পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*S)} e . প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ [ २8* छांश, २व्र थ७ এইরূপ অনুমান করিবার কারণ এই যে, অন্ধ দেশের পূৰ্ব্বে তাহার শ্রেষ্ঠবর্ণদিগের গৃহকার্ধ্যে অধিকার লাভ এইসমস্ত দেশে ইঙ্গদের অস্তিত্বের কোনই নিদর্শন পাওয়া • করে। এইপ্রকারে ক্ৰমে-ক্রমে জন্তান্ত কর্থেরও তাহারা थॉग्न न ! কৈবৰ্ত্তগণ মংস্যজীবী জাতি। ভারতে এমন অনেক জাত অাছে, যাহারা মাছ ধরাকে তাহাদের পুরুষানুক্রমিক জীবিকা বলিয়া মনে করিয়া থাকে। ইহাদের সংখ্যাও খুব বেশী। ইহাদের মধ্যে এখনও যাঙ্গর প্রধানতঃ মৎস্তজীবী তাহদের সংখ্যা খুবই কমিয়া আসিয়াছে। ইতারা নিজেদের ব্যবসায়ের স্ববিধার জন্য বড় বড় নদীর তীরে ও উপকূলে বাস করিয়া থাকে। এই মৎস্যজীবীসম্প্রদায়ের মধ্যে যাহারা মাছধরা ব্যবসা ছাড়িয়াছে তাঙ্গরা পৃথকৃ শাখারূপে নিজেদের পরিগণিত করিয়া সমাজে আপনাদিগকে জলজীবীদের চেয়ে বড় মনে করে। মৎস্যজীবীরা যেমন নিজেদের উন্নতি করিতে ইচ্ছা করিল, অম্নি ডাহার একটু-একটু করিয়া নিজেদের ব্যবসায় হইতে সরিয়া যাইতে লাগিল। কিন্তু এই পরিবর্তনের সময়ও তাহারা জলের সহিত তাহাদের সম্পর্ক ভুলিতে পারে নাই। তবে পরিবর্তনের প্রথমাবস্থায় মাছ-ধরা ছাড়িয়া নৌকা বাহিতে লাগিল, এমন কি, বড় নৌকা বাহিয়৷ সাগর পর্য্যন্ত যাইতে লাগিল । তার পর যেখানে মাছ সাধারণের প্রধান পাদ্য নয় এবং নৌকা বাঙ্গিয় জীবিকানিৰ্ব্বাহের তেমন স্থবিধা নাই, সেখানে মৎস্যজীবী জাজি জাতীয় ব্যবসায় পরিত্যাগ করিয়া অন্য ব্যবসায় ধরিল ; কোথাও বা কাধে-র্কাকে করিয়া দ্রব্যাদি বহন করিতে লাগিলপ কোনও স্থানে দূরদেশের যাত্রীদের পান্ধী বহিতে লাগিল। পাঙ্কীতে যাইবার সময় পথিমধ্যে সময়ে-সময়ে যাত্রীদের তৃষ্ণ-নিবারণের প্রয়োজন হইত। তথন এক্ট বাহকদিগের দ্বারা জল আনাইতে র্তাহারা বাধ্য হইতেন । ইহা হইতেই এই মৎস্যজীবী জাতির মধ্যে যাহারা মাছধরা ব্যবসায় ছাড়িয়া দিয়াছিল, তাহারা ক্রমশঃ জলচল জাতি বলিয়া স্বীকৃত হইল। দাক্ষিণাত্য ও দক্ষিণভারতের লোকদের নিষ্ঠার মাত্রা একটু বেশী । তাহারা ইংদের স্থলাচরণীয় জাতির মধ্যে ফেলিল না। তবে অন্যস্থানের শ্রেষ্ঠবর্ণের। ইহাদের বহিয়৷ আন জল পরিত্যজ্য বলিয়া মনে করিতেন না । এইরূপে ক্রমশঃ অধিকার পায়। উত্তর ও পূৰ্ব্বভারতের অনেক স্থলে ইহারা ভূজা ভাজিয়া ও মিষ্টান্ন তৈরী করিয়া দোকানে বিক্রয় করে। ভদ্ৰভূজ, কাণ্ডু ও ভাটিয়ারা—এই ডিন জাতির এই বৃত্তি। কিন্তু ইহার এখন সম্পূর্ণ পৃথক জাতি হইয়া দাড়াইয়াছে। তবে মূলতঃ ইহার মৎস্যজীবী। যাহারা মাছের ব্যবসা ছাড়িয়াছে, তাহারা সমাজে একটু বড় হইয়াছে। বাঙ্গালাদেশে জেলে বা মেছো-কৈবৰ্ত্তদের চেয়ে হেলে কৈবৰ্ত্তরা বড়। ভারতেব পশ্চিম উপকূলে একই মৎস্যজীবী জাত হইতে দুইটি পৃথকৃ জাতি হইয়াছে— কোড়ী ও তলবদা। কোড়ীরা মাছ ধরে বলিয়া তাহাদের নাম "মাছি—যাহার হলকর্ষণ করে তাঁহাদের নাম ‘তলবদা’ । ভোয়ী নামে আর-একটি মৎস্ত-জাতি আছে । ইহাদের দুইটি থাকৃ আছে—একশ্রেণী মাছ ধরে, অপরশ্রেণী মোট বয় বা ভূত্যের কাজ করে । তেলিঙ্গনার ‘বোয়া জাত হইতে ভোয়ীদের উৎপত্তি । বোয়াদেরও এক শ্রেণী মাছ ধরে । বেনেস ( Baines ) কৈবর্তদের এইরূপ বিবরণ দিয়াছেন। ‘ব’ দ্বীপের উপরে গঙ্গার উপত্যকায় এই মৎস্যজীবী জাতিকে কোন-না-কোন আকারে দেখিতে পাওয়া যায়। সম্ভবতঃ বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের উত্তরাঞ্চলের নিষাদ-জাতির কোন শাখা হইতে ইহাদের উৎপত্তি। কৈবৰ্ত্ত জাতি ভারত, ওড়িষা ও বঙ্গেব কোনকোন স্থানে 'কেবট’ নামে প্রসিদ্ধ। অযোধ্যা ও বেহারের কেবটর প্রায় সকলেই চাষী। ফৈজাবাদের মধ্যভাগে ও পূৰ্ব্বাঞ্চলে ৪১,• • • কেবট থাকে—তাহারা সকলেই চাষী । গোরখপুরের হিন্দু অধিবাসীদিগের মধ্যে কেবটদিগের সংখ্যা অধিক ও সেখানে ১২৩,• • • চাষী-কেবট। বস্তিতে ৪০,০০০ এবং মির্জাপুরেও সমসংখ্যক কেবট বাস করে । ইহারাও চাষী। রায়পুর ও বিলাসপুরে ৮৫, ৬৯০ কেবট। কতক মাছ ধরে, কতক চাষ করে । ইহারা চতুভুজ দুর্গদেবীর পূজাও করে, আবার শূকরও খায়। (J.A8.B. 1800 p. 209) মধ্য প্রদেশের কেবটরা মহানদী ও তাহার শাখানদীতে এখনও মাছ ধরে । ওড়িষার সমুদ্রতীর ও পশ্চাদ্বর্তী নিম্নভূমিত্রে পূর্বে নৌকৰ্ম্মজীবী ও মৎস্যজীবী কৈবর্ভর