পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ-օ একটি দেবমূৰ্ত্তিকে এক গৰ্দ্দভের পিঠে চড়াইয়া ঘটার সঙ্গিত সক্টরের ভিতর দিয়! লইয়। ধাওয়া হইতেছিল । রাস্ত দিয়া যত লোক স্বাক্টঙেচিল, তাঙ্গরা সকলেই দেব মৃষ্টিকে ভক্তিভরে প্রণাম করিতেছিল । তাহা wেগিয়৷ গাধা ভাবিল, মে, এই ভক্তি-শ্রদ্ধা তাঙ্গকেই দেগান হইতেছে । ইeাতে সে অহঙ্কারে স্ফীত হুইয়। আর এক পা ও চলিতে চাঙ্গিল না । তখন গদ ভ-চালক তাঙ্কার পিঠে খুব লাঠির বাড়ী বসাইতে পসাঙ্গতে বলিছে লাগিল, “ রে নিবোধ, লোকের তোকে প্রণাম করিতেছে না, কিন্তু তুষ্ট যে দেবমূর্তিটিকে বইন করিতেছিল, তাঙ্গকে প্রণাম করিতেছে’ । সৌভাগ্যের বিষয়, মহাত্মাঞ্জির চরকাটি সজীব প্রাণী নষ্ঠে ; নতুবা তাহার ৪ অহঙ্কার স্তষ্টত এবং সে স্থত। তখন তাঙ্গার কানমল। কিম্বা অন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা করিতে হইত। কাটিতে অস্বীকার করিত । &g প্রকৃতি” সাধারণতঃ যে-সব সাময়িক পত্র বাহির হয়, তাতাদের বিষয় কিছু লেখা আবশুীক মনে হয় ন—সে-রকম কাগজ ত অনেক আছে । কিন্তু “প্রক্সক্তি” সেরূপ পত্রিক নহে । ইঙ্গ সচিত্র সহজ বৈজ্ঞানিক পত্রিক, দুই মাস অন্তর বাহির হয় । এইরূপ পত্রিকার বিশেষ প্রয়োজন আছে । ইe। যোগ্যতা ও উৎসাহের সঙ্গিত পরিচালিত হইতেছে । ইঙ্গর অনেক ক্রেতা ও পাঠক জটিলে দেশের মঙ্গল হইবে। “ভূমিলক্ষী” WS “উপায়” আরো দুখানি পত্রিকার পরিচয় দেওয়া আবশুক মনে করিতেছি । “ভূমিলক্ষ্মী বীরভূম জেলার ত্রৈমাসিক পত্রিকা। ইহা কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে স্থাপিত হয় । এখন বিশ্বভারতীর হাতে আসিয়াছে । "বিশ্বভারতীর শ্ৰীনিকেতনে কুধির সম্বন্ধে যা-কিছু চেষ্টা হচ্ছে, তার পরিচয় এতে থাকবে। আর এই জেলার নানা স্থানে নানা কৰ্ম্মীর প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড দেশের ও কৃষির উন্নতির জন্য যা করছেন তাঁর পরিচয়ও এতে থাকৃষে । কিসে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই জেলার কৃষি, গোধন, স্বাস্থোর উন্নতি করতে পারা যায়, তার আলোচনাও এতে থাকৃবে।” নবপর্য্যায়ের প্রথম সংখ্যার ভূমিকায় ববি বাবু লিথিয়াছেন — "মামুষের সভ্যত প্রকৃতির প্রাণপূর্ণ সঙ্গ থেকে যতই দূরে চলে’ যাবে ততই তার মরণ-দৃশ ঘনিয়ে আসবে, এসম্বন্ধে সন্দেহ নেই। মানুষ এতকাল বুদ্ধির জোরে ও ব্যবহারের নৈপুণ্যে যে লোকালয় গড়ে তুলেছিল তার সঙ্গে প্রকৃতির একান্ত বিচ্ছেদ ঘটেনি । তাদের পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতাই ছিল, প্রতিযোগিতা ছিল না । কিন্তু আধুনিক কালে কলের রাজত্ব প্রবল ও জটিল হয়ে উঠচে, তাতে মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে কেবল ভেদ নয় বিরুদ্ধত বেড়ে চলেচে । এর সাংঘাতিক ফল আমাদের অন্তরে-বাহিরে ক্রমশ সমস্ত পুথিবী জুড়ে’ প্রকাশ পালেই। এই যন্থ-রাজক সভ্যতার প্রধান দুর্গ স্থচ্ছে একালের সহুর । যে পল্লী প্রকৃতির সস্তান তারি প্রাণ শোষণ করে" সহরগুলো স্ফীত হ’য়ে উঠচে । এই শোষণ-ব্যাপার মানুষের আত্মঘাতের প্রক্রিয়া । মানুষ বিনাশ হ’তে রক্ষা পেতে যায় যদি, তবে তাকে আবার সেবাকুশল ভূমির আতিথ্য গ্রহণ করতে হবে । সেইখানেই তার স্বাস্থ্য মুখ শাস্তি সৌন্দৰ্য্য। কিন্তু এতকাল এই ভূমিলক্ষ্মীর সদাব্রত যেখানে ছিল সেই তার অতিথিশালা আজ ভেঙে পড়েচে । বাংলা দেশে যেসাধকের তাকে গড়ে তোলবার স্থার নিয়েচেন ভূমিলক্ষ্মী পত্রিকায় তাদের বাণী সার্থক হোক । প্রথম সংখ্যাটি উৎকৃষ্ট হইয়াছে । মেদিনীপুর, বৰ্দ্ধমান, মানভূম প্রভৃতি অনেক অঞ্চলের মুত্তিকা ও সমস্ত একরকমের । এইজন্য বীরভূম জেলার বাহিরের লোকেরাও হংা পড়িলে কৰ্ত্তব্যনির্ণয়ে সাহায্য বীরভূম, বাকুড়া, পাইবেন । "উপায়” নামক কাগজটি বদ্ধমান কষ্টয়াছে । ইহা “কুমি শিল্প ব্যবসায় বাণিজ্য স্বাস্থ্য এবং আর্থিক ও অর্থনীতি-সম্বন্ধীয় উন্নতি-বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্র।” ইহার প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্য। একত্র ধাহির ইইয়াছে । ইহাতেও কয়েকটি ভাল প্রবন্ধ আছে, এবং ইছা ও বদ্ধমান জেলার বাহিরের লোকেরা পড়িলে উপকৃত হইবেন । ইহার ৪ একটি প্রস্তাবনা রবীন্দ্রনাথ লিথিয়া দিয়াছেন । প্রকাশিত ইহতে পাবনা হিতসাধন মণ্ডলী পাবনা হিতসাধন মণ্ডলীর দ্বিতীয় বৎসরের কার্য্য বিবরণ দেখিয়া খুলী হইলাম। ইহার শিক্ষা-বিভাগ, চিকিৎসা-বিভাগ, শুশষ-বিভাগ, দাতব্য-বিভাগ, স্বাস্থ্য