পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨88 SAASAASAA AA ASASASS মুসলমানের নিকট উপলব্ধি করিলাম। আজ সে ২৫ বৎসরের কথা। . এখন বৃদ্ধ হইয়াছি। কিন্তু সেই রাজের ঘটনা মনে হইলে এখনও জামার গা শিহরিয়া উঠে । এখনও আমি উদেশে সেই মুসলমানের চরণে প্ৰণিপাত ©করি । ভোর না হইতে হইতেই বৃদ্ধ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি সমস্ত রাজি নিজা ঘান নাই। আমাদের কিসে স্ববিধ হইবে, এইচিন্তায় তিনি ঘুমাইতে পান নাই। আসিয়া বলিলেন, “বাৰু কুয়া প্রস্তুত ; মুসলমানের কেহই এই কুয়ার জল স্পর্শ করে নাই । তোমরা নিশ্চিন্তমনে এই কুয়ার জল ব্যবহার করিতে পার।” * , আমার ষেন বাক্রোধ হইল, আমি কিছুই বলিতে পারিলাম না। তিনি ভাৰিলেন জামি বুঝি সন্দেহ করিতেছি। আবার বলিলেন,"দোহাই খোদাতালার – আমি সত্য কথা বলিতেছি”। আমি তখন একলম্ফে উঠিয় তাহাকে জড়াইয়া ধরিয়া আলিঙ্গন করিলাম এবং বলিলাম, “পানীয় জল ত হইল ; কিছু আহার করাবেন না ?" সবইনেসপেক্টার বাবুটি তখন আমার দিকে তীব্র দৃষ্টিতে চাহিতেছিলেন, আমি তাহাতে ক্ৰক্ষেপ না করিয়া সাদরে তাহাকে আমার বিছানায় বসাইলাম –এবং বলিলাম, “কিছু খাইতে দিন।” বৃদ্ধ হাসিয়া বলিলেন, “সেইজন্যই ত আসিয়াছি। "জামি আপনাদের আহারের জন্ত বিশেষ কিছু উদ্যোগ করিব না –আমার ঘরে ঘাহা অাছে তাহাই দিব । আপনারা এখন স্নান-আহ্নিক শেষ করুন। আমি जैञ्चहे আসিতেছি יין প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ SAMAMMAMMACAMMAA S SA SAS 00SAAAAS যে অতিথি নারায়ণ সে-কথার সারবত্তা আজ একজন • [ २8* छांभ, २ग्न थ७ সব-ইন্সপেক্টার-বাবুট আমার দিকে একবার তাকইয়া বলিলেন, “কি করা যায় ?” আমি বলিলাম, “দেখুন দুবে-মশায়, যদি ভালো চান তবে কোন আপত্তি করিবেন না।” দুৰে মহাশয়ের সে-মাসের মস্ত একটা রাহা-খরচের বিল আমার হাতেছিল—তিনি আমার মুখের চেহারা দেখিয়া হাস্যমুখে বলিলেন,-“না না,আমার কি আপত্তি ? আপনি ত কুলীন ব্রাহ্মণ , আপনি যদি খান, তবে আমি কেন আপত্তি করিব ?” এই বলিয়া তিনি নিজের চাকরকে প্রায় দশ-সের আন্দাজ গোময় আনিয়া ঘরের মেজেটি উত্তমরূপে প্রলেপ করিতে বলিলেন । এবং শিশিতে গঙ্গাজল ছিল, তাহার কিঞ্চিৎ ছিটাইয়া দিয়া বশিলেন– “বাস, আর কোন আপত্তি নাই ।” যথাসময়ে বৃদ্ধ আসিলেন । কলার পাতা ৮১•খান, স্বগদ্ধি চালের সরু চিড়া, ক্ষেতের গুড়, পাকা মৰ্ত্তমান কল। ও আন্দাজ তিনসের টাটুকা দুগ্ধ আনিয়া আমাদের নিকট রাখিয়া দিলেন । 蠱 আমরা স্নানাদি-কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া সেগুলির যথাবিহিত সম্মান করিলাম এবং বেলা ১০টার সময় গরুর গাড়ীতে উঠিলাম। আসিবার সময় ইচ্ছা হইয়াছিল, বৃদ্ধের পাদস্পর্শ করিয়া বন্দনা করি ; কিন্তু সব-ইন্সপেক্টার-বাবুর ভয়ে পারি নাই । এই দুর্বলতার জন্ত এখন আমি লজ্জিত । আজকাল হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধের কথা শুনিতে পাইতেছি । তাই ইচ্ছা হইতেছে, সেই অমায়িক বৃদ্ধ মুসলমানের স্বগীয় আত্মাকে আহবান করিয়া বলি, “হে মহাপুরুষ, তুমি আসিয়া এই মনোমালিন্ত দূর করিয়া দাও ।”