পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-বিপ্লব-চেষ্টা সম্বন্ধে কিছু বক্তব্য ২৭৩ সম্ভাবনা, কিরূপ কম, তাহাই দেখাইবার জন্য ইহা বলিতেছি । অরশু সশস্ত্র বিদ্রোহ দ্বারা দেশকে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা দেওয়া যায়। কিন্তু তাহার উপযুক্ত যুদ্ধ শিক্ষা এবং আধুনিকমত জল-স্থল-আকাশ-যুদ্ধের সর্বোৎকৃষ্ট অস্থ যথেষ্টপরিমাণে সংগ্ৰহ করিতে পারা চাই । যুদ্ধবিদ্যায় স্বশিক্ষিত একপ্রাণ লক্ষ-লক্ষ সৈনিকও চাই । আমাদের ধারণ এক্ট, বে, এরূপ বিদ্রোহ-আয়োজন ভারতের বর্তমান অবস্থায় হইতে পারে না । বর্তমান অবস্থায় ধাহীর সম্ভাব্যতা নাই, তাহার কথাই বলিতেছি । কোন অবস্থাতেই বিদ্রোহ দ্বারা ভারতবর্ষের স্বাধীন হওয়া অসম্ভব, ইহা আমরা বলিতেছি না । যেঅবস্থায় ইহা সম্ভব, তাহ বিদ্যমান নাই, অদূর ভবিষ্যতে তাঙ্গার বিদ্যমানতার সম্ভাবনাও দেখিতেছি না। হিংসার পথে সিন্ধিলাভ-চেষ্টার ফলাফলটাও বুঝা উচিত। ইগ জর্জ বানার্ড, শ’ পরিষ্কার করিয়া বলিয়াছেন । তিনি বলেন ৪ – “India has been subjugated by violent” and hold down by violence. India can be freed by violent', ', just as Irelantl lins been freotl lay violent". It is idle in ille face of history to deny these futs. It might as well lie said that tigers have never heen alle to live by violence. and that nonresistance will “onvert tigers to a dict of rice. lèut the logical end of it will he that England will nover he safe whilst there is an Indian left alive on earth. nor india ever safe whilst an Filglishman lor athes. Tlie moment violentre liegins, men demand security at all costs: and, as security can never he obtained, and the endless path of it lies through lilood. violence means finally the •xtermination of the human race. That is why the ‘onstience of mankind feels it to lie wicked and inally destructive of everything it professes to onservo." তাৎপৰ্য্য। “ভারতবর্ষকে হিংসা ও বলপ্রয়োগ স্বার অধীন করা ইয়াছে, এবং তাহার দ্বারা উহাকে বশে রাখা হইয়াছে। ঐ }পায়ে ভারতকে স্বাধীন করা সম্ভব যেমন আয়ল্যাগুকে করা হইয়াছে। তিহাসের সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে ইহা অস্বীকার করা বৃথা। উহা অস্বীকার রিলে ইহাও বলা চলে, যে, বাঘের কথন হিংসা ও পাশব বল tब्रा छौदन थांब्र१ काव्र नॉ३, ७द१ अहिश्नांबांन ७iशंमिश्रटक তঙুলৗৰী প্রাণীতে পরিণত করিবে। কিন্তু বল-প্রয়োগ ও হিংসার থের ন্যায়-শাস্ত্রানুমোদিত শেষ ফল এই হইবে, যে, যতদিন একজন \5& —S on ভারতীয়ও পৃথিবীতে বাচিয় পাকিবে, ততদিন ইংলও নিরাপদ হইবে না, এবং যতদিন একজন ইংরেজও বঁটিয়া থাকিবে, ততধিল ভারতবর্ষ নিরাপদ হইবে না। যে মুহূৰ্ত্তে বল-প্রয়োগ ও হিংসা আরম্ভ হয়, তখনই যে-কোন উপায়ে হউক মানুষ নিঃশঙ্ক হইতে চায় ; কিন্তু, সেহেতু নিঃশঙ্কজ কখনই লব্ধ হইবার নহে এবং বল-প্রয়োগের অনন্ত পথ রক্তাকীর্ণ সেইজনা বল-প্রয়োগ ও হিংসার চরম ফল হইতেছে মানব জাতির সম্পূর্ণ বিনাশ । এই কারণেই মানুষের ধৰ্ম্ম-বুদ্ধি এই পথকে পাপপূৰ্ণ এবং মানবের সংরক্ষণীয় বলিয়া ঘোষিত সকল শ্রেয়ের বিনাশক মনে করে ।” রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে চাই । এই স্বাধীনতা না-থাকায় অন্য অনিষ্ট ত হয়ই, এমন-কি আত্মারও অকল্যাণ হয়, প্রকৃত ধৰ্ম্মসাধনার পথে ও অগ্রসর হওয়া যায় না । কিন্তু এমন উপায়ে রাষ্ট্ৰীয় স্বাধীনত। আমরা চাই না, যাহা অবলম্বনে ধৰ্ম্মহানি, আত্মার অকল্যাণ হয়। যুদ্ধ জিনিষটাকে সৰ্ব্ববিধ পাপের সমষ্টি বলা হইয়াছে । ইহা অতি সত্য কথা । মিথ্যা-ভাষণ, প্রতারণা, পরস্ব-অপহরণ, গুপ্ত ও প্রকাশ্ম নরহত্য, নারীর উপর অত্যাচার এবং আর যাহা কিছু পাপ ও অপরাধ আছে, সমস্তই যুদ্ধের অন্তর্গত । ধৰ্ম্মযুদ্ধের উল্লেখ, শাস্ত্রেকাব্যে আছে ; সেকালে বস্তুভ ছিল কি না জানি না । কিন্তু একালে এরূপ কোন যুদ্ধ হয় না, হইতে পারে না, ধৰ্ম্ম-নিয়ম ও নৈতিক বিধি লঙ্ঘন না করিয়া যাহাতে জয়ী হওয়া যায়। এইজন্য আমরা যুদ্ধের বিরোধী । আমরা মনে করি যুদ্ধ না করিয়া ও স্বাধীনতা লাভ করা যাইতে পারে । অকল্যাণের পথে না গেলে কল্যাণ হইবে না, ইহা আমরা বিশ্বাস করি না । ইহা ভীরুর পরামর্শ নহে। যুদ্ধ করিয়া স্বাধীন হইতে গেলে যত অধ্যবসায়, সাহস ও স্বার্থত্যাগ আবশ্যক, বিনাযুদ্ধে স্বাধীন হইতে গেলে তাহা অপেক্ষা কম অধ্যবসায়, সাহস ও স্বার্থত্যাগে চলিবে না—বরং বেশী চাই। অন্যের প্রাণ আমরা লইব না, কিন্তু নিজের প্রাণ দিতে হইতে পারে । রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা লাভের জন্য ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় বলপ্রযোগ ও হিংসার পথ কেন অবলম্বনীয় নহে, তাহার আর-একটি কারণের আভাস দিতে চাই । ভারতবর্ষের ইতিহাস ও সামাজিক ব্যবস্থা এবং বর্তমান রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ফলে সকল-শ্রেণীর লোকের