পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ ( २e ) কিন্তু জাৰ্ম্মনের এই হায়ারকেই দুনিয়ার শেষ পীর বিবেচন, করিতেছে কি ? না। চিত্র-শিল্পের লাইনে যেমন ফরাসী সেঞ্জনের পর হইতে "ফিউচারিজম" বা বিশাৰদ নানারূপে দেখা দিয়াছে, সঙ্গীত-শিল্পের বিভাগেও সেইরূপ ভবিষ্যপন্থী “বেলিশেহিজ ম” দেখা যাইতেছে । ফ্রাগের ক্লোদ দ'লুসি ( ১৮৬২) সঙ্গীত বিপ্লবের প্রবর্তৃক । আধুনিক পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সর্বপ্রথম আবিষ্কার "হামনি"। এই শব্দের অর্থগত বস্তু ভারতীয় শিল্পে নাই। কাজেই সম্প্রতি ইছার জঙ্ক একটা ভারতীয় প্রতিশব্দ ঢুঢ়িতে প্রলুব্ধ হইতেছি না। ভিন্ন ভিন্ন-শ্রেণীর একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে "কর্ড" তৈয়ারি হয়। সেই কর্ড গুলার স্রোত বহাইতে পরিলে হামনি স্বষ্টি করা সম্ভব। চিত্র-শিল্পে পরিপ্রেক্ষিক (পাম্পে কুঁটিগু.) যে বস্তু, সঙ্গীতে কর্ড বা "গৰি"মূলক হানি অনেকটা তাই। হামনির দস্তুর এই যে, প্রথম দুই-তিনটা কর্ড, শুনিবামাত্র পরে কোন ধরণের কর্ড, আসিতে বাধ্য তাছার আলাজ করা সম্ভব। অবহু আমি পারি না। ওস্তাদরী পারে। জাৰ্ম্মণ পরিবারের অনেক স্ত্রী পুরষও পারে। কারণ তাহারা এইদিকে অল্প-বিস্তর শিক্ষা লাভ করিয়া থাকে। তাহা ছাড়া অঙ্ক-শাস্ত্রের মতন সঙ্গীত একটা অতি মাত্রায় মাপ-জোকসমম্বিত বিদ্যা । এখানে গোজা-fমল চলিবার সম্ভাবন নাই। যেমন “তাল কাটির” গেলে আপূড়ার রদিকের তৎক্ষণাৎ তাহ ধরিতে পারে, সেইরূপ কর্ড গুলার “লক্ষ্যমুখীনতা"ও পাকৃড়াও কবা সম্ভব । দ’বুদি বললেন —“যদি আমার ওস্তাদি তোমরা ধরিতেই পারিলে তাহা হইলে আর আমার ওস্তাদি রহিল কোথায় ? একটা নতুনকিছু করা চই-ই চাই।” কাছেই দ’বুসি হামণির মামুলী পথ বর্জন করিয়া একদম “অকথ্য” উপায়ে কর্ড গুল লইয়। "ছেলে পেল।” মুরু করিয়াছেন। ইহার নাম সঙ্গীত-রাঙ্গো বোলুশেহ্যিক পথ । জাৰ্ম্মান ওস্তাদ আন শোনবার্গ ( ১৮৭৩ -) এইপানেই ঠেকিবার পাত্র নয়। কর্ডগুলাকে বিতিকিচ্ছিরপে যেপানে-সেখানে বসাইয়াই ইহার সাধ মিটে না। সঙ্গীত-কলার যে আদিম ভিত্তি “মেডি" ব। স্বর, স্তেনবার্গ তাহাকেও লুগুভও করিয়া ছাড়িয়ছেন । এমন কি “স্বর"গুলাকেও টুকরা-টুকরা করিয়া ধ্বনির নতুন-নতুন রূপ তৈয়ারি করিবার পথে ইনি অনেক-দুর অগ্রসর হইরাছেন। এই ভাঙা-ভাঙির লঙ্কাকাওে পশ্চিমা সনাতন বার-বিজ্ঞাগওয়ালা সকল স্বরপর্য্যায় আমাদের স্বপরিচিত বাইশ"শ্রুতির" কাঠাম ছড়াইয়াও উঠিঙেছে । গুেনবার্গের পিয়ানোর গৎগুলি শুনির কার সাধ্য বুঝে ? এই যন্ত্রে কিসের আওয়াজ বাহির হইতেছে ? স্বরের তাণ্ডব ন৷ অম্বরের ওস্তাদি ? ( ૨૭ ) ভারতবাসীর পক্ষে সঙ্গীতের এই বিপুল ভাঙাগড়া বুঝা অসম্ভব। আমর ভরতমুনির আবিষ্কার পর্যন্ত—শুনিতে পাই মিঞা তানসেন ইত্যাদিরও নাকি অনেক আবিষ্কার অাছে—উঠিয়াছিলাম। তাহার পর আর অগাইয়া আদিতে পারি নাই । কিন্তু ইয়োরোপীয়ান গ্রীক্ রোমান এবং মধ্যযুগের গীর্জাসঙ্গীতকে পশ্চাতে ফেলিয়া উন্নত হইতে-হইতে জাৰ্ম্মান বাখ ( ১৬৮৫-১৭৫• ) এবং ফরাসী রাম্যে ( ১৬৮৩-১৭৫৪ ) ইত্যাদি ঋষির যুগে আসিয়া ঠেকিয়ছিল। রাম্যে ১৭৪৯ সালে “হামনি”-সম্বন্ধে স্বসম্বন্ধ গ্রন্থ প্রচার করেন । সেই গ্ৰন্থই আধুনিক সঙ্গীতের বেদম্বরূপ। সঙ্গীতে এই প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড থানেই বর্তমান জগতের গোড়া। গ্ৰীক, রোমাল এবং মধ্যযুগের ইয়োরোপীয়ান বাখ রাম্যোকে কোন-মতেই বুঝিতে পারবে না। এই छूनिब्रां ७कलभ बन्त्र । এইখানে মনে রাখিতে হইবে গোট। ইয়োরোপ ও আমেরিক অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে পুরানো ভাঙিয়া নবীন গড়িতেছিল। এই যুগেই श्रीब-७खिन ७ढांबिल इग्न । ७३ गूग३ नडून-नडून कशकांद्रथानां প্রতিষ্ঠিত হইতে থাকে ( ১৭৭০-৮৫ ) । এই যুগেই আডাম স্মিথ, উtঙ্কার “ধনবিজ্ঞান” গ্রন্থ প্রচার করেন(১৭৭৬ ) । এই যুগেই ফরাসী বিপ্লব দেপা দেয় ( ১৭৮৯-৯২) । এই যুগেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বত্রপাত হয়, ( ১৭৮৫) অর্থাৎ এইখানেই শিল্পে, বিজ্ঞানে, সাহিতো, রাষ্ট্রে, সমাজবিন্যাসে, শ্রেণীবিপ্লবে, মজুর সমস্তায় "বৰ্ত্তমান জগৎ" দেখা দেয়। ভারতবর্ণ এই যুগেই গোলাম হয় (১৭৭২ )। ভারতবাসীর দাসত্ব এবং বওঁমান জগতের উৎপত্তি একসূত্রে গাথা । এই বর্তমান-জগতে ভারত-সপ্তান-আর্য্যভট্ট, বরাহমিহির, নাগীর্জন, পাতঞ্জলি, আপৃষ্ণারারি, আলবেরুনির বংশধরের নিজ-নিজ মাথার পরিচয় দিতে পারিয়াছে কি ? পারে নাই। যদি পরিত, etঙ্গ হইলে ষ্টমএঞ্জিন বলিলে শিল্প, রাষ্ট্র ও সমাজের যাগ-কিছু বুঝা যায় সবই ভারতবাসীর স্ববশে আসিত। যদি পরিক্ত তাহা হইলে হামনি বলিলে সঙ্গীতে যাহ-কিছু বুঝা যায় সবই ভারতীয় স্বরাঙ্গে দেখা দিত। অর্থাৎ ভারত-তানসেনের বাচ্চার নিজেই বেঠোফেন, শোপী, হবীগ্নাব, চাইকোহসকি হইয়া জন্মিতে পারিত। তাহ হইলে তাঁহার পরের ধাপট—অর্থাৎ দ’বৃদি-শোনবার্গের কেরদানি, পাগলামি বা বীরত্ব এবং ওস্তাদি বুঝিবার, বুঝাইবার এবং স্বষ্টি করিলার লোকও ভারতীয় হাড়মাসেই পাওয়া যাইত ! ( २१ ) যাহা কটক জাৰ্ম্মানেরা এই নবীন সঙ্গীত-সম্বন্ধে অনেকেই নীরাজ । নতুনের ঠাই দুনিয়ার কোথাও স্বতি শীঘ্র প্রতিষ্ঠিত হয় না । অধিকন্তু নবীনের অনেক-সময়েই কিছু বাড়াবাড়ি করিয়া বসে। সামাজিক এবং রাষ্ট্ৰীয় বিপ্লবে এই-কথাটা সহজেই বুঝা যায়। অতিবুদ্ধির পর বিপ্লবীরা এক ধাপ পেছন হটির “বুজোআ" “সনাতনী" বা নরম ও মডারেট দলের সঙ্গে খানিকট অপেক্ষ করিয়া চলে। জগতের যে কোলে কৰ্ম্মক্ষেত্রে এইরূপ চিরকাল ঘটির আদিতেছে। কিন্তু নয়ায়-পুরানায় “রফা” করিতে-করিতে শেষ পর্য্যস্ত নয়াই দিগ বিজয়ী হয় । । বার্লিনে এক সঙ্গীত-গুরুর সঙ্গে আলাপ হইয়াছে। নাম ওপস । পিথানে এবং বেহালার মহলে ইহার নামডাক খুব উচু। অৰ্কেষ্ট্রর পরিচালক (কণ্ডাক্টার) হিসাবে ইহার ব্যবস এবং যশ । লড়াইয়ে “সেনাপতি"র কাজ যেরূপ সঙ্গীতে কওক্টারের কাজ সেইরূপ। ভারতে এই-পদের মৰ্ম্ম বুঝা সহজ নয়। ভবিষ্যপন্থী সঙ্গীতের ঠাট্টা করিয়া ওগস একদিন বলিতেছিলেন,— "আমি এক দিন এক মজলিসে কতকগুল সঙ্গীতের পাক সমঙ্গদারকে निभङ्ग१ कब्रिग्रां श्रांनिम्नांख्लिाम । ॐांझानिशंरक' नर्देौन मत्रौरङब्र नभून শুনাইৰ এইকথা জানাইয়াছিলাম। কি করিয়াছিলাম জানেন ? বাপ, বেঠোফেন, মোৎসার্ট ইত্যাদি সঙ্গীত গুরুদের সুপ্রসিদ্ধ গৎগুলা বাজাইয়া যাইতে লাগিলাম । কিন্তু প্রত্যেকটার ভিতরই যেখানে সেখানে যথেচ্ছঙ্কপে ভুল চালাইয়া দিতে ক্রটি করি নাই। স্বরের, কর্ডের, হাম নির শ্রাদ্ধ করা যাকাকে বলে ঠিক তাঁহাই করিয়াছিলাম। সমজদারের আমার এই বদমায়েসি ত ধরিতে পারিলেনই না। বরং প্রত্যেক बांबनाञ्च शब३ ॐशब्र नगैन नत्रौtडद्र धून ठाब्रिक कब्रिप्ठश्रिजन ।