পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । o ASAMMAMSMMAAASA SAASAASSAAAAAAS AAASASAAAAAS AA SAASAASSAAAAA AAAAMMMMAAASS SAA AA ASASASASAS SS SAAAAAS S AAAA S AAAAAA শীঘ্র তিনি কোনো সিদ্ধান্তেই পৌছতে পারেন না । তৰু তিনি ভেতরে-ভেতরে দিন-দিন কেমন অন্যমনস্ক হয়ে উঠতে লাগলেন। সেই জলজ শেওলার শুকনো ডাটা-পাত কুটীরের সাম্নে প্রায়ই পড়ে থাকৃতে দেখা যেত । পুথিপত্র তিনি আজকাল কমই খোলেন। নদীর ধীরে-ধারে যেখানে বস্তুগাছের গুণমপত্রসম্ভার স্রোতের জলে ঝুপ সি হ’য়ে পড়ে থাকুত, দীর্ঘ-দীর্ঘ ঘাসের ফুল আপে-গুপে ফুটে জলের ধার আলো কমে থাকৃত, পত্রনিবিড় ঝোপগুলির তলায় জলচর পক্ষীরা ডিমগুলি গোপনে শুকনো পাতা চাপা দিয়ে রাগ ত, লোকনাথ বেশীর-ভাগ সময় সেইসব স্থানে কি দেখে’দেখে ফিরতে আরম্ভ কবুলেন । তার কুটীরের সামনে মাঠে একরকম ছোট ঘাসের কুচেী-কুচো শাদা ফুল রাশি-রাশি ফুটুত, লোকনাথকে দেখা যেত সেই ফুল তুলে তিনি অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে তাদের গঠন লক্ষ্য করছেন –ঘাসেৰু ফুল-সম্বন্ধে লোকনাথের মনে হ’ত যে, সব ফুলগুলি একই-গঠনের-পাচটি করে পাপড়ি, মধ্যে একটা বিন্দু। প্রকাণ্ড মাঠে এ-রকম ফুল দু'-হাজার, দশ-হাজার, দু’-লক্ষ, দশলক্ষ ফুটে থাকৃত, লোকনাথ যদৃচ্ছাক্রমে এখান থেকে ওখান থেকে ফুল তুলে দেখতেন, সবগুলির সেই একই গড়ন, সেই পাঁচটা করে’ পাপড়ি, মধ্যে একটা বিন্দু । লোকনাথের পিপাসা বিকারের রোগার মত বেড়ে’ উঠল। কত কি প্রশ্ন তার মনে আসে,—অসাধারণ, ভয়ানক বিভীষণ সব প্রশ্নদৈত্য ! লোকনাথ বলতেন,— জানাও হে চৈতন্তময় কারণ শক্তি, আমায় আরও জানাও। দিন-কতক পরে সত্যই তার অসহ যাতনা হ’তে লাগল। একটা বিশাল · ঘনান্ধকার গুপ্তরহস্য জগৎদ্বারপাশ্বের সঙ্কীর্ণ ছিদ্রপথ দিয়ে ক্ষীণ একটুখানি আলোকরেখা যেন তার চোখে ফেলছিল, তার বুভুক্ষু মন সমস্তটা একসঙ্গে দেখবার জন্তে ছট্‌ফট্‌ কবৃতে লাগল ;– রাত্রে তার নিদ্ৰা হ’ত না-কালো আকাশে চোখ তুলে’ বলতেন—চোখ খুলে দাও, হে মহাশক্তি, চোখ খুলে দাও । ইতি মধ্যে আবার একদিন তিনি দেখলেন—একট নাস্তিক wo)3> কি পতঙ্গ আর-একটা ছোট পতঙ্গকে শরীরনিঃস্থত রসে অল্লে-অল্পে অচেতন করে ফেলচে.বড় পতঙ্গট। হাতে তুলে নিয়ে লক্ষ্য করে দেখে তার মনে হ’ল সেটার শুড়ের মতো ছুচলে একটা প্রত্যঙ্গের খানিকট ংশ ফাপ,--একপ্রকার বিষাক্ত রস শরীরের মধ্যে থেকে বার হ’য়ে ঐ ফাপা অংশ দিয়ে বার হয়ে আসবার বেশ সুন্দর, সুনির্দিষ্ট বন্দোবস্ত আছে --- লোকনাথের মন একমুহূৰ্ত্তে আবার অন্ধকার হয়ে গেল। নিষ্ঠুর ধ্বংসের এ কি কৌশলময় আয়োজন • মুখ ভক্তিশাস্ত্রকার, এই বুঝি তোমার দয়ালু ঈশ্বর ? ( & ) বসন্তের বাকী দিনগুলো এবং সারা গ্রীষ্মকালট: এইভাবেই কেটে গেল । অবশেষে একদিন কৌতুহলপ্রদ এক ঘটনায় লোকনাথের দুঃখ, ব্যাকুলত ও সন্দেহের এক অপ্রত্যাশিত-রকমের উপসংহার ঘটল । সে সময়ট। আষাঢ় মাসের প্রথম সপ্তাহ । বহুদিন বৃষ্টি হয়নি, অসহ রৌদ্র তাপে মাঠের ঘাসগুলো জরে’ বিবর্ণ হ’য়ে গিয়েচে, বাতাস আগুনের বালকের মতো তপ্ত। বৈকালের দিকে কিন্তু খুব জোরে বাতাস বইতে লীগল, এবং একটু পরে ঈশান কোণে খুব মেঘ জমূল । নদীর বড় বাকটায় বড়-বড় খাসের মধ্যে শুয়ে লোকনাথ পূৰ্ব্বদিক্‌চক্রবালে নবীন বর্ষার ধনস্তাম মেঘস্তুপের সজ্জ! একমনে লক্ষা করছিলেন, হঠাৎ স্টার ডান হাতে মধ্যম ও অনামিকা অঙ্গুলির মাঝখানে কিসে ধেন কামৃড়ালে। সে-fদকে চোখ ফিরিয়ে হাত টেনে নিতেই দেখতে পেলেন একটা শঙ্খচূড় সাপ ফণা তুলে হাতের সেখানে, মুহূৰ্ত্তে আর-একটা ছোবল মারবার উপক্রম করতে গিয়ে হঠাৎ মাথা নীচু করে লম্বা-লঙ্গ ঘাসের মধ্যে বিদ্যুৎবেগে অদৃপ্ত হ’ল। কি করছি, না ভেবেই লোকনাথ সাপটার অদৃশ্যমান পুচ্ছটা তাড়ীতাড়ি হাত বাড়িয়ে চেপে ধবৃতে গিয়ে একগোছা ঘাস মুঠোর মধ্যে চেপে ধরলেন, সাপট ততক্ষণে অদৃপ্ত হয়েচে । লোকনাথ তাড়াতাড়ি পরিধেয় বসন ছিড়ে হাতের কজিতে ও বাহুতে বাম হাতে পাকিয়ে-পাকিয়ে দুটো বাধন দিলেন, বাধন সুবিধা হ’ল না, অনেকট। আলগ।