পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিভাগ, বয়ন-বিভাগ, এবং লাইব্রেরী-বিভাগ দ্বার। অনেক হিতকর কার্ষ্য সাধিত হইয়াছে । উন্নতি যে সৰ্ব্বাঙ্গীণ জিনিষ, এই মণ্ডলী তাহা বহু পরিমাণে উপলব্ধি করিয়াছেন । গল্প নির্বাচনের জন্য পুরস্কার “বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়” বিজ্ঞাপন দিয়াছেন, রবি-বাবুর ছোট গল্পের বইগুলি হইতে ১৫টি ছোট গল্প নিৰ্ব্বাচন করিয়া দিবার জন্য তিনটি পুরস্কার দেওয়া হইবে । রবিবাবু নিজে একটি তালিকা করিয়া দিয়াছেন । সেই তালিকাভুক্ত গল্পগুলির নামের সঙ্গে যাহাদের তালিকার নামগুলি ঠিক্‌ মিলিয়া যাইবে, কিম্ব অনেকটা মিলিবে, র্তাহারা মিলের পরিমাণ-অনুসারে পুরস্কার পাইবেন । هخه রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি হইতে উৎকৃষ্টতম কবিতাসমূহ বাছিয়া দিবার জন্ত যখন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তখন আমরা যে-মৰ্ম্মের কথা বলিয়াছিলাম, এখনও সেইরূপ বলিতেছি ;–নির্বাচন-উপলক্ষে কবির গল্পগুলি নূতন করিয়া পড়িবার আনন্দ ও উপকারলাভই আসল লাভ, পুরস্কারটা আনুষঙ্গিক উপরি-পাওনা মাত্র। স্বতরাং পুরস্কার যদিও তিনটি, কিন্তু আসল পুরস্কার যাহা তাহ নিৰ্ব্বাচক মাত্রেরই হইবে । ইহার মধ্যে একটা কৌতুহলের বিষয়ও আছে। রবি-বাৰু কোন গল্পগুলিকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, তাহা জানিবার ইচ্ছা পাঠকদের হওয়া স্বাভাবিক। পিতামাতার স্নেহ কেবল কৃতী গুণবান সন্তানের উপরই পড়ে না, অকৃতী অক্ষমের উপরও বিশেষ করিয়া পড়ে । মানসসন্তানের সম্বন্ধে কবিদের মমতা এইরূপ উভয় দিকে ধাবিত হয় কি না, অকবিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা হইতে বলিতে পারিবেন না । কিন্তু যাহাদের গল্পের তালিকার সহিত রবি-বাবুর তালিকার বেশী গরমিল হইবে, তাহার এই মনে করিয়া কৌতুক অনুভব ও সাম্বন লাভ করিতে পরিবেন, যে, কবি র্তাহার মানস-সপ্তানদের সম্বন্ধে কেবল গুণ-অনুসারে বিচার করিতে পারেন ss - Sly বিবিধ প্রসঙ্গ-অসহযোগী-ও **স্বরাজ্য”-দলের রফ ՀԵ-ծ नाइँ, श्ब्रज्र छनक-छननौश्णङ झीलङl९ श्राप्छ ! আমরা যখন এই নির্বাচন-পুরস্কারের কথা শুনিয়াছিলাম তখন মনে করিয়াছিলাম, "লিপিকার” গল্পগুলির মধ্য হইতেও নির্বাচন চলিবে । পরে জানিলাম, “লিপিকা” এখন বাদ দেওয়া হইয়াছে । “লিপিকা’র মত লেখা রবি-বাবুর কলম হইতেও আগে বাহির হয় নাই। শুনিয়াছি, ইহা হইতে শ্রেষ্ঠ গল্প নিৰ্ব্বাচনের পুরস্কার পরে দেওয়া হুইবে । রবি-বাবুর ডায়েরী ও “রক্তকরবী” রবিবাবুর যে ডায়েরী প্রবাসীতে ছাপা হইতেছে, তাহার এক জায়গায় তিনি "রক্তকরবী"তে কি বলিতে চান, তাহার একটু আভাস দিয়াছেন । কিন্তু সমজদার পাঠকেরা অবশ্য তাহাতে মনে করিবেন না, যে, এই ইঙ্গিতেই ‘রক্তকরবী”র সব অর্থ ও রহস্য নিঃশেষে উদঘাটিত হইয়া গিয়াছে । কবিকে নিজের কাব্যের ভাষ্যকার হইতে বলিলে বড় বিপদে ফেলা হয় । কবি কাব্য দিয়াই নিষ্কৃতি পাইবার অধিকারী। ভাষ্য রচনার দায়িত্ব অন্তের । অসহযোগী-ও “স্বরাজ্য”-দলের রফ মহাত্মা গান্ধী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এবং পণ্ডিত মোতীলাল নেহরুর স্বাক্ষরিত একটি রফা-নাম বা চুক্তিপত্র সংবাদপত্রসমূহে প্রকাশিত হইয়াছে। ইহার উদেশ্ব ভাল। উদ্দেশ্য দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সম্মিলিতভাবে “স্বরাজ” লাভের চেষ্টা করিতে সমর্থ করা, এবং গবর্ণমেণ্ট যে দলননীতি অনুসারে কাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন, তাহার বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতির সম্মিলিতশক্তি প্রয়োগ করা । মহাত্মা গান্ধী কলিকাতা আসিবার এবং রফা করিবার পূৰ্ব্বেই বাংলা দেশে সকল দলের লোক সম্মিলিতভাবে গবর্ণমেণ্টের দলননীতির প্রতিবাদ করিয়াছিল । রফার জঙ্ক কেহ অপেক্ষা করে নাই । এখন রফার পর বরং অনৈক্য দেখা যাইতেছে । আমরা কোন দলভুক্ত নহি । সেইজন্ত আমাদের