পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] অনুমোদনীয় নহেও বটে। কিন্তু গবর্ণমেণ্টের অবিমূৰ্য্যকারিতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিৰ্ব্বদ্ধিতার জন্ত স্বরাজ্যদলের মুবিধা হইয়। যাইবে বলিয়, বে-আইনী আইন প্রণীত হইতে দেওয়া কখনই উচিত হইবে না। পণ্ডিত মোতালাল নেহরুর বিল নূতন বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স, রদ করিবার জন্ত পণ্ডিত মোতৗলাল নেহরু ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় একটি বিল উপস্থিত করিবেন। আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে ইহার সমর্থন করি । শাস্তির ও অহিংসার পথে থাকিয়া গবর্ণমেণ্টের জবরদস্তি-প্রিয়তার সর্বপ্রকারে বাধা দেওয়া কৰ্ত্তব্য। কুঞ্জবিহার ঘোষ দেশহিত কেবল প্রসিদ্ধ লোকদের দ্বারাই হয় না, অবিখ্যাত লোকদের দ্বারাও হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আফিসেব ভূতপূৰ্ব্ব সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট স্বগীয় কুঞ্চবিহারী ঘোষ মহাশয় এচ হিত-চেষ্টা করিয়াছিলেন, এবং তাহার চেষ্টা কিয়ং পরিমাণে সফল হইতে পারে । হইয়াছিল ও ভবিষ্যতে আর গু এই কারণে, তিনি বিখ্যাত লোক না হইলেও, "হিতবাদী” তাহার সম্বন্ধে নিম্নোদ্ধত কথা গুলি লেখায় আমরা তৃপ্ত হইয়াছি । “আমরা অতীব শোকসন্তগুচিত্তে প্রকাশ করিতেছি যে, “হিতবাদ"র পরম হিতাকাজী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট বাবু কুঞ্জবিহার ঘোষ আর ইহজগতে নাই। গতপুর্ব বৃহস্পতিবার শেষ রাত্রিতে কুঞ্জব'ৰু ইয়োগের আক্রমণে লোকান্তর গমন করিয়াছেন। এলাহাবাদ হইতে বি-এ পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয় তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের লাইব্রেরিয়ান এবং পরে হাইকোর্টের ফৌজদারী বিভাগের স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট হইয়াছিলেন। স্বৰ্গীয় গুৰু আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয় পূৰ্ব্বে যখন এলাহাবাদে মধ্যে মধ্যে গমন করিতেন, সেই সময় দেপানে কুঞ্জ-বাবুর সহিত ভাঙ্গর পরিচয় হয়। গুণগান্ধী আশু-বাপু কুঞ্জ-বাবুর স্বায়নিষ্ঠ নির্ভীকতা, স্পষ্টবাদিত ও উদারতা প্রভৃতি গুণ গ্রামে মুগ্ধ হইয়া উহাকে এলাহাবাদ হইতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাৰ্য্যালয়ে আনয়ন করেন ; কুঞ্জ-বাবুর প্রস্তাবে ও আশু-বাবুর চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ক্রটির সংশোধন ও কাৰ্য্য-পদ্ধতির সংস্কার সাধিত হইয়াছিল। কুঞ্জ বাবু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফিসের স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট ছিলেন এবং বহুবার অস্থায়ীভাবে সহকারী রেজিষ্ট্রীরের কার্য্য করিয়াছিলেন । এলাহাবাদে ১২ বৎসর এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ বৎসর, মোট ৩৫ বৎসর কার্য্য করিয়া দুই বৎসর হইল তিনি অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন। কুঞ্জ-বাবুর মত সদালাপী, অমায়িক, মিষ্টভাষী, বিবিধ প্রসঙ্গ—কুঞ্জবিহার ঘোষ २११ ধাৰ্ম্মিক ও সত্যশিষ্ঠ ব্যক্তি আঞ্জকাল অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। সাধারণতঃ তাহার স্বাস্থ বেশ ভালই ছিল। মৃত্যুকালে উহার বয়ঃক্রম ৬৪ বৎসর হইলেও উহাকে দেখিলে ৫৫,৫২ বৎসরের অধিকবয়স্ক বলিয়। বোধ হইত না । মৃত্যুর দুই দিন পূৰ্ব্বে উহার হৃৎপিণ্ডে মধ্যে মধ্যে সাধাপ্ত বেদন অনুভূত হয়, বৃহস্পতিবারেও তিনি মৃঙ্গাপুর পকে ধন্ধর মেলা দেপিঠে গিয়াছিলেন। সেই সময় কেহ জানিতে পারে নাই যে, কুঞ্জবাপু সেই দিনই রাত্রিকালে মহাপ্রস্থান কfবলেন । মৃত্যুব প্রায়


صح=عے لیے

મૂછાંનશો માન একমাস পূর্কে তিন স্থাপমার উইল লিপিয়া স্বাক্ষর করিয়া રાત્રિા faulfદાનન નો rs કાર્ટ વાળ હારીક একটি কন্থা বিধবা হইলে কুঞ্জবধু সদ্বয়ে যে মৰ্ম্মাপ্তিক ব্যথা পাইয়াছিলেন, তাহাই ভtহার হস্ত্রেীগের প্রধান কারণ । উহার চারিটি পুত্রের মধ্যে তিনজন সুশিক্ষিত ও উপার্জনক্ষম হইয়াছেন, কনিষ্ঠ পুত্র এখনও ছাত্রাবস্থায় জাtছন । কুgবাপুর অকস্মাৎ মুডুতে ওহীর পতিপ্রাণী সহধৰ্ম্মিণ ও পুত্রকস্তাগণ যে দারুণ শোক পাইলেন, সে শোকে সাধুনা নাই। আমবা কুঞ্জবালুর শোকসগুপ্ত পরিবারবর্গের ভীষণ শোক আশ্বরিক সমবেদন প্রকাশ করিড়েছি ।"