পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪ লুইসা—জাঃ ! জামাকে বলে না। ’ পেপে—সত্যি, আমার বলবার কথা কিছু নেই ; কে জানে বলছি এইজন্য যে আমি কিছুই জানিনে। লুইসা—ত হ’লে কখনো ভালোবাসোনি ? পেপে—এককালে । লুইসা—আসল ভালোবাসা। পেপে—না, উৎকট পাগলামি । লুইসা—বিয়ের কথা ভেবেছিলে কি না জিজ্ঞাসা করছি। পেপে—খুব ভেবেছিলাম। লুইসা—তাকে ত্যাগ করলে কেন ? পেপে—কারণ, শুনলাম যে সে অারেকজনকে ভালোবাসে । লুইসা—ত হ’লে বলে সে তোমাকে ত্যাগ করেছে। পেপে—না সে ত্যাগ করতে চায়নি ; সেও পটপরিবর্তন করতে চেয়েছিল, কিন্তু অঙ্কপ্রণালীতে । লুইস-ভুল-ভাঙাতে খুব দুঃখিত হয়েছ ? পেপে—ভয়ানক ! সেদ্ধঃখ ভুলবার জনোইত সেসিজ নট পারীতে কাটিয়ে দিই। লুইসা—সত্যি, তা হ’লে, বেশ, বেশ, নভেলী বটে। পেপে—তখন রামন খুড়োকে বাবা আমার খোজে পাঠান, কারণ, লোকে তাকে বলে’ দেয় সেখানে আমি প্রেম করে” বেড়াচ্ছি । লুইসা—বেশ মজার ত! ফরাসী মেয়ের সাথে. আর রামন খুড়ো না তা দেখতে পেয়ে তোমার একটি কৰ্ণ আকর্ষণ করে আনলেন--- পেপে—বাঃ, তা নয় ; তার চেয়ে কাজের উপায় অবলম্বন করলেন, নিজে তার কাছে উপস্থিত হলেন... সে এক জাপানী থিয়েটারের গায়িকা । লুইস—আহা, কি হতভাগ্য ! সবাই তোমায় ত্যাগ করলে.তোমার হৃদয় একেবারে ভেঙে গিয়েছে। , পেপে—তা মনেও ভেবে না, দৃঢ় হ’য়ে উঠেছে। জীবনে আমার যা ভুল হয়েছে সেসব সামান্য ভুল মাত্র, আশাভঙ্গ নয়; তার ফলে আমার কোন গভীর দুঃখ হয়নি, আর জালিও না, কি কথাটা প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ [ ૨8ન છાન, ફ્રે ૧૭ আমাকে কিছুমাত্র নিরাশও করেনি। আমার হৃদয় “উন্মুক্ত হ’য়ে আছে। লুইসা—রঙীন প্রেমের, আইডিয়ালের আশায়--- পেপে—আমার মনে হয় না যে শুধু ভালোবাসা, কাব্যের ভাষায় প্রেম, স্বখের পক্ষে যথেষ্ট । কাব্যের প্রেম হাত ধরে দোর পর্ষ্যস্ত আমাদের সুখে-মুখে পৌছে দিতে পারে ; কিন্তু যাত্রার পথে কষ্ট আছে ; সেখানে ছৰ্ব্বল শিশুর মতন গ্রেমের দৃঢ়সবল আরকিছুতে পরিণত হওয়া আবশ্যক, যাতে মানুষ কর্তব্য ও ত্যাগের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে— লুইসা—এ-খুব খাটি কথা বলছ—প্রথম আশ্চৰ্য্য! পেপে—বাঃ ! এমন আশ্চৰ্য্য তোমাকে ঢের করে’ দিতে পারি,তুমিও আমাকে করে দিতে পারে, দু’জনেই পরম্পরকে আশ্চৰ্য্য করে দিতে পারি—জীবনের কি জানি আমরা ? আমাদের শিক্ষা কিরকমে হয়েছে ? স্পেনে সকল পিতার ধরণই এই –ছেলেদের চিরকাল কচি থোকা বলে বিবেচনা করা । আমার বাড়ীতে আমি চিরকাল পেপিতো, তোমার বাপের কাছে তুমি চিরকাল লুইসিতা ; এই দুই থোকা-খুকী পারে কেবল একটা না একটা দুষ্টমি কবৃতে, তাদের বিষয়ে কোনটাই সত্যিকারের বলে গণ্য হবে না ; আমাদের খামখেয়ালিগুলো অল্পাধিক আলোচনার বিষয় হ’তে পারে, কিন্তু সেগুলো সৰ্ব্বদা তারা খুলীমনে হজম করে নেন ; বাপের আহলা’দে থোকাখুকু, জীবনে আর কারে কাছে থেকে দুৰ্ব্ব্যবহার সহ করতে আমরা প্রস্তুত নই,যখন নিজে নিজের কর্তা হ’য়ে চলতে হয়, তখন হয় অতিসাহস-নয় অতিসঙ্কোচ-দোষ এসে পড়ে, আত্ম-প্রত্যয়ের ফলে যে একটা অটল প্রশাস্ত ভাব আসে সে-শাস্তির অধিকারী হয়ে কখনো আমরা চলতে জানব না, কারণ, আমাদের পিতা বলেন, “এমন হবে না” অথবা “এমন হ’তে হবে,” কিন্তু কোন দিন “তুমি এমন" একথা বলেন না। আমি যে কেমন আমি তা জানিনে, এবং তোমার পক্ষেও সেই কথাই খাটে । লুইস–তোমার কথা খুব ঠিক । তারা আমাদের নিজেকে জানতে শেখাননি, এখন যেই তাদের মাথায়