পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] প্রকৃতিস্থ অবস্থায় সাধারণত কোনো মেয়ের দল বলে না, পুরুষকে সম্পূর্ণ বর্জন করাটাই তাদের জীবনের চরম এবং মহোচ্চ লক্ষ্য। সম্প্রতি কোথাও কোথাও কখনো এমন কথার জাভাস শোনা যায়, কিন্তু সেটা হ’ল ৰাক্ষালন গ্রাণের রাজ্যে মেয়েদের যে চিরকেলে স্থান আছে, সেখানকার বন্দরের নোঙর ছিড়ে মনটাকে নিয়ে তার নিরুঙ্কেশ হয়ে যাবে এমন কথা দুই একজন মেয়ে বলতেও পারে ; কারণ যাত্রারম্ভে ভাগ্যদেবতাষখন জীবনের সম্বল স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে বাটােয়ারা করে দেয় তখন প্যাক করবার সময় কিছু যে উন্টোপাণ্ট হয় না, তা নয়। আসল কথা হচ্চে প্রকৃতির ব্যবস্থায় মেয়ের একটা জায়গা পাকা করে পেয়েছে, পুরুষরা তা পায়নি। পুরুষকে চিরদিন জায়গা খুঁজতে হবে। খুঁজতে খুজতে সে কত নতুনেরই সন্ধান পাচ্চে, কিন্তু চরমের আহ্বান তা’কে থামতে দিচ্চে না, ৰলচে আরো এগিয়ে এসো। একজায়গায় এসে ধে -পৌচেছে তার একরকমের আয়োজন, আর যাকে চলতে হবে তার আর একब्रकरिभत्र । ७ उ श्सबाहे क्रांडे । रिडि cर ८ेबप्प्ले, বসে বসে ক্রমে ক্রমে চারদিকের সঙ্গে আপন সম্বন্ধকে সে সত্য করতে, পূর্ণ করতে চেষ্টা করে। কেননা সম্বন্ধ সত্য হ’লে তবেই তার মধ্যে মুক্তি পাওয়া যায়। যার সঙ্গে ঘর করতে হচ্চে তার সঙ্গে যদি কেবলি পিটিমিটি বাধতে থাকে তা হ’লে তার মত জীবনের বাধা আর কিছু নেই। যদি ভালোবাসা হয় তা হ’লেই তার সুঙ্গে সম্বন্ধের মধ্যে মুক্তি ঘটে। সে মুক্তি বাইরের সমস্ত দুঃখ অভাবের উপর জয়ী হয়। এই জন্যেই মেয়ের জীবনে সকলের চেয়ে বড় সার্থকতা হচ্চে প্রেমে। এই প্রেমে সে স্থিতির বন্ধনরূপ ঘুচিয়ে দেয়। বাইরের অবস্থার সমস্ত শাসনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে । - মুক্তি না হ’লে কৰ্ম্ম হতে পারে কিন্তু স্বষ্টি হতে পারে না। মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে চরমশক্তি হচ্চে স্বষ্টিশক্তি। মানুষের সত্যকার আশ্রয় হচ্চে আপনার স্বাক্টর মধ্যে —তার থেকে দৈন্তবশত ষে বঞ্চিত, সে “পরাবস্থ৷ শায়ী” । মেয়েকেও স্বষ্টি করতে হবে, তবে সে আপনার বাসা পাবে। তার পক্ষে এই স্বটি গ্রেমের দ্বারাই সম্ভব। , পশ্চিমযাত্রীর ডায়ারি ఇS& ষে-পুরুষসন্ন্যাসী নিজের কৃচ্ছসাধনেয় প্রবল দণ্ডে মনে করে যে, যে-হেতু মেয়ের সংসারে থাকে এই জন্তে তাদের মুক্তি নেই, সে সত্যকে জানে না। যে মেয়ের মধ্যে সত্য আছে, সে আপন বন্ধনকে স্বীকার করেই প্রেমের দ্বারা তা’কে অতিক্রম করে, বন্ধনকে ত্যাগ করার চেয়ে এই মুক্তি বড়। সব মেয়েই যে তার জীবনের সার্থকতা পায় তা নয়, সব পুরুষই কি পায় ? অঙ্গরাগের সত্যশক্তি সব মেয়ের নেই, বৈরাগ্যের সত্যশক্তি সব পুরুষে মেলে না । কিন্তু, অন্তত আমাদের দেশে দেখা যায়, পুরুষ সাধক সংসারকে বন্ধনশালা বলেই জানে, তার থেকে উৰ্দ্ধশ্বাসে . বহুদূরে পালিয়ে যাওয়াকেই মুক্তির উপায় মনে করে। তার মানে, আমরা যাকে সংসার বলি স্বভাবত সেটা পুরুষের স্বটিক্ষেত্র নয়। এইজন্যে সেখানে পুরুষের মন ছাড়া পায় না । মেয়েরা যখনই মাতৃত্বের অধিকার পেয়েছে তখনি এমন সকল হৃদয়বৃত্তি পেয়েছে যাতে করে সংসারের সঙ্গে সম্বন্ধস্থাপন তাদের পক্ষে সহজ হ’তে পারে। এই জন্যে যে-মেয়ের মধ্যে সেই হৃদয়বৃত্তির উৎকর্ষ আছে, সে আপনার ঘরসংসারকে স্বষ্টি করে তোলে। এ স্বষ্টি তেমুনিই, যেমন স্থষ্টি কাব্য, যেমন স্বষ্টি সঙ্গীত, যেমন স্বষ্টি রাজ্যসাম্রাজ্য। এতে কত স্ববুদ্ধি, কত নৈপুণ্য, কত ত্যাগ, কত আত্ম-সংযম পরিপূর্ণভাবে সম্মিলিত হয়ে অপরূপ স্বসঙ্গতি লাভ করেচে। বিচিত্রের এই সম্মিলন একটি অর্থগুরূপের ঐক্য পেয়েচে —তা’কেই বলে স্বষ্টি। এই কারণেই ঘরকল্পায় মেয়েদের এত একান্ত প্রয়োজন ; নির্ভরের জন্যে নয়, আরামের জন্যে নয়, ভোগের জন্তে নয় –মুক্তির জন্যে। কেননা আত্মপ্রকাশের পূর্ণতাতেই মুক্তি। পূৰ্ব্বেই বলেচি মেয়েদের এই স্বটির কেন্দ্রগত জ্যোতির উৎস হচ্চে প্রেম। এই প্রেম নিজের ক্ষত্তির জন্তে, সাৰ্ধকতার জন্তে যাকে চায় সেই জিনিষটি হচ্চে মাহুষের সঙ্গ। প্রেমের স্বষ্টিক্ষেত্র নিঃসঙ্গ নির্জনে হ’তেই পারে ন, সে ক্ষেত্র সংসারে। ব্ৰহ্মার স্বটির ক্ষেত্র হতে পারে শূন্তে, কিন্তু বিষ্ণুর শক্তি খাটে লোক-জগতে। নারী সেই বিষ্ণুর শক্তি, তার স্বটিতে ব্যক্তিবিশেষের প্রাধান্ত ,