পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNు প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ , সৰ্ব্বদাই থাকিবে। তাহাতে তাহার পক্ষে নিৰ্ভয়ে चांशैौमस्रां८व 6मटलब्र कांछ कब्रा चठिभग्न कठैिन झञ्च । कथन कथन गप्नशखांखन दाखिन्ब्र चौवन अभन छूर्तिश् হইয়া উঠে, যে, আত্মহত্যাও ঘটে। এইজন্য আমরা বলি, কোন বিপ্লবী যদি কোন ছুক্ষম করিয়াও থাকেন, তাহা হইলেণ্ড, যদি তিনি অমৃতপ্ত হন এবং আত্মসংস্কার করিয়া স্বপথ অবলম্বন করেন, তাহা হইলে তাহার নিজের পক্ষে ও সমাজের পক্ষে উহাই যথেষ্ট । পুলিসের নিকট দোষ স্বীকার ও তাহাদের হাতে আত্মসমর্পণ করিয়া পার্থিব জীবন ব্যর্থ ও দুঃখময় করা অনাবগুক ত বটেই, অধিকন্তু তাহা তাহার নিজের ও সমাজের ক্ষতির কারণ । কেহ যদি খুনও করিয়া থাকে, তাহা হইলেও তাহার প্রাণনাশ ঘটা অপেক্ষ তাহার অকপট অনুতাপ ও নবজীবন লাভ বাঞ্ছনীয়। রোম্যান ক্যাথলিকু পুরোহিতগণের নিকট যদি কোন নরহস্ত। গিয়া দোষ স্বীকার করে, তাহা হইলে তাহারা তাহাকে পুলিশের হাতে সমর্পণ করেন না –যাহাতে তাহার প্রকৃত অস্থতাপ হয় এবং হৃদয়ের ও জীবনের পরিবর্তন হয়, এরূপ উপদেশই র্তাহারা দিয়া থাকেন। কেহ কাহারও আইনভঙ্গ দোষ জানিতে পারিলেই তাহা গবর্ণমেণ্টের গোচর করিতে ধৰ্ম্মতঃ বাধা নহেন ; কিন্তু আমরা সকলেই সাধু জীবন যাপন করিতে এবং পরম্পরের দোষ সংশোধনে সহায়তা করিতে ধৰ্ম্মতঃ বাধ্য । ৰিপ্লবী বা অন্ত কেহ কোন আইনভা করিয়া যদি আপন হইতে দোষ স্বীকার করেন ও ধরা দেন, তাহাতে আমাদের কোন আপত্তি নাই । কিন্তু যদি এরূপ কেহ অব্যাহতির আশায় বা অন্য কারণে নিজের সহকৰ্ম্মীদিগেরও দোষ বলিয়া দেয় ও তাহাদিগকে ধরাইয়া দেয়, তাহ হইলে তাহাকে বিশ্বাসঘাতক নীচ লোক বলিয়া স্বভাবতই সকলে ঘৃণা করে, এবং তাহ করাই উচিত । অতএব দোষ স্বীকারের সীমা নিজের দোষ পৰ্য্যন্ত , সহকৰ্ম্মীর দোষের কথা আত্মমৰ্য্যাদা-বিশিষ্ট লোকেরা বলে না। অবশ্ব গান্ধীজি এরূপ ব্যবহার কলিকে বাতাকেও বলেন নাই । - নিগ্রহ-নীতি প্রবর্তনের কারণ গবর্ণমেণ্ট, কেন এ-সময়ে নিগ্রহ-নীতি প্রবর্তিত করিলেন, তাহা গবর্ণমেণ্টই নিশ্চিত জানেন ; আমরা কেবল অনুমান করিতে পারি। অবশ্য অকুমান বলিয়াই ষে তাঁহাকে অসত্য হইতেই হইবে, এমন নয় । বাংলাদেশে বিপ্লব-চেষ্টার প্রাদুর্ভাব হইয়াছে, এই বিশ্বাসে গবর্ণমেন্ট, নূতন অর্ডিন্যান্স, জারী ও পুরাতন রেগুলেশ্যন প্রয়োগ করিয়াছেন,ইহাত সবাই জানে। কিন্তু গবর্ণমেণ্টের বর্ণনা-পত্র হইতেই জানা যায়,যে,সরকারী-মতে দেশের এই অবস্থা নূতন নয় ; বিশেষতঃ গোপীনাথ সাহ মিষ্টার ডেকে হত্যা করার পর এবং সিরাজগঞ্জে তদ্বিষয়ক প্রস্তাব ধার্ষ্য হওয়ার পর বিপ্লববাদের প্রতি গবৰ্ণমেণ্টের এবং ইংরেজদের প্রখর দৃষ্টি পতিত হয়। তখন নিগ্ৰহনীতি বিশেষভাবে অবলম্বিত না হইয়া সম্প্রতি হইবার কারণ কি ? এবিষয়ে আমাদের অনুমান বলিতেছি । বিলাতের শ্রমিকদল যতদিন তথাকার রক্ষণশীল বা উদারনৈতিক গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধপক্ষভুক্ত ছিল, ততদিন তাহারা ভারতবর্ষে শক্ত-শাসন ও দলন-নীতির বিরোধী ছিল। শ্রমিকদের নেতা মিষ্টার রামজে ম্যাকৃডন্যান্ডতাহার একখানি বহিতেও ভারতীয় নিগ্রহ-নীতির নিন্দা করিয়াছেন । শ্রমিকেরা যখন বিলাতে ক্ষমতা পাইল ও তাঁহাদের লোকেরাই গবর্ণমেণ্ট গঠন করিল, তখন তাহার স্বভাবতঃই ভারতে শাক্ত-শাসনের ভক্ত হয় নাই । এই কারণে ডের হত্যা ও সিরাজগঞ্জের প্রস্তাব-সম্পর্কে বিলাতী ও এদেশী ইংরজেদের আন্দোলন-সত্ত্বেও নিগ্রহ-নীতি অবলম্বিত হয় নাই। তাহার জন্ত বিলাতে শ্রমিকদলের বিপক্ষ রাজনৈতিকগণ শ্রমিক গবর্ণমেণ্ট কে দুৰ্ব্বল বলিয়া আসিয়াছে, এবং বলিয়াছে,যে, তাহাদের দুৰ্ব্বলতার জন্য ভারতে ইংরেজ রাজত্ব অদৃঢ় হইয়াছে এবং ইংরেজের প্রতিপত্তি ও প্রভাব লোপ পাইতে বসিয়াছে ; ভারতে ইংরেজের সম্পত্তি এবং ইংরেজ নর-নারীর মান, ইজৎ ও প্রাণ বিপন্ন হইয়াছে। তাহার পূর কিছুকাল পূর্কে নূতন করিয়া পালেমেন্টের সভ্য নির্বাচন স্থির হইল । ওয়ার্কাস উইকলি-নামক