পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ २8* छां★, २ब्र थ७ سیاست ختم میس - میم مجم. ---- -------ع------------- ہی۔ممبسحساس حصہ محمد صمصام۔۔ আবিস্তক যাহাতে তাহাদের হৃদয়ে প্রতিহিংসার পরিবর্তে স্বভাবের উল্লুেক হয়। বিপ্লববাদের উচ্ছেদসাধন করিতে হইলে উহার মূলে ঘা দিতে হইবে। ভারতবর্ষের সহিত ইংলণ্ডের সম্বন্ধটাই অস্বাভাবিক। উহার পরিবর্তন আবশ্যক। ইংলণ্ডের সাংসারিক সমৃদ্ধি, ঐশ্বৰ্য্য ও প্রতিপত্তি রক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্ত ভারতবর্ষের স্বষ্টি হয় নাই । ভারতবর্ষকে তাহার নিজের ইচ্ছা-অনুসারে নিজের ও জগতের কল্যাণ-সাধন করিতে দিতে হইবে। কিন্তু বহুকাল ধরিয়া কেবল এই মর্মের কথাই বলা হইতেছে, যে, ভারতীয়েরা নিজের কাজ চালাইতে অসমর্থ, তাহার রাষ্ট্রীয় শিশু, নাবালক, ইংরেজরা তাহাদের অছি। এসৰ বাজে কথা। ইয়োরোপে ও আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় কার্ধ্যে আমাদের চেয়েও অদক্ষ জাতি আছে ; অথচ তাহারা স্বাধীন। ইংরেজ নিজের স্বার্থের জন্ত এদেশে আসিয়াছিলেন, ছলেবলে-কৌশলে প্ৰভু হুইয়। স্বার্থের জন্তই এদেশে আছেন, এবং প্রভুত্বের হ্রাস বা লোপের আশঙ্কা হইবামাত্র অনেক ইংরেজ বে-আইনী বেইমানী অমামুষিক কাজ করে। এসব পরিবর্তন করিতে হইবে । তাহার। আমাদের অছি নহে । ভারতবর্ষের ও ইংলণ্ডের পরম্পরসম্পর্কের ভিত্তি যদি বাহুবল, অস্ত্রবল, চাতুরীবল, দলবদ্ধতার বল হয়, তাহা । হইলে, স্বাধীনতাকামী, অল্পদর্শী, উৎসাহের আতিশয্যে বুদ্ধিভ্রষ্ট লোকদের পক্ষে বাহুবল, অস্ত্রবল, দলবদ্ধতার বল ও চাতুরৗবলের দ্বারাই এইসম্বন্ধের বিলোপ সাধন করিবার চেষ্টা বুদ্ধির অগম্য নহে। এইরূপ লোকেরা বুঝিতে পারে না, যে, বল, অস্ত্র, দলবদ্ধতা ও চাতুরীর বিরুদ্ধে বল, দলবদ্ধতা ও চাতুরীর প্রয়োগ করিতে হইলে তৎসমুদয় যথেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় তাহা হইতে পারে না । উৎসাহের আতিশয্য এবং অভিজ্ঞতার অভাবে ইহা ভুলিয়া যাওয়া আশ্চর্ধ্যের বিষয় न८झ । সশস্ত্র বিপ্লব অসাধ্য বলিয়াই উহার চেষ্টা পরিহার্ষ্য, সশস্ত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে ইহা আমাদের একমাত্র বা প্রবলতম যুক্তি নহে। অন্ত যুক্তিও আছে । তাহা অনেকবার বলিয়াভি. পরে আবার বলিতে পারি। যাহা বলিলাম তাহা সহজবোধ্য বলিয়া বলিলাম। কিন্তু ইহার দুর্বলতাও আমরা অবগত আছি। অমুক কাজটা অসাধ্য-ইহা বলিয়া কখনও মানুষকে, বিশেষতঃ তরুণ মানুষকে, নিরস্ত করা যায় নাই। তরুণ বলে, আকাশে উড়া একসময় অসাধ্য ছিল, এখন সাধ্যায়ত্ত হইয়াছে ; গৌরীশঙ্করের চুড়ায় আরোহণও অসাধ্যের পধ্যায় হইতে সাধ্যের পৰ্য্যায়ভুক্ত হইবে। এইজন্ত অসাধ্যতার যুক্তি এই ক্ষেত্রে বাস্তবিক খুব প্রবল হইলেও অন্ত যুক্তির প্রয়োজন अप्टिक्क । তরুণদের অপমান-বোধ জাগাইয়া এবং গৌরববোধ উদ্দীপ্ত করিয়া তাহাদিগকে অনেক কাজ হইতে নিবৃত্ত ও অন্ত অনেক কাজে প্রবৃত্ত করা যায় । এইজন্ত কেহ কেহ এই যুক্তি প্রয়োগ করেন, যে, বিপ্লবীদের কোন কোন কাজ ভীরুর কাজ, কাপুরুষের কাজ। যেমন মানুষের উপর অতর্কিতে বোমা-ছোড়া ও রিভলভার হইতে গুলি-ছোড়া । যাহারা প্রাণদণ্ডের সম্ভাবনাকে অগ্রাহ করিয়া এইসব অপকৰ্ম্ম করে, তাহারা সাহসহীন, একথা খাটি সত্য কথা না হইলেও, ঐ কাজগুলা যে কাপুরুষত তাহ আমরাও মনে করি। কিন্তু আমরা ইহাও মনে করি, যে, এরোপ্লেন হইতে অযোদ্ধা নারী শিশু ও বুড়া মানুষ নিৰ্ব্বিশেষে গ্রামবাসী সকলের উপর বোমাবর্ষণ জঘন্যতর কাপুরুষতা ; ইরাকে রাজা ফৈসলের খাজনা আদায় করিয়া দিবার জন্য এবং আফিকার এক অসভ্য জাতির নিকট হইতে কাজ আদায় করিবার জন্য ইংরেজ যে এরোপ্লেন হইতে বোমা বর্ষণ করিয়াছিল তাহা জঘন্যতম কাপুরুষতা ও অমানবিকতা । আমরা এইসমস্ত কাজকেই গৰ্হিত মনে করি ; মৃতরাং আমরা বিপ্লবীদের দ্বারা বোমা নিক্ষেপের নিন্দ খুব সঙ্গতভাবেই করিতে পারি এবং আশাও করিতে পারি, ষে, আমাদের কথায় অন্ততঃ কেহ কেহ আস্থাবান হইবেন। কিন্তু যাহারা উল্লিখিত-প্রকারে ও-কারণে এরোপ্লেন হইতে বোমা বর্ষণ করে, বা তাহার সমর্থন করে, কিম্বা তাহার সমুচিত নিন্দ করে না, তাহারা বিপ্লবীদিগের কার্য্যকে কাপুরুষতা-প্রস্থত বলিলে সঙ্গতিরক্ষা না হওয়ায় তাহাদের কথাগুলা হাওয়ায় মিলাইয়া যায়।