পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిస్చెఅ প্রবাসা-পৌষ, ১৩৩১ [ २8* छोश, २ञ्च १७ কিছু উপহার এনে হাতে তুলে দেন,তখন আহলাদ গোপন করতে না পেরে স্ত্রী সপ্রেমে বলে—“এটা কিনলে কেন ? আমাদের বেশী খরচে হাত দিতে নেই ; এর জন্যে তোমার কাছে নিশ্চয় মেলা টাকা নিয়েছে ; খুব চমৎকার হয়েছে", ইত্যাদি, তা হোক না কেন জিনিসটা বাজে-কিছু এবং তার দাম তিন পেসেতা মাত্র ;–তখন তার চেয়ে আর কি বেশী স্বন্দর হতে পারে ? পেপে—অনেক জানো দেখছি.. লুইসা—বাবার সঙ্গে আমার ব্যবহার এইরকম, এবং যে সৰ্ব্বদা আমাকে উপহার দিয়ে থাকে, সময়ে হয়ত অভূত-অদ্ভূত জিনিস, তার সঙ্গেও তাই, কিন্তু ঈশ্বর যেন আমার মুখ দিয়ে সে-কথা বের না করেন ! স্বামীর সঙ্গেও এমনি করে চলব। এমন কুশিক্ষিত স্ত্রী আছে, যারা বেচার স্বামীর-দেওয়া উপহার দোকানে বদল করে, তারাই আবার নিজেদের শ্রেষ্ঠ রুচি-সম্পন্ন বলে’ গৰ্ব্ব অনুভব করে...তুমি বলবে আমি বাজে জিনিস খুটে বর করি, তুচ্ছ জিনিসের উপর গুরুত্ব আরোপ করি। পেপে—না, না ; আমরা এক-মত—আমিও তুচ্ছ জিনিসকে মূল্যবান মনে করি...তোমার মতনই ভাবি. লুইসা—এখন বুঝলে কেন শুধু বাবাকে তুষ্ট করবার জন্য আমি তোমাকে বা আর কাকেও বিয়ে করতে রাজি নই। পেপে—আমিও করতে পারে । লুইস-তারা মনে করেছিলেন, এতে তাদের স্ববিধ হয়, তাই ••••••মুখের বিষয়, তারা দেখবেন আমাদের উভয়ের এক মত, এবং কোন পক্ষেরই কোন অসত্তোষের হেতু নেই। পেপে—আমার কথার ধরণে, কোন হেতু ঘটতই না ; তোমাকে নয় ; একথা বিশ্বাস বাবার অবাধ্য না হ’য়ে প্রণয়ীরূপে এখানে উপস্থিত । হতাম ও তোমার চোখে খারাপ দেখাতে যা কিছু করা দরকার সব করতাম । লুইসা—আমাদের বাগানটি তা হলে অতি চমৎকার হ’ত, কারণ, আমিও প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তোমাকে অভিষ্ট করে দেবো। পেপে—মুখের বিষয়, তোমার মাথায় এমন একটা প্রকাও আইডিয়া আসে ; এই আলাপ হ’ল বলে’••• লুইস+—এতে ভালো হ’ল না ? সোজা কথায়, আলাপের সাহায্যেই লোকে পরস্পরকে বুঝতে পারে ; সেটা হাতে-হাতে দেখলে ; এখানে বসে’ নিরিবিলিতে, অকপটে কথা ক’য়ে, সহজভাবে আলাপ করে’. পেপে—এবং পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট না হ’য়ে•••••• আমি আবিষ্কার করেছি আমার একটি মনের মতন তরুণী আত্মীয়া আছে । লুইসা—এবং আমিও আবিষ্কার করেছি যে, আমার একটি চমৎকার ও খুব স্ববুদ্ধি আত্মীয় আছে ও জীবনের অনেক বিষয়ে সে আমার মতনই ভাবে । পেপে—অর্থাৎ,তুমি সব বিষয়েই খুব চমৎকার ভাবো। লুইসা—তা হ’লে তোমার বাবা ও আমার বাবা যা পরামর্শ করছেন ঠিক সেটা না হ’লেও আমাদের জন্যে ভালো একটা-কিছু লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন ; আজ থেকে আমরা পরম্পরকে বাস্তবিক শ্রদ্ধা কবৃতে শিখলাম ; আর মনের কথা বলছি, এর আগে তোমার প্রতি উদাসীনই ছিলাম, খুবই উদাসীন। পেপে—আমিও তোমার বিষয়ে । লুইস —আর তার চেয়েছিলেন আমাদের বিয়ে দিতে । পেপে—এখন দেখা গেল, সেটা অসম্ভব, তাই না ? লুইসা—আমার মনে হয় এমন সম্ভাবে আর কখনে কোন বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়নি । পেপে–একথা নিশ্চয় যে বিয়ে করলে আমরা পরস্পরের প্রতি এত সস্তুষ্ট হ’তে পারতাম না। লুইসা—আমার দিন যখন আসবে, আমি চাইব আমার স্বামী যেন কতকটা তোমার মতন হয়। পেপে—এবং আমি চাইব আমার স্ত্রী যেন সম্পূর্ণ তোমার মতন হয় । লুইসা—সত্যি ?-হাসছ কেন ? পেপে—যা করব না বলে আমরা আলাপ করছিলাম তা’তেই তুমি আটকা পড়ে গেলে, না ? লুইসা—তাই নাকি ?...সত্যিই ত। কি মূৰ্খ আমরা,