পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిe R বেশি, ভিড় বৃহৎ, মন নানা-কিছুতে বিক্ষিপ্ত, আটুর্ণ সেখানে কসরৎ দেখাবার প্রলোভনে মজে, আপনাকে দেখাতে ভুলে’ যায়। আড়ম্বর জিনিষটা একট। চীৎকার ; যেখানে গোলমালের অন্ত নেই সেখানে তা’কে গোচর হ’য়ে ওঠবার জন্তে চীৎকার করতে হয়,সেই চীৎকারটাকেই ভিড়ের লোক শক্তির লক্ষণ জেনে পুলকিত হ’য়ে ওঠে। কিন্তু আটুর্ণত চীৎকার নয়, তার গভীরতম পরিচয় প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড হচ্চে তার আত্মসম্বরণে। আটু বরঞ্চ ঠেলা খেয়ে চুপ • করে যেতে রাজি আছে, কিন্তু ঠেলা মেরে মেরে পালোয়ানি করার মত লজ্জা তার আর নেই। হায়রে, লোকের মন, তোমাকে খুসি করবার জন্যে রামচন্দ্র একদিন সীতাকে বিসর্জন দিয়েছিলেন,—তোমাকে ভোলাবার জন্যেই আটু আজ আপনার ঐ ও হ্রী বিসর্জন দিয়ে নৃত্য ভুলে’ পায়তাড়া মেরে বেড়াচ্চে। ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছবি ক্ষুব্ধ চিহ্ন একে দিয়ে শাস্ত সিন্ধুবুকে তরী চলে পশ্চিমের মুখে। আলোকচুম্বনে নীল জল করে ঝলমল । দিগন্তে মেঘের জালে বিজড়িত দিনান্তের মোহ, সূৰ্য্যাস্তের শেষ সমারোহ । উদ্ধে যায় দেখা ogs তৃতীয়ার শীর্ণ শশিলেখা। যেন কে উলঙ্গ শিশু কোথায় এসেছে জানে না সে, নিঃসঙ্কোচে হাসে । বহে মন্দ মস্থর বাতাস সঙ্গশূন্ত সায়াহ্নের বৈরাগ্য নিঃশ্বাস। স্বৰ্গমুখে ক্লান্ত কোন দেবতার বাশির পূরবী শূন্ততলে ধরে এই ছবি। ক্ষণকাল পরে যাবে ঘুচে, উদাসীন রজনীর কালো কেশে সব দেবে মুছে৷ এমনি রঙের খেলা নিত্য খেলে আলো আর ছায়া, এমনি চঞ্চল মায়া জীবন-অস্বরতলে ; দুঃখে মুখে বর্ণে বর্ণে লিখা চিহ্নহীন পদচারে কালের প্রাস্তরে মরীচিকা ॥