পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ স্থযোগ কোথায় ? কেহ যদি বাইসিক্লে পথমাঠ, বনজঙ্গল অতিক্রম করিয়া ২৪ শত মাইল গিয়া সামান্ত একটু শক্তি, কষ্ট-সহিষ্ণুভ ও সাক্ষস দেখাইতে চায়, তাহার পিছনে পুলিস লাগে ; মোটর গাড়ী করিয়া দূরবর্তী স্থানে কেহ কেবল চিত্তবিনোদনের জন্যও যাইতে চাহিলে শাক্তিরক্ষকদের টনক নড়ে । দেশের এমনি অবস্থা। বিদেশ পৰ্য্যটনের কথা ছাড়িয়াই দাও। তাহার জন্য ছাড়পত্র চাই passport) । তাহা সহজে এবং সকলের পাইবার জে৷ নাই –ভারত বৃহৎ কারাগার। সৈনিক হইবার পথ অধিকাংশের পক্ষে বন্ধ । জাহাজের ব্যবসা নাই বলিলেও হয় ; স্বতরাং সামুদ্রিক ছঃসাহস অসম্ভব । গ্রামে হিংস্ৰ জন্তু আসিলে বন্দুকধারী ইংরেজকে ডাকিতে হয়। এরোপ্লেন কিনিয়া তাহার্তে চড়িবার জো নাই। কুস্তির আডড করিলে পুলিসের খাতায় তাহা লেখা হয়। আর কত বলিব ? অবষ্ঠ সবুকার-পক্ষ বলিবেন, বিপ্লব-বাদের আবির্ভাব হওয়াতেই ত আমবা সবকিছুকে সন্দেহের চক্ষে দেখিতে শিখিয়াছি । সত্য কথা ; কিন্তু বিপ্লব-বাদটা উৎপন্ন হইল কেন ? একথা জোর করিয়া বলিতে পার! যায়, যে, ভারতের লোকেরা অন্ত অনেক দেশের লোকদের চেয়ে হিষ্ণু, শান্তশিষ্ট এবং কম বিদ্রোহ-প্রবণ,-তাহাদের দীর্ঘ রাধীনতার ইহা একটা কারণ। এহেন জাতির মধ্যে বপ্লববাদের আবির্ভাব কেবল আমাদের মজাগত দোষের লুই হইয়াছে, ইহা বিশ্বাসযোগ্য নহে । বিপ্লব-বাদের মুলোচ্ছেদ করিতে হইলে অনিশ্চয় ও পদকে তুচ্ছ করিবার, সাহসের কাজ করিবার, বৈধ নানা থ খুলিয়া দিতে হইবে । নতুবা কেহ কেহ বিপদের লোভনেই যদি অবৈধ পথের যাত্ৰী হয়, তাহ হইলে স্মিত ও ক্রুদ্ধ হইলেই প্রতিকার হইবে না । আমাদের শিক্ষকদের অধিকাংশই এত কম বেতন নি, ধে, তাহাদের মন অসন্তুষ্ট ও তিক্ত-বিরক্ত থাকা কটুও অস্বাভাবিক নহে। অবঙ্গ তাহারা কেহ বিপ্লবদি প্রচার করেন না । কিন্তু অসন্তুষ্ট ও তিক্ত-বিরক্ত লাকদের শিক্ষার অধীন ও প্রভাবের বশবৰ্ত্তী ছাত্রদের নে সাক্ষাৎ- ও পরোক্ষভাবে দেশের অবস্থা-সম্বন্ধে স্তাষের ও ক্রমোন্নতির আশীর ভাব উৎপন্ন ও পুষ্ট না প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ રિકન उॉर्भ, २ञ्च थe SA SAASAASSAAAAAAS AAASASAAAAASAAAA হইয়া অসন্তোষ, তিক্ততা ও নৈরাপ্ত জন্মিলে তাহাকে অপ্রত্যাশিত ফল বলা যায় না। . . . . ৰোগ এদেশে যথেষ্ট আছে, কিন্তু চিকিৎসার ও স্বাস্থা বৃদ্ধির যথেষ্ট বন্দোবস্ত নাই। ইহাও যে, বেকার-সমস্ত ও দারিত্র্যের ন্যায়, বিপ্লব-বাদের অন্যতম পরোক্ষ কারণ, তাহাতে আমাদের সন্দেহ নাই । . . দেশ-নায়কেরা ও গবর্ণমেণ্ট, সকল দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন, এবং যে-ক্ষেত্রে যেরূপ প্রয়োজন, তদ্রুপ উপায় অবলম্বন করুন। এবিষয়ে গবর্ণমেণ্টের কৰ্ত্তব্য ত আছেই ; দেশ-নায়কদেরও দায়িত্ব কম নহে, বরং বেশী । একটা দ্রুত ক্রমোন্নতির সম্ভাবনাতে বিশ্বাস, একটা অদম্য আশাশীলতা, এবং সৰ্ব্বোপরি সকল অমঙ্গলের সহিত সাৰিক ধৰ্ম্মযুদ্ধে বিশ্বাস আমাদের সকলকে সাধনা দ্বারা অর্জন করিতে ও তাহার বশবর্তী হইয়া জীবন-পথে চলিতে হইবে। নতুবা বিপ্লব-বাদ যাইবে না, রাষ্ট্র ও সমাজ নিরাময় হইবে না : বিপ্লব-চেষ্টা সম্বন্ধে কিছু বক্তব্য বিপ্লব কথাটি আমরা অস্ত্রপ্রয়োগে গুপ্ত হত্যা দ্বারা রাষ্ট্রীয় আমূল পরিবর্তন সংঘটন অর্থে ব্যবহার করিতেছি। ভারতে বিপ্লবচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা আগে কিছু বলিস্বাছি । আরও দুএকটা কথা বলিতে চাই । বলপ্রয়োগ দ্বারা যাহা সাধিত হয়, তাহার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ দ্বারা আবার তাহ পণ্ড করা অসাধ্য নহে। ধদি ইংরেজপক্ষের কতকগুলা ইংরেজ ও ভারতীয় লোককে খুন করিয়া কিছু ফল লন্ধ হইতে পারে, ধরিয়া লণ্ডয়া যায়, তাহা ইষ্টলেও ইহা সহজেই বুঝা যায়, যে, ইহা চূড়ান্ত মীমাংসা হইতে পরিবে না। হিংসা করিলেই প্রতিহিংসার উদ্রেক হয়। আবার প্রতিহিংসার প্রতিহিংসা আছে। স্বতরাং ব্যাপারটা কতদূর গড়াইবে ও কোথায় থামিবে বলা কঠিন । ইহাও মনে রাখিতে হইবে, হত্য করিবার ক্ষমতা ও উপায় আমাদের চেয়ে ইংরেজদের হাতে বেশী আছে । আমরা নিজে ইহাতে ভয় পাইয়া বিপ্লবীদিগকেও শক্ষিত করিবার জন্য একথা বলিতেছি না । গুপ্ত-হত্যার পথে চুড়ান্ত কোন নিম্পৰ্ত্তি হইবার