পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭br প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ २४= खI१, २न श्७ অস্বীকার করিতেছেন। তা ছাড়া, ইহা ত দেখা যাইতেছে, গোপীনাথ সাহা, বরেন ঘোষ এবং আরও অনেক রাজনৈতিক আসামীকে জুররর অপরাধী বলিয়াছিলেন । আলিপুরের মোকদ্দমায় জজ এস কে ঘোষ মহাশয় জুরীর সঙ্গে একমত হওয়ায় উহা ফাসিয়া যায়। অধিকন্তু জজ এই মোকদ্ধমার রায়ে বলেন যে, আসামীদিগকে পুলিস দীর্ঘকাল নিজের হেফাজতে রাখে, ও সাতবার তাঠাদের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করে, এবং প্রত্যেক বারেই স্বীকারোক্তিতে “উৎকর্ষ" লক্ষিত হয় ! গবর্ণমেণ্ট কিন্তু ইহাতে পুলিসের কার্সাজি না দেখিয়া আসামীর খালাস পাইবামাত্র তাহাদিগকে আবার গ্রেফতার করিয়া জেলে নিক্ষেপ করান । ইহাতে জুরবৃদের ভীত হইবার প্রমাণ কোথায় । শিয়ালদহের দলবদ্ধ ডাকাতি মোকদ্বমাতে একজন "রাজার সাক্ষী” বলে যে, সে, রাত্রে মোটর চালাইয়াছিল ; কিন্তু সে দিনের বেলাতেও ঠিক তাহার বর্ণনামত মোটর চালাইতে পারিল না। এইজন্য তাহার সাক্ষ্য অগ্রাহ হইল। এখানেই বা ভয় প্রদর্শনের প্রমাণ কোথায় ? তবে ইহা সত্য, ধে, কখন-কখন আসামীদের মধ্যে কেহ “রাজার সাক্ষী” হইয়া দাড়াইয়। খালাস পাইবার পরেও তাহার পূর্বতন সঙ্গীদের ক্রোধ হইতে নিষ্কৃতি পাওয়া তাহার পক্ষে কঠিন হয় । কিন্তু ইঙ্গ অপরাধের ইতিহাসে নূতন কথা নয়, এবং রাজনৈতিক বা বিপ্লবংক্রান্ত অপরাধেই যে ইহা ঘটে তাহাও নহে । সাধারণ দলবদ্ধ ডাকাতির মোকদ্বমাতেও কোন ডাকাত “রাজার সাক্ষী’ হইয়া খালাস পাইলে তাহার জীবন সঙ্কটাপন্ন আগে ও হইত, এখনও হয় । কিন্তু সে কারণে কোন বিশেষ আইনের প্রয়োজন অনুভূত হয় নাই । আইনজ্ঞ ও ফৌজদারী মোকদ্দমায় অভিজ্ঞতাবিশিষ্ট লোকের বলিতেছেন, ষে, বিপ্লব-চেষ্টা বাংলাদেশে যতটুকু আছে, সাধারণ আইন দ্বারাই তাহার দমন হইতে পারে। আমাদের মত তাহাই । • ১৮১৮ সালের তিন নং রেগুলেশ্যন, ১৮১৮ সালের তিন নং রেগুলেশ্যন যখন প্রণীত হয়, তখন ভারতবর্ষের সর্বত্র ইংরেজ-প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, স্বাধীন রাজ্য অনেক ছিল, যুদ্ধ-বিজোহের সম্ভাবনা খুব ছিল, ব্রিটিশ এলাকার সীমাগুলি স্বরক্ষিত ছিল না । সেই সময়কার অবস্থার সঙ্গে আধুনিক অবস্থার সাম্য বা সাদৃশু নাই। এই কারণে দমন-আইন-কমিটি (রিপ্রেসিভ, লস কমিটি) অনুরোধ করেন, যে ঐ রেগুলেগুন কেবলমাত্র উত্তরপশ্চিম সীমান্তে প্রযুক্ত হইবে, এবং সেই মর্শ্বের একটা ক্ষুদ্র আইনও করা হইবে । কিন্তু গবর্ণমেণ্টের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাপ্রিয়তা এত বেশী যে, এপর্য্যন্ত রেগুলেগুনটাকে সীমাবদ্ধ করিবার জন্ত আইন ত হয়ই নাই, অধিকন্তু সম্প্রতি ধে অনেক কুড়ি লোককে গ্রেফতার করা হইয়াছে, তাহার কেহ কেহ ঐ রেগুলেণ্ডন অনুসারে স্থত হইয়াছে। বাংলাদেশটা বোধ হয় আফগানিস্তানের সীমায় অবস্থিত। ' দলন-নীতির কুফল বিপ্লব-চেষ্টাধখনই যে-দেশে হইয়াছে, তখন,বিপ্লবাবস্থার কারণ দূর না করিয়া, কেবল দলননীতির অবলম্বনে কখনও তাহার মূলোচ্ছেদ হয় মাই। কিন্তু ভারতীয় জবরদস্ত শাসকরা সম্ভবতঃ মনে করেন, মানব-প্রকৃতিটা ভারতে বিশেষতঃ বঙ্গে সাধারণ মানব-প্রকৃতি হইতে ভিন্ন, এবং রুশিয়া, পোল্যাণ্ড, আয়াল্যাণ্ডের লোকেরা সাহসী, সবল, শক্ত মানুষ বলিয়া দলনীতি সেই সেই দেশে সফল ন হইলেও ভীরু, ছুৰ্ব্বল ও নরম বাঙ্গালীর দেশে তাহ সফল হইবে । তাহারা আরও মনে করেন যে, আগে আগে, যে, বিপ্লববাদ নিমূল হয় নাই, তাহার কারণ দলনট যথেষ্ট পরিমাণে করা হয় নাই। ইহা ভূল । চিকিৎসকের বলেন, রোগ-বিষপূর্ণ বায়ুতে বাস করিতে করিতে অনেক মাহুষ পীড়িত হইয়া মারা যাইলেও অন্ত অনেকের শরীর একপ্রকার অব্যাহতি অর্জন করে যাহাঁতে তাহারা আর আক্রাস্ত হয় না। তেমনি ভয়আতঙ্কের হাওয়াতেও হয় । ভয়ের মধ্যে থাকিতে থাকিতে