পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য। ] “ইয়ং ইণ্ডিয়া"র বর্তমান সম্পাদক মানব প্রেমিক এও জ তাহার কলিকাতা আগমন উপলক্ষ্যে কলিকাতায় ৪ হাবড়ায় তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করিয়া সৰ্ব্বসাধারণ র্তাহার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি জ্ঞাপন করিয়াছে । বিপুল জনতার মধ্যে এই কৰ্ত্তব্য সাধিত হইয়াছে । এই উপলক্ষে গান্ধীজি বিপ্লব-চেষ্টা সম্বন্ধে এবং গভর্ণমেণ্টের নিগ্ৰহনীতি ও তদনুযায়ী ধর-পাকড় সম্বন্ধে নিজের মত স্বম্পষ্টভাবে জানাইয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন, একটিকে তিনি যেমন ঘৃণা করেন, অপরটিকেও সেইরূপ ঘৃণা করেন । গান্ধীজির কোট মাত্র স্বতি বা বন্ধ। কোহাটে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ এবং হিন্দুদিগকে ধনেপ্রাণে মারিবার চেষ্টার কারণ অনুসন্ধান করিয়া উভয় পক্ষের মধ্যে সম্ভাব স্থাপন নিমিত্ত গান্ধী-মহাশয় কোহাট যাইতে চাহিয়াছিলেন । কিন্তু ( আমরা একাধিকবার বলিয়াছি ) ভারতবর্ষ একটি বৃহৎ কারাগার। এই কারণে গান্ধীজি বিনা অনুমতিতে কোহাট যাইতে পারেন নাই, বিবিধ প্রসঙ্গ—চরকার সম্বৰ্দ্ধন ՀԳ:» এবং বড় লাটের নিকট হইতে তদৰ্থে অল্পমতি চাহিয়াও পান নাই । অনুমতি না-দিবার কারণ বড়লাটের পক্ষ হইতে এষ্ট বলা হইয়াছে যে, উভয় পক্ষের মন এখনও ঠাগু হয় নাই, গান্ধীজি গেলে হিন্দুরা দলে দলে তাহাকে নিজেদের দুঃখ জানাইতে আসিবে, স্বতরাং মুসলমানরা ও দল বাধিয়া আসিতে পারে, এবং এই প্রকারে আবার একটা সংঘর্ষ ও দাঙ্গ হইতে পারে । কৰ্ত্তার আশঙ্কা যখন এইরূপ, তখন র্তাহার অনভিপ্রেত হইলেও আশঙ্কাকে বাস্তব ঘটনায় পরিণত করিতে এই অভাগা দেশে লোকের অভাব না হইতেও পারিত স্বতরাং গান্ধীজির কোহাট না যাওয়া ভাল হইয়াছে। কিন্তু গান্ধীজি তথায় গেলে স্বভাবত, অর্থাৎ স্থানীয় কাহারও দুশ্চেষ্টা ব্যতিরেকে ৪, দাঙ্গাহাঙ্গামা হুইবার সম্ভাবনা ছিল, ইহা আমরা বিশ্বাস করি না । আমাদের সন্দেহ অন্তপ্রকার। আমরা মনে করি, লর্ড রেডিঙের পরামর্শদাতাদের বা অন্ত কাহারও মনে এই আশঙ্কা ছিল,যে, মহাত্মাজি কোহাটে গেলে আসল কারণ সম্বন্ধে এবং গৃহদাহু-আদির পূৰ্ব্বে, সমসময়ে ও পরে সরকারী লোকদের ব্যবহার সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য তিনি জানিতে পারিবেন ; এবং তিনি তাহা প্রকাশ করিলে লোকে বিশ্বাস কৱিবে । তাহাতে, যাহা গোপন রাখা হইতেছে, তাহ জানা পড়িবে। ইহা বাঞ্ছনীয় মনে হয় নাই । চরকার সম্বৰ্দ্ধনা গান্ধী-মহাশয় বাণ্ডেল ষ্টেশনে নামিয়া ষ্টীমার-যোগে কলিকাতা গিয়াছিলেন। এইজন্য যে বহুসংখ্যক ভক্ত, দেশবন্ধু দাশের অনুরোধ না-মানিয়া, হাবড়া ষ্টেশনে গিয়াছিলেন র্তাহারা মহাত্মাজির বন্দনা করিতে না পাইয়া দুধের সাধ ঘোলে মিটাইয়াছিলেন। তাহারা গান্ধীমহাশয়ের চরকাটিকে পুষ্পমাল্যে বিভূষিত করিয়া মহা সমারোহে মোটর গাড়ীতে চড়াইয়া লইয়া গিয়াছিলেন । ইহা খবরের কাগজে পড়িয়া আমাদের কথামালার একটা গল্প মনে পড়িয়া গিয়াছিল।