পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ]

  • অনিচ্ছায়

૭શે ঢুকেছে ষে এসব পরিবারের মধ্যেই আবদ্ধ থাকা ভালো, এবং আমরা নিজের দেখে’-গুনে নিতে অক্ষম, অমূনি তাড়া-ছড়ো করে “দে দু’জনের বিয়ে,” এবং একেবারে হঠাৎ মাস-ছুয়েকের জন্তে বাগদত্ত হ’য়ে থাকে, তার পর ব্যাপারনিষ্পত্তি এবং বাকী সারা জীবন ধরে’ খুংখুৎ-এতে বাধা দেবার জন্তে আমরা দু’জনে একমত না হ’লে হয়েছিল আর কি-কিন্তু তোমাকে বলে রাখছি প্রথমে আমি না বলতে পারব না...সেকাজ করবে: পেপে—আমি বাধা দেবো । লুইসা—বোলো আমি খুব ভালো, খুব চমৎকার, যা বলতে তোমার ইচ্ছে হয় ; কিন্তু আমি ভাবুক-গোছের মেয়ে নই—জার সকলের মতন তোমারও আদর্শমত মেয়ে হওয়া চাই। ভালো কথা, তোমার আদর্শটা কিরকমের ? পেপে—আমার আদর্শ । উপযুক্ত স্ত্রীর ? তুমি হাসালে। লুইসা—ফর্শ । শু্যামবর্ণ ? চ্যাঙ ? বেঁটে ? পেপে—তাত জানিনে। ধূসরবর্ণের পোষাকে চলে’ তোমাকে এই এক খবরই দিতে পারি। লুইসা-আচ্ছ খেয়াল ত ! পেপে—অনেক দিন আগে আমি একখানি ইংরেজি ছবিতে সেই রং দেখেছিলাম ; ইংরেজি চিত্রকলার একখানি স্নিগ্ধ দৃত ; ধূসর-পোষাক-পরা একটি মেয়ে খৃষ্টের জন্মোৎসব-উপলক্ষে পুডিং তৈরি করছে, পাশে বসে একটি যুবক, স্বামী বা বাগদত্ত প্রণয়ী হবে, চারদিকে কয়েকটা বিড়াল, একটু দূরে কয়েকটি বৃদ্ধ বাইবেল-পাঠে মগ্ন, অপর দিকে খোলা দরজার ভিতর দিয়ে একটা বাগান, অতিম্বন্দর কয়েকটি শিশু খেলা কবৃছে। জানি না সেই ছবিতে, সেই দৃশ্বে, সেই রংয়ে সমস্তে জুড়ে কি যেন একটা মাথা ছিল, যাকে বলা যায় মানুষের সংসারে আকাজিত মুখের রং। - লুইসা—গোলাপের রং ? পেপে—না ফিকে ধুসর ; ভারি মোলায়েম স্বরের ; লোকে যে স্বর্থের স্বপ্ন দেখে, তার গোলাপী রং ; যে-স্বর্থ হাতে আসে, জীবনে যে-মুখ লাভ হতে পারে, তার ঐ ধূসর রং চিরকাল নি:স্পৃহ বিষাদের রং, উদার বৈরাগ্যের ং, যা মৃদ্ধ হাসে, ক্ষম করে ও ভালোবাসে । লুইস-জামার একটা ধূসর পোষাক আছে, তবে ঠিক ঐ স্বরের হবে কিনা জানি না ; একদিন সেইটে পরে’ দেখব তোমার ইংরেজি ছবির অর্থাৎ তোমার আদশের মতন দেখা যায় কি না, তা হ’লে অস্তুত একটা সাদৃপ্ত হবে। পেপে—আর কি কবুলে আমি তোমার আদর্শের মতন দেখতে হবো ?— লুইসা—আমার স্বামীর আদর্শের মতন ? ওঁ ! সে আদর্শ কেমন হবে না, সেইটে খুব ভালো জানি, কিন্তুকেমন হবে তা ত বলতে পারব না। পেপে—কেমন হবে না ? লুইস-অনেক রকম। মনে কোরো না বড় দোষের মতন ছোট-ছোট দোষ দেখে আমি ভয় পাইনে ; ঐরকম সামান্ত দোষ দেখতে হয়ত শোভার মতন, কিন্তু সমস্ত জীবন-ধ্যাপী ঘনিষ্ঠতার পক্ষে সেগুলো সবচেয়ে মারাত্মক, উদাহরণ দিই –আমার এক সর্থীর উপযুক্ত বরের সাথে বিয়ে হয়েছে, সমস্ত সংসারের মতে আদর্শ-চরিত্র যুবক ; সেদিন এখানে বেড়াতে এসেছিল তারা ; একটা তুচ্ছ ঘটনা ধরে আমি ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারি তা’র কোনো দিন স্বর্থী হবে না । শুনলে নেহাৎ বাজে বলে মনে হবে, স্বামী স্ত্রীকে বললেন—“ম্যেরথেদিতাস, তোমার পোষাক ছিড়েছ ?” এ-কথাটি এমনভাবে তিনি বললেন যাতে বোঝা যায়, ঐ দু-জনের মধ্যে স্বামীর চোখে সকলের আগে ছেড়াটুকুই পড়বে। - পেপে—বেশ মজার ত ! লুইসা—কথা এই যে, শুধু ঐটুকুতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা অত্যন্ত অপীতিকর ভূমিকা পরিবর্তন হয়েছে বোঝা যায়। যে-বিয়েতে স্বামীর কৰ্ত্তব্য দাড়ায়, বেশী খরচ হচ্ছে নির্দেশ করে দেওয়া, সে-বিয়ের সম্বন্ধে কি বলতে চাও? এর চেয়ে কি বেশী ভয়ানক হ'তে পারে, যখন অহরহ স্ত্রীর মুখে, শোনা যায় “আমি এটা কিন্‌ব, কিনব, আমি ওটা চাই”, আর স্বামীর মুখে, “বাজার বেজায় চড়া, আমরা এত খরচ করতে পারিনি”— । তার জায়গায়, যখন স্ত্রী মুখ ফুটে কিছু চায় না, কিন্তু সময়ে-সময়ে স্বামী যখন কোন