বড় সকল জাতি জাৰ্ম্মানির নিকট এই ধীমা-প্রথা এবং সামাজিক বিধান শিক্ষা করিয়াছে। যুবক ভারতের পক্ষেও এইসব জাৰ্ম্মানিতে অস্ক্যতম প্রধান শিক্ষণীয় শিলয় । ( ১৮ ) বিপ্লবের পর জার্মানিতে নতুন নতুন মাসিক, সাপ্তাহিক ইত্যাদি “সাময়িক পত্র দেখা দিয়াছে। নবযুগের নবীন লেখকের “নয়েস ডয়েচ, লাও" নয় জাৰ্ম্মানি “নয়ে রওশাও” (নবীন পৰ্য্যবেক্ষক ) ইত্যাদি কাগজে লিখিতে অভ্যন্ত । পুরানো মাসিকের ভিতর "ডায়চে রওশাও” সম্প্রতি পঞ্চাশ বৎসর অতিক্রম করিয়াছে। এই কাগজ প্যারিসের “বেহিলা দে দা মদ” অথবা বষ্টনের “আটলাণ্টিক মাস্থলি" ইত্যাদির সমকক্ষ দেশী-বিদেশী নামজাদা লোক এই আসরের লেখক। “ডায়চে রওশও"য়ের বর্তমান সম্পাদক রুডল্ফ পেখেলু স্বয়ং নাট্যসাহিত্যের. সমালোচক। পেগেল বলিতেছেন—“রুশ স্কাণ্ডিনাভিয়ান, ইহালিয়ান, আইরিশ ইত্যাদি নানা জাতীয় সাহিতাবীরদিগকে এই কাগজের সাহায্যে জাৰ্ম্মান-সমাজে পরিচিত করির দেওয়া হইয়াছে।” পেগেল ঠিক কোনো দলের লোক নন, কিন্তু স্বদেশ-সেবক বটে। “পোলিটিশে কোল্লেগ" নামক রাষ্ট্ৰীয় সমিতির সম্পর্কে যুবক জাৰ্ম্মানির শিল্প, সাহিত্য ও সমাজ-চিন্তার সঙ্গে ইনি ঘনিষ্ঠভাবে সম্বন্ধ আছেন। নবীন জাৰ্ম্মানী গড়িয়া তুলিবার কাজে ইনি নিজকে সজাগভাবে মোতায়েন রাখিয়াছেন । ঠিক এইধরণেরই কোনো দলের মুখপত্র নয় এমন দৈনিক কাগজ বার্লিনে "ডায়চে আল, গেমাইনে ৎসাইটুঙ”। দৈনিকট ষ্টিন্নেসের ཀྱཱ་ཡཱ:ཝ་ জার্মান ফ্যাক্টরি এবং শিল্পবিকাশের সকল খবর এই কাগজে I অবষ্ঠ এই দুই কাগজকেই খাটি ডেমোক্রাটপন্থীর রাজতন্ত্রম্বেশ এবং অতিমাত্রায় “বুর্জেীয়া” বিবেচনা করিতেই অভ্যন্ত । কিন্তু বিদেশী পর্যটকের পক্ষে—বিশেষতঃ যাহারা ধনবিজ্ঞান বা রাষ্ট্রনীতিঘটিত আন্দোলনে নামলেখানে দলের লোক নয় তাহদের পক্ষে এই দুই দৈনিক ও মাসিককে জার্শ্বানু “কুন্টরের" বাহন বিবেচনা করিলে চলিতে পারে। জাৰ্ম্মান-জীবনে নবীন-প্রবীণ २२ॐ S AASAASAAAAASA SSASAS SS SAAAA AAAAMMAMMS রুডল্ফ পেখেল ("ডায়চে রওশাও”র সম্পাদক ) ইহাদের আদর্শেই জাৰ্ম্মান-গৌরবের যা-কিছু সব নিয়ন্ত্রিত হইয়াছে ཤ་ཐང་ এথনে অনেক দিন নিয়ন্ত্রিত হইবে। (>> ) চিত্রশিল্পী ম্যাস্ রেবেল বলিতেছেন —“আজকাল জার্মানীর প্রদর্শনীগুলার নবীনতম শিল্পরীতির অত্যধিক প্রস্তাব দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু আমি অতদূর অগ্রসর হইতে পারি নাই।" বস্তুতঃ চরমপন্থী জ্যামিতিকরূপবহুল চিত্রাঙ্কন জাৰ্ম্মানির বাজারে বিজ্ঞাপনে যত দেখিতে পাই, প্যারিসে, লওনে বা নিউইয়র্কে তত দেখিতে পাই নাই। একটা বিশেষ কথা এই যে, এমন-কি বার্লিনের স্বাশঙ্কাল গ্যালারিতেও চরমপন্থী চিত্রকর এবং ভাস্করদের হাতের কাজ আদরের সহিত প্রদর্শিত হইয়া থাকে। কিন্তু প্যারিসের “আকাডেমিত্তে" সেটি হইবার জো নাই। বার্লিনের ডিরেক্টর লীযুক্ত জুষ্ঠি এই হিসাবে অনেকটা উদারতা অবলম্বন করিয়া চলেন। রেবেলের চিত্রশালায় বুঝিলাম ইহার কাজকে একদম মামুলিপন্থী বলা অসম্ভব। নিজের মাথা খাটাইয়। নতুন নতুন প্রাকৃতিক দৃষ্ঠ গড়িয়া তোলার ইহঁর হাত থেলিয়াছে। রূপগুলার ভিতর কল্পনার ঠাই বিস্তর। শক্তির সঙ্গে স্বষমও একত্র সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। এইসব ওস্তাদিই সালেক কালের পুরানো পথেও দেখানে সম্ভব। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ফরাসী শিল্পগুরু সেজান যে পথ ধরিয়া গিয়াছেন সেই পথের পথিকেরা আজকাল বহুদূরে চলিয়া আসিয়াছে। তাহার ছাপ রেবেলের পক্ষে এড়ানো সম্ভবপর হয় নাই। বাস্তবিক পক্ষে, আজকালকার যে কোনো চিত্রশিল্পীর কাজেই অল্পবিস্তর এই সেজান ধৰ্ম্ম দেপিতে পাই। রেবেল স্বকুমার শিল্পের শিক্ষা সম্বন্ধে বলেন :-"ষে যে পথের পখিকই হউক না কেন, প্রত্যেকের পক্ষেই কিছু কালের জন্ত কোনো