পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ]

  • কেবট-জাতি

লিখিয়াছেন—“মৎস্তঘাতিনো নিষাদাঃ” ( ৪৷৫৪–২ )। মহাভারতের অঙ্কুশাসনপর্বের ৫১ অধ্যায় পড়িলে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, কৈবৰ্ত্ত ও নিষাদ একই জাতি। সম্ভবতঃ কৈবৰ্ত্তগণ বিরাটু নিষাদজাতির শাখাবিশেষ । এই অধ্যায়ের কয়েকটি স্বানে কৈবৰ্ত্ত ও নিবাদ শব্দ একই অর্থে প্রয়োগ করা হইয়াছে । চ্যবন রাজা নহুষকে বলিতেছেন – “শ্রমেণ মহতা যুক্তাঃ কৈবর্তী মৎস্যজীবিনঃ । মম মূল্যং প্রচ্ছেভ্যো মৎস্তানাংবিক্রয়ৈ সহ ॥”e১le উত্তরে নছয কৈবৰ্ত্তদিগকে ইঙ্গিত করিয়া বলিতেছেন— “সহস্ৰং দীক্ষ্মতাং মূল্যং নিষাদেভ্যঃ পুরোহিত טן צ4*ן মহাভারতের আস্তিকপর্বে ( ২৪ অঃ–২• শ্লোক ) লিখিত আছে যে, গরুড় হাজার-হাজার মৎস্তজীবী নিষাদদের মারিয়াছিল। এইরূপে শাস্ত্রের বহু স্থান হইতে দেখাইতে পারা যায় যে, কৈবৰ্ত্তগণ নিষাদ-জাতির অন্তভূক্ত মৎস্যজীবী নিষাদ । তার পর, নিষাদদের আকৃতির সহিত কৈবর্তদের সাদৃশ্বও খুব বেশী। শ্ৰীমদভাগবতে নিষাদদের মূৰ্ত্তির বর্ণনা এইরূপ — “কাককৃষ্ণোংতি হ্রস্বাঙ্গো হ্রস্ববাহ মহাহমুঃ। হ্রস্বপাল্লিয়লাসগ্রে রক্তাক্ষস্তাম্ৰমুগ্ধজঃ ॥”—৪৷১৪৪৪ কৈবৰ্ত্তরাও খুব কালো, খৰ্ব্বীকার, হুস্বাবয়ব, নিম্ননাসাগ্র, তাম্রাভকেশ । আৰ্য্যগণ যখন তাহাদের পূর্বনিবাস পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হুইয়া ‘সপ্তসিন্ধবঃ’ প্রদেশে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, তখন তাহারা দুইটি জাতিকে সেখানে দেখিয়াছিলেন, একটি অসভ্য নিষাদ-জাতি এবং অপর দস্থ্য জাতি। আর্য্যগণকে এই উভয় জাতির সহিত সশস্ত্র যুদ্ধ করিতে হইয়াছিল। ইহারা পরাজিত হইলে আৰ্য্যগণ এই নূতন ভূমি অধিকার করিতে সমর্থ হন। নিষাদগণ ভারতের একটি আদিম জাতি। তৈত্তিরীয়, ক:ঠক, মৈত্রায়ণী, ও বাজসনেয়ী সংহিতা এবং ঐতরেয় ও পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণে ইহাদের উল্লেখ আছে। এইসমস্ত জায়গায় নিষাদ বলিলে কোন বিশেষ ভূতি বুঝাইত না। যাহারা আর্য্যদের অধিকার বা প্রভুপ্ত মানিয়া চলিত নb তাহাদেরই নিষাদ বলিত। নিষাদরা ক্রমে যখন ঠাও। হষ্টয়া আসিল, তখন ঔপমন্তব নিষাদ সমেত পাচ জাতি (‘পঞ্চজনাঃ') লইয়া চারি বর্ণ(চত্বারো বর্ণাঃ)তৈরি করেন। যাস্কের নিরুক্ত ( ৩-৮ ) হইতে এই ব্যাপারটি জানিতে পারা যায়। লাট্যায়ন শ্রেীতস্থত্রে (৮-২-৮) নিষাদগ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাত্যায়ন শ্রেীতস্থত্রে নিষাদস্থপতির উল্লেখ আছে । আৰ্য্য ছাড়া অনেক বৰ্ব্বর জাতির। সাধারণ নাম ছিল—নিষাদ । কিন্তু নিষাদদের মধ্যেও কতককতক কালে আধ্য-প্রভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছিল। সেসময় আৰ্য্য-সমাজের উপর নিষাদ-সমাজের এবং নিষাদসমাজের উপর আর্য্য-সমাজের একটু-আধটু দাবিও চলিয়াছিল। এইজন্যই বোধ হয় কৌষিতকী ব্রাহ্মণে দেখিতে পাওয়া যায় যে, বিশ্বজিৎ যজ্ঞ করিতে হইলে আৰ্য্যদের কিছুদিন নিষাদদের বাড়ীতে থাকিতে হইত। রামের রাজ্যকালে প্রয়াগভূমির চারিদিকের দেশ এবং দক্ষিণেও কিছু-কিছু নিষাদদের অধিকারে ছিল। পাণ্ডবদের সময় তাহারা মালবের উচ্চভূভাগ ও মধ্যভাগ অধিকার করে। ইহাদের একদল এক সময়ে রাজপুতানা ও মধ্যগঙ্গোপত্যকণর অধিকাংশ-ভাগে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। বেহার ও হিন্দুস্থানের পূর্বাঞ্চলের নীচজাতিদের বেশীর ভাগই এই নিষাদদের বংশধর । মহাভারত-যুগে তাহাদের যে একটা রাজ্য ছিল, তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। সরস্বতী নদী-তীরে বিনশনের নিকট নিষাদরাষ্ট্রের * প্রবেশ-দ্বার ছিল ( বন-পৰ্ব্ব, ১৩০ অঃ, ৩-৪ শ্লোক )। ভীম বৎস-ভূমি জয় করিবার পর ভর্গ ও নিষাদদের রাজাকে জয় করেন ( সভাপর্ব, ৩০ অঃ-১১১১ শ্লোক)। দিগ্বিজয়কালে সহদেব দণ্ডককে জয় করিয়া মেচ্ছরাজাদিগকে জয় করেন। তার পর নিষাদদিগকে জয় করেন। (সভাপর্ব, ৩১ অঃ, ৬৬-৬৭ শ্লোক ) । ইহাদের রাজাদেরও নাম পাওয়া যায় । রামায়ণে ( অযোধ্যা-কাণ্ড, ৫• অধ্যায় ) দেখিতে পাওয়া যায় নিষাদরাজ গুহু শৃঙ্গবের -- - - - - - - - - --- --

  • বরাহমিহিরের বৃহৎসংহিতার মতে মধ্য প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বে निषांब्रिtं ( ss।s• ) ।।