পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిరి8 প্রবাসী—পৌষ, ১৩৪১ [ २8ं खांश्, २झ ५७ অধ্যক্ষ লিম্ আসিয়াছেন এখানে চীনাভাষা পড়াইবার জন্স । ডক্টর ষ্টেন কোনো আসিয়াছেন এখানে মৌলিক গবেষণায় ছাত্রদের সাহায্য করিবার জন্ত। তিনি বর্তমানে . “ভারতীর ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ধারাবাহিক বক্ততা দিতেছেন। বর্তমানে শিক্ষা-ভবনের অধ্যক্ষ ঐ নেপালচন্দ্র রায় । এখানে সাধারণতঃ সাহিত্য ও ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয় । ম্যাটিক পরীক্ষার পর ছাত্রেরা এখানে পাচ বৎসর পড়িলে উপাধি সার্টিফিকেটু পাইবে । সেইজন্ত প্রথম তিনবৎসর তাহাদের ইংরেজী, বাংলা, সংস্কৃত, ইতিহাস, দর্শন ও ফরাসী বা জাৰ্ম্মান ভাষা শিখিতে হয়। শেষ দুইবৎসর কোন বিষয়ে বিশেষভাবে পাঠ করিতে इब्र । পাঠ-ভবনে অনেকট ম্যাটকের উপযোগী শিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে অন্যান্ত বিদ্যালয় অপেক্ষ এখানে সঙ্গীত, চিত্ৰ-বিদ্যা, ছুতারের কাজ ও বিজ্ঞান বেশী শিখানো হয় ও মেয়েদের সঙ্গীত ও গার্হস্থ্য-বিদ্যা, রোগীসেবা অবশ্য শিক্ষণীয় । এ-তিনটি বিভাগ ছাড়া কলা-ভবনের নাম উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রসিদ্ধ শিল্পী নন্দলাল বস্থ মহাশয় ছাত্রদের চিত্র-বিদ্যা শিখান আর ঐ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পণ্ডিত ভীমরাও শাস্ত্রী সঙ্গীত-বিদ্যা শিখান। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা স্বাস্থ্যের জন্তু সৰ্ব্বপ্রথমে পানীয় ও ব্যবহার্য্য জল প্রয়োজন। এই জেলায় বাধ-পুকুরগুলি কালক্রমে নষ্ট হইয়া যাওয়ায় অতিশয় জলাভাব ঘটিয়াছে। এই বৎসর গ্রীষ্মকালে প্রায় সকল গ্রামেই দারুণ কষ্ট হইয়াছিল। শুনিয়াছি যে, বোলপুর শহরে লোকের কয়েক দিন স্নান করিতে পায় নাই । এষ্ট বোলপুর সহরে ও তাহার চতুস্পার্শ্বস্ব মাঠে অনেকগুলি বাধ ও পুকুর আছে ; কিন্তু তাহার কোনটিই ভালো অবস্থায় নাই ; কুতরাং জল থাকে না । ইহাদের মধ্যে কতকগুলি হইতে সমীপবৰ্ত্তী মাঠে জল-সেচন হয় । স্বতরাং বুঝিতে পারা ধায় যে, এইসকল জলাশয় যখন ভালো অবস্থায় ছিল, তখন জলের অভাব ছিল না এবং ফসল কখনও नूछे छ्हेड न । কিন্তু কেবল জল থাকিলে চলিবে না। পানীয় জলের পুকুরগুলি যাহাতে মলমূত্র ত্যাগ বা অন্য কারণে দূষিত হইতে না পারে, তাহার চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য । পূৰ্ব্ব প্রবন্ধে বলা হইয়াছে যে, এখানে কলেরার প্রকোপ অত্যন্ত বেশী । এবারেও ভয়ানক কলেরা হইয়াছিল। দূষিত জল পান করিয়াই অনেক লোক এই রোগের কবলে পতিত হয়। স্বতরাং জলাশয় যাহাতে দূষিত না হয়, তাহার চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য। গ্রামে-গ্রামে ব্ৰতীবালকের দল (Boy-Scouts) গঠন করিয়া তাঁহাদের দ্বারা পানীয় পুকুর রক্ষার ব্যবস্থা সহজেই হইতে পারে। পূৰ্ব্বের প্রবন্ধে বলা হইয়াছে যে, এখানে ম্যালেরিয়াজরের প্রকোপ অত্যন্ত বেশী। ১৯১৯ সালে প্রকাশিত সরকারী স্বাস্থ্য-বিভাগের রিপোর্ট-অনুসারে বাংলার অন্যান্য জেলা অপেক্ষ এখানেই ম্যালেরিয়া-জরে মৃত্যুর হার বেশী। বিশ্বভারতীর পল্লী-সংস্কার-বি ভাগ হইতে নিকটবর্তী গ্রামসমূহে ম্যালেরিয়া-নিবারণ করিবার চেষ্ট হইতেছে । এইকাজের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। প্রতি গ্রামে একটি করিয়া পল্পী-সমবায়-সমিতি গঠিত হয়। গ্রামের লোকেরা অবস্থা-অমুসারে অর্থ-সাহায্য বা প্রতিদিন একমুষ্টি চাউল দিয়া থাকে। যাহারা অতি দরিদ্র, তাহারা মাসে একদিন একবেলা কান্ত্রিক পরিশ্রম করিয়া সমিতির কাজে সহায়তা করে। গ্রামে একদল স্বেচ্ছাসেবক বা ব্ৰতী-বালক জোগাড় করা হয় । ইহারা চাদা সংগ্রহ করে এবং ম্যালেরিয়াগ্রস্ত লোকদিগকে সপ্তাহে দুইবার করিয়া কুইনাইন সেবন করায়। তাহা ছাড়া পুকুর ও ডোবার তালিকা প্রস্তুত করিয়া তাহাতে সপ্তাহে একবার করিয়া কেরোসিন তেল ছড়ানো হয় । যাহারা কায়িক পরিশ্রম করে তাহাদের সাহায্যে জল ও পুকুরের আবর্জনা পরিষ্কৃত হয় । বলা বাহুল্য, আমাদের মতন দরিদ্র-দেশের উপযোগী অল্পবায়সাধ্য ব্যবস্থাই অবলম্বন করা হইয়াছে। আপাততঃ কুরুলের নিকটবর্তী ১৯টি গ্রামে এইপ্রণালীতে কাজ