পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

વ્યા সংখ্যা.] AAS AA SAASAASAASAASAASAASAASA SAASAA AAAS মনকে আকর্ষণ করতে লাগল। জিনিষ-পত্ৰ গোছাবার ভার আর সকলের হাতে ছেড়ে দিয়ে ক্যানভাসের ইজি চেয়ারখানা সমুদ্রের ধারের দিকের বারান্দায় বিছিয়ে নিয়ে আমি পড়তে স্থরু করে দিলুম। ( > ) - 彰 ১২ই আশ্বিন—১৩২৮ হঠাৎ কেন খেয়াল কুয়েছিল পুরীতে আসতে জানিনে। খেয়াল যখন হ’ল বেরিয়ে পড়লুম বৃহস্পতিবারের বারবেলায়, সেই সমুদ্রের উদ্দেশে যার রূপের কখনো অন্তু পাইনি, বহুরূপীর মত যার চেহারা মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে বদলায়। ভোরের আলো আকাশের গায় ফুটে ওঠবার সঙ্গে-সঙ্গেই পুরীর তোরণ-তলে বাম্পের রথ এসে থামূল। পাণ্ডাদের হাত এড়িয়ে যেমন সমুদ্রের ধারে এসে দাড়ালুম, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে সারা রজনীর জাগরণ-ক্লাস্ত নয়ন একেবারে জুড়িয়ে গেল । মেঘের ভেতর দিয়ে রৌদ্রের ছায়া এসে পড়েছে, আধখানি সমুদ্রের বুকের ওপরে হাসি কান্নার অপূৰ্ব্ব আলেথ্যের মতো । চোখ ভরে গেল, সমুদ্রের দোলার সঙ্গে তাল দিয়ে মন ছলে উঠল। সমুদ্রের রূপ আমায় টানছে, তার দোলানি আমার মনকে দোলাচ্ছে, তার মায়া আমার দেহ-মনে ইন্দ্রজাল রচনা করছে। আধ-ভেজা বালির ওপরে পা ছাড়িয়ে বসে পড়লুম। একটা ঢেউ ছুটে এসে ফেনার ফুল দিয়ে আমার পায়ের প্রান্ত স্পর্শ করে’ অভ্যর্থনা করে গেল। তীরে বালুবেলার ওপরে লোকজনের আনাগোনার ভিড় বেশ বেড়ে উঠেছে--ঠিক কলকাতার পথের ভিড়ের মতন। কিন্তু কলকাতার পথের ভিড়ের সঙ্গে এভিড়ের তফাৎও ঢের । সেখানে বাইরে মুখ বা’র করলেই হাজার ক্ষুধাৰ্ত্ত চক্ষুর ক্ষুধা যেন মুখের ওপর পড়ে হাহাকার করতে থাকে । এখানেও লোকে মুখের দিকে তাকায় বটে, কিন্তু সে ভাকানো দূর পথ-যাত্রীর পথের মাঝে হঠাৎ সঙ্গী মিলে যাওয়ার মতো আনন্দ এবং সহানুভূতির আলোকে ভরা— তার ভেতর ক্ষুধা আছে বটে, কিন্তু অতৃপ্তির হাহাকার নেই। t বেশ লাগছে ! কালে ঢেউয়ের ফণার ওপরে সূর্ব্যের 8 e—8 శ్రీరి আলো সাপের মাথার মণির মতন জলছে। আশ্চর্ষ্য সৌন্দর্ঘ্য এই সমুদ্রের। এই ফেন-হাস্তে মুখর হয়ে ওঠে, এই ক্ৰন্দনের বিক্ষোভে আবার বেলাতটের ওপর ভয়ার্ভ শিশুর মতন আছড়ে পড়ে । মেঘের মায়াজালের ভেতর এক মূহূৰ্ত্তে সে আপনাকে হারিয়ে ফেলে, আবার পর মুহূৰ্ত্তেই রৌদ্র-দীপ্ত আকাশের দিকে হাজার বাহু মেলে’ ইন্দ্ৰধন্থর রচনা করে যায়। দেহ তার নীলার মতন নীল এবং হাসি তার ইস্পাতের ছুরির মতন সাদা ! ( ૨ ) - ১৫ই আশ্বিন—১৩২৮ বিকেল পাচটায় ডায়ারির পাতায় আজ সকালের ছবিটি ধরে’ রাখছি ।------ বাতাস মাতাল হ’য়ে উঠেছে । আর তারি মাত লমির আমেজ এসে লেগেছে সমুদ্রের বুকে— সমুদ্র টলছে—হেলছে—দুলছে ! ঢেউগুলো তা’র আছড়ে পড়ছে আধখানি সাগরের জলরাশিকে টেনে নিয়ে বেলাতটের বুকের ওপরে। সমুদ্রের ডাক আমার মনের কাণে এসে পৌছল। সে ডাক প্রলয়ের কল্পোলের মতন গাম্ভীর্য্যে ভরা অথচ তার ভেতর হ’তে আহবানের বঁাশীও বেজে উঠছে। ধ্বংসের রুদ্রদেবতার মতন রূপ তার অপূৰ্ব্ব । এ-রূপ সকলের চোখে পড়ে নী—কিন্তু যার চোখে পড়ে, সে চোখ ফেরাতেও পারে না ; তীরে স্নানার্থীর ভিড় নেই বললেও অত্যুক্তি হয় না। সাগরের এই রুদ্রমূৰ্ত্তি দেখে রুদ্রদেবতার ছ'চারিটি বেপরোয়া ভক্ত ছাড়া আর কেউ সমুদ্রের কোলের কাছে ভেড়েনি—ভিড়তে সাহস পায়নি । কিন্তু আমার কানে যে সমুদ্রের আহবান এসে পৌঁছেচে–আমি ফিরতে পাৰ্বলুম না, সমুদ্রের হাজার বাহুর আলিঙ্গনের ভেতর আপনাকে এলিয়ে দেবার জন্তে এগিয়ে চললুম ! ঢেউয়ের পথে-পথে মেঘের দামামা বাজছে । ঐ সে অজগরের মতন গড়াতে-গড়াতে এগিয়ে আসছে – মাথার ওপর দিয়ে একটা চলে গেল, লাফিয়ে উঠে। আর একটাকে এড়িয়ে গেলুম। একবার একটা অসাবধান মুহূর্তে মাটির সঙ্গে পা বাধাতে না পেরে একটা তীর-গামী