পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বঁাশী তখন গাইছিল— 'यूछू भजग्न दौखट्न জাগে। নিভৃত নির্জনে জাগে আকুল ফুল সাজে জাগো মৃদু কম্পিত লাজে মম হৃদয় শয়ন মাঝে।” ( t ) ১৮ই আশ্বিন—১৩২৮ সেই তরুণ যুবকের সঙ্গে আলাপ হ’য়ে গেছে সেক্ট অভিসার রাতের বঁাশীর আসরেই ! হঠাৎ আমাকে সেই নিভৃত-নির্জনে দেখে প্রথমটা সে চিনতে পারলে না, চোখে তখনো তার গানের ঘোর লেগেছিল! কিন্তু ঘোর কাটুতেই সে উচ্ছসিত হয়ে বললে—আপনি ! ঘটা করে বসবার জন্যে বিছিয়ে দেবো এমন কিছুই নেই এখানে । বস্থন এই বালু-বেলার সিংহাসনের ওপর । এ সিংহাসন আপনাদের ঘরের ‘কুশনে’র চাইতে কিছুমাত্র কঠিন হবে না। বলেই সে আবার হেসে উঠল । শিশুর মতন সরল হাসি সমুদ্রের গর্জনের ভেতর গুণরিয়ে গেলেও তার ঝঙ্কার বাতাসকে খানিকট সরস করে দিয়ে গেল। মুখের সে কঠিন ভাব একটা আত্ম-ভোলা প্রসন্ন মিষ্টি ভাসিতে তার কাচা মুখখানি প্রস্ফুটিত ফুলের মতন স্বন্দর হয়ে উঠেছে। একটু তফাতে বালির ওপর বসে পড়তেই সে আবার বললে—আপনাকে প্রথম দেখে কি মনে হয়েছিল জানেন ? আমার মনে হচ্ছিল—সাগরিক ! জলের দোলা হ’তে সে নেমে এসেছে এই বালুবেলায় বসে’ জ্যোংস্নার আলোকে আঞ্জ কেশপাশ শুকিয়ে নেবার জন্তে । হঠাৎ সে জিজ্ঞাসা করলে—আচ্ছা আপনার নাম কি ? এত কথা বলছি, এমন দুর্দিনের পরিচয় কিন্তু নাম ত জানিনে ? আমি বললুম—অসিতা । এবার তার দেহখানি অট্টহাস্তে একেবারে গড়িয়ে পড়ল। অনেকক্ষণ ধরে টেনে-টেনে হেসে সে বললে— আপনার বাপ-মা নিশ্চয়ই রং-কাণা ছিলেন। জ্যোংস্নার অrব নেই । পুরীর ডায়েরি खू ףכ(א আলোকেও যার রং হার মানিয়েছে তারই নাম অমিতা! লজ্জায় সম্ভবত আমার কাণের ডগাটি-পর্যাস্ত লাল হ’য়ে উঠেছিল। সে বললে—এ ! আপনি যে একেবারে লাল হ’য়ে উঠেছেন ! ন-না। আমি কিছুমাত্র অত্যুক্তি করছিনে। এই জ্যোংস্নার আলোতে আপনার হাতখানা ধরে দেখুন। বলেই সে আমার হাতখানা নিঃসঙ্কোচে নিয়ে জ্যোৎস্নার আলোয় তুলে ধরূলে । লজ্জায় আরো লাল হয়ে আমি তা’কে বললুম-—এখন তঁ আপনার মুথে কিছুমাত্র তাসির অভাব দেখছিনে। কিন্তু আমাকে সমুদ্রের কোল থেকে যখন টেনে তুললেন তখন মুখটা অত কালো হ’য়ে উঠেছিল কেন ? জানেন, তার পর থেকে এ ক’ট। দিন,আমি আপনার সেই মুখ মনে করে’ কিছু মাত্র সোয়াস্তি পাইনি। আষাঢ়ের মেঘের মতন আবার একটা কালে বিরক্তির রেখা তার মুখের ওপরে ভেসে উঠল। সে বললে—দেখুন সমুদ্রের চেহারা দেখেই আমি বুঝেছিলুম সেদিন একটা দুৰ্দৈব ঘট। কিছুমাত্ৰ অসম্ভব নয়। সেই জন্যে আপনাকে আমি সাবধান করেও দিয়েছিলুম। কিন্তু আপনি সেকথা না শুনে আমাকে কি কষ্টট দিয়েছেন জানেন ! এখনও আমি সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করার সে ক্লাস্তি শুধরে নিতে পারিনি। মেয়ের শিক্ষিত হয়ে যে অবুঝ হয়-এ আমি কিছুতেই সইতে পারিনে ! আমি হেসে বললুম-আমি আর এখন সমূত্রেও তলিয়ে যাচ্ছিনে, আপনিও আমাকে রক্ষা করবার জন্যে সমুদ্রের সঙ্গে আর লড়াই করছেন না, অথচ আপনার মুখ সেট সেদিনকার সকালবেলাব মুখের মতনই অন্ধকার হয়ে উঠেছে। কিন্তু রাত হ’য়ে গেছে, এপম উঠি । সে ত্রস্ত হ’য়ে হেসে বললে—ন না, এ মেঘ নয়—এ মেঘের ছায়া । তার পরেই আমার সঙ্গে-সঙ্গে দাড়িয়ে উঠে আবার বললে, চলুন আপনাকে পৌছে দিয়ে আদি। নিতৃত নির্জন বালু-বেলা। সামনে দূরে কেউ নেই। চাদের কিরণে সমূত্রের চেহারা রহস্যের মায়া-পুরীর মতন মনে হচ্ছে । কালোকালে ঢেউগুলো তার প্রিয়া-বিরহবিধুর দয়িতের অন্তরের মতন বিক্ষুন্ধ। চাদের আলোর