পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] - কেবট-জাতি তার পরে দিন যায়, অস্তে যায় রবি ; যুগে যুগে মুছে যায় লক্ষ লক্ষ রাগরক্ত ছবি । তুই হেথা, কবি, এ বিশ্বের মৃত্যুর নিঃশ্বাস আপন বঁাশিতে ভরি’ গানে তা’রে বঁাচাইতে চাস । ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবট-জাতি শ্ৰী অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ কেবটের অতি প্রাচীন জাতি। বৈদিক গ্রন্থ পাঠ করিয়া জানিতে পারা যায় যে, বৈদিকযুগে এই জাতির কাৰ্য্য ছিল খান-ডোবায় মাছ ধরা। ঋগ্বেদের ষষ্ঠ মণ্ডলে ( ৫৪৭ ) আছে— ‘মাকীং সংশারি কেবটে’ । সায়ণ ইহার অর্থ কারয়াছেন—‘কুপপাতেনাপি হিংসিতং মা ভবতু', ( গোধন ) কুপে পড়িয়া যেন মারা না যায়। ঋগ্বেদের এই যে ‘কেবট”-শব্দ ইহার অর্থ জলাশয়, গৰ্ত্ত, কুপ। সায়ণ কেবটে কুপে বলিয়া এই অর্থই মানিয়া লইয়াছেন। নিরুক্তকার যাস্ক এই অর্থই বুঝাইয়া কৃপবাচক চৌদ্দটি শব্দ দিয়াছেন, তন্মধ্যে ‘কেবট’ও আছে । নিরুক্তে ‘কেবটে’র ব্যাখ্যায় আছে— "সেবীতে জলার্থিভিঃ’ । জলের জন্য, জলে জীবিকাম্বেষণের জন্য যাহারা যাইত তাহারাও ক্রমশঃ "কেবট" পদবাচ্য হইয়া উঠিল। বৈদিক যুগে বা তাহার অব্যবহিত পরেই জল অর্থাৎ শুষ্করিণী, পৰল, তড়াগ প্রভৃতি অঙ্গীকার করিত কয়েকটি জাতি। ইহার মংগুজীবী ছিল। ইহাদের একটি সাধারণ নাম ছিল—‘পুঞ্জিঠ’ বা ‘পৌণিষ্ঠ । অথৰ্ব্ববেদে মৎস্যপুঞ্জঘাতক এই জাতির উল্লেখ আছে— “मा ढि नैदानाञठ१cनौब्लिक्कै हेक् रूर्वबन्। निष्कांथ पार ग८ब्रठा वानिअमtइर्विषन् ॥”-यषर्विtवन २०las> বাজসনেয়ীসংহিতার রুদ্রাধ্যায়ে ছুতার, কুমার, কামার, নিষাদ, পৌখ্রিষ্ঠ প্রভৃতি কয়েকটি বলিষ্ঠ জাতির শক্তি বা প্রভাব স্বীকার করিয়া তাহাদিগকে নমস্কার করা হইয়াছে। দেখা যাইতেছে, সমাজে লোকে যাহাদের নিকট উপকার পাইত তাহাদের প্রাধান্ত স্বীকার করিতে তাহারা কুষ্ঠিত হইত না । বাজসনেয়ীসংহিতা বলিতেছে— “নমস্তক্ষভ্যে রধকারেভাশ্চ বো নমো নমঃ । কুলালেভ্য: কৰ্ম্মীরেভ্যশ্চ বে। নমো নমো নিবাছেভাঃ পুঞ্জিষ্ঠেভ্যশ্চ বে। নমো নমঃ স্বনিভো মৃগযুভ্যশ্চ বো নমঃ ”—১৬২৭ । (১) ‘পুধিষ্ঠ’ শব্দের অর্থে ভায্যকারগণ কিছু গোল করিয়া ফেলিয়াছেন। মাধবাচাৰ্য্য তৈত্তিরীয়সংহিতাভায্যে ( ৪ কাও, ৫ প্রপাঠক, ৪ অনুবাক—২ ) বলিয়াছেন—“পক্ষিপুঞ্জঘাতকাঃ পুঞ্জিষ্ঠাঃ ” মহীধর উল্লিখিত বাজসনেয়ীসংহিতার ভায্যে অর্থ করিয়াছেন—“পুঞ্জিষ্ঠা: পক্ষিপুঞ্জঘাতকা: পুষ্কসাদয়ঃ ” কিন্তু বাজসনেয়ীসংহিতা ( ৩e৮ ) ও তৈত্তিবীয় ব্রাহ্মণ ( ৩৪৫–১-২ ) নদীকে স্পষ্ট লক্ষ্য করিয়া জলাভিমানী এই জেলে জাতিকেই ইঙ্গিত করিয়া উপদেশ করিয়াছে— ১। তৈত্তিরীয় সংহিতায়ও ( sel৪,২) ঠিক এই উক্তিই আছে । কেবল "নিষাদেভ্যঃ পুঞ্জিষ্ঠেভ্যশ্চ" ইহার পরিবর্তে "পুঞ্জিণ্ঠেত্যে নিবদেভ্যশ্চ পাঠ আছে।