পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ૦૭ রামায়ণ-যুগ হইতে কৈবর্তদের কিছু-কিছু পরিচয় পাওয়া যাইতে থাকে। তাহারা সাধারণতঃ বেশ বলিষ্ঠ ছিল। ঐ গ্রন্থে অন্যত্র ( অযোধ্যাকাও—৮৪৮) দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহাদের একটি দলের পাঁচ শত নৌকা ছিল। তাঁহাদের তখন নৌকা বাহিতে দেখা शृॉग्न ! মহাভারতে মৎস্তজীবী কৈবৰ্ত্তদের কিছু পরিচয় আছে । অনুশাসনপর্বের ৫•শ অধ্যায়ে ( ১৩ শ্লোক ) বলা হইয়াছে ধে, ইহাদের দেহ স্বগঠিত, বক্ষঃস্থল স্ববিস্তৃত। ইহারা অতিশয় বলশালী ও সাহসী । ভয়ে কখনও ইহার জল হইতে প্রতিনিবৃত্ত হয় না । ইহারা জালজীবী। কৈবর্তগণ গঙ্গাযমুনার সঙ্গমস্থলে বড় বড় জাল ফেলিয়া মাছ ধরিত ( ১৫ শ্লোক ) । প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্রগুলির মতে দেখিতে পাওয়া যায়, কৈবৰ্ত্তগণ প্রধানতঃ মৎস্তজীবী, নৌকৰ্ম্মজীবী ও তড়াগখননাদিজীবী ছিল । মন্ত্র প্রভূতি কয়েকটি সংহিতায় কৈবর্তদের উল্লেখ আছে। এইসকল সংহিতা প্রাচীন হইলেও বর্তমান আকারে ইহারা মহাভারতের পরবর্তী । তথাপি এগুলি অতি সাবধানে পাঠ করিলে জাতি-সম্বন্ধে কিছু-কিছু তথ্য জানিতে পারা যায়। এগুলির মধ্যে মন্থসংহিতাই প্রধান । মনুসংহিতায় দুইবার কৈবৰ্ত্তের কথা আছে—অষ্টম ও দশম অধ্যায়ে। দশম অধ্যায় হইতে একটি প্রবাদের কথা জানিতে পারা যায়। ইহাতে লিখিত আছে, নিষাদের ঔরসে আয়োগবীর গর্তে নৌকৰ্ম্মজীবী মার্গবের উৎপত্তি হয়। মার্গবের আর-একটি নাম—'দাশ'। জাৰ্য্যাবৰ্ত্তের লোকেরা দাশকে কৈবৰ্ত্ত’s বলে । “নিষাদে মার্গবং স্থতে দাশং নৌকর্মজীবিনম্। কৈবৰ্ত্তমিতি যং প্রাহুরার্থ্যাবৰ্ত্ত-নিবাসিনঃ ॥” ১০৩৪ ইহা হইতে তিনটি বিষয় জানিতে পারা যায়। STAAA SAAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAAAASAAAA

  • কথাসরিৎসাগরে (২৫ তরঙ্গ ) একটি গল্প আছে তাঁহাতে কৈৰৰ্বপতি সত্যন্ত্রতের কথা আছে। সত্যব্ৰত উৎস্থলম্বীপের মৎস্তগ্রাহী ( ৪৩ গ্লোক ) দ্বাশেদের রাজা ছিলেন। এই আখ্যানে সত্যব্রতকে 'बांग्लंटा' (ee cब्रांक ), 'मां*: जठाउउ:' ( e७ cन्नांक) राणां इझेब्रां८झ । এই আখ্যান হইতেও বেশ প্রমাণিত ছয় যে, 'দাশ’ ও ‘কৈবর্ত এক

•र्षांबडूख । প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ : [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কৈবৰ্ত্তগণ সঙ্কর-জাতি। মন্থর সময়ে ইহারা আর্ধ্যাবৰ্ত্তে ‘কৈবৰ্ত্ত’ বলিয়া পরিচিত ছিল। ইহাদের অন্ততঃ * তখনকার সাধারণ নাম ছিল ‘মার্গব ও "দাশ"। সঙ্কর-জাতির উৎপত্তি-সম্পর্কে বলিবার সময় মন্থ নিষাদ-সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, নিয়ে তাহার একটি তালিকা দেওয়া গেল :– পিতা মাতা উৎপন্ন সঙ্করজাতি ব্রাহ্মণ শূত্র si a: নিষাদ শূত্র 8दश = অয়োগব ব্ৰাহ্মণ আয়োগব = ধিখন নিষাদ শূত্র = পুঙ্কস শূত্র নিষাদ — কুকুটক নিষাদ বৈদেহ — করবর বৈদেহ করবর – অন্ধ o নিষাদ - মেদ নিষাদ বৈদেহ - অহিন্দিক চণ্ডাল নিষাদ - अस्वादश्रोझैौ নিষাদ আয়োগব – মার্গব, দাশ, কৈবৰ্ত্ত এইসমস্ত সঙ্করঞ্জাতির উৎপত্তি-সম্বন্ধে মন্থর এই মত । এই মতটি কিন্তু সৰ্ব্বথা মানিয়া লইবার পক্ষে নানা অস্তুরায় আছে । তবে দেখা যায় যে, এইসমস্ত সক্ষরজাতির উৎপত্তি-ব্যাপারে নিষাদ-সম্বন্ধ খুব ঘনিষ্ঠ। এটি যে সত্য তৎসম্বন্ধে সন্দেহ নাই। বিশেষতঃ কৈবৰ্ত্তজাতি যে নিষাদজাতি বা ইহার অন্তভূর্ত জাতি সে-সম্বন্ধে প্রকৃষ্ট প্রমাণ আছে। বায়ুপুরাণে উল্লেখ আছে যে, নিষাদবংশ হইতেই ধীবরগণের উৎপত্তি হইয়াছে। এই পুরাণ বলিতেছে— “নিষাদবংশকৰ্ত্তাহলে বভূবানস্তবিক্রমঃ । ধীবরানস্বজৎ সোহপি বেণকল্মষসম্ভবান ।” নিষাদ নামে নিষাদের শাখা-বিশেষ যে মৎস্যজীবী ছিল, তাহার অন্য প্রমাণও আছে। শুরুষঙ্গুৰ্ব্বেদসংহিতার উবটভায্যে উক্তি আছে—“নিষাদ মাৎসিকাঃ ” মনুসংহিতার ১০ম অধ্যায়ের ৪৮ শ্লোকে নিষাদদিগকে মৎস্যজীবী বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে—‘মৎস্তঘাতো নিষাদানাম্।” তৈত্তিরীয় সংহিতাভায্যে মাধবাচাৰ্য্য