পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মুক-বধির শিশু - so లి: ہیلیے ہی مہ۔--۔جب ہم عمحب۔۔۔احتیہ--ع--------- ভাবেই মুগ্ধ, আবন্ধ রইল, বহু বৎসর পূর্বের শৈশব- একটা বিরাট প্রশ্নের রূপ পরিগ্রহ করে তার মুখের কালে গ্রামসীমার মাঠে তার অজ্ঞান, শিশু-নয়ন ছ'টি দিকে জিজ্ঞাস্থনেত্রে চেয়ে রইল-প্রশ্নের কোনো উত্তর যেভাবে আবদ্ধ রইভ...প্রায়ান্ধকার জগৎট। আবার তার কাছে পাওয়া গেল না... আজ ত্রিশ বৎসর হইয়া গেল, কলিকাতা মুক-বধির বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। কত মূক-বধির ছেলেমেয়ে এই বিদ্যালয়ে আসিয়া নানাবিধ বিষয়ে শিক্ষালাভ করিতেছে । যাহাবা এতদিন সমাজের আবর্জনা হইয়াছিল, তাহার। আজ শিক্ষার গুণে স্ব-স্ব জীবিকা উপার্জন করিতেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, আমাদের দেশের লোক আজও এ-বিষয়ে নিতান্ত অজ্ঞ। মূকবধিরদিগকে শিক্ষা দিয়া মানুষের মতন করা যায়, একথা অনেকেই জানেন না। যদি তাহাদিগকে বলা যায় যে, শিক্ষাদ্বারা মুক-বধিরগণ আমাদের মতন কথা বলিতে ও অপরের ওষ্ঠ-সঞ্চালন নিরীক্ষণ করিয়া কথা বুঝিতে পারে, তাহা হইলে বোধ হয় আমরা বহুক্ষেত্রে বাতুল আখ্যাই পাইব । পাশ্চাত্য জগতে মুক-বধিরগণ উচ্চ শিক্ষা পৰ্য্যন্ত লাভ করিতেছে। কিন্তু আমাদের দেশের এমনই দুর্ভাগ্য, যে, সমগ্র বঙ্গদেশে ত্রিশ হাজার মুক-বধিরের মধ্যে মাত্র ১০০ জন শিক্ষালাভ করিতেছে । এ-দোষ কাহার ? সরকার বাহাদুরের ও আমাদের, উভয়ত । এই হতভাগ্য মুক-বধিরদিগের জন্য যে সহানুভূতি আমাদের দেশবাসীগণের হওয়া উচিত, তাহা তাহীদের নাই। কলিকাতা মুক-বধির বিদ্যালয়ের আজিও দিন আনি দিন খাই’ অবস্থা । বিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য নানাবিধ আয়োজন আবশ্যক। অর্থের অভাবে কিছুই হইতেছে না। কলিকাতা সহরে যদি প্রত্যেকে এককালীন একটি করিয়া টাকা দেন, তাহা হুইলে মূক-বধির শিশু শ্ৰী শৈলেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, এম্-এ বিদ্যালয়ের আর্থিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয় । আমরা কি আশা করিতে পারি না যে, আমাদের দেশবাসীগণ এই সামান্য সাহায্য করিতে বিমুখ হইবেন না ? আমরা কাহাদিগকে মূক-বধির বলিতে পারি ? এমন অনেক ছেলেমেয়ে আছে, যাহাঁদের প্রথমে দেখিলে মনে হয় যে, তাহারা মূক-বধির, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহারা মোটেই মূক্ষ-বধির নয়। তাহাদের স্বাভাবিক বুদ্ধি এত নিম্নস্তরের যে, তাহারা সমস্ত কথা শ্রবণ করে, কিন্তু উত্তর (respons) দেয় না। সাধারণ লোকে এইরূপ শিশুকে মূক-বধির বলিয়াই জ্ঞান করে। কেহকেহ বা মূক, কিন্তু বধির নয়। এইরূপ মুকের সংখ্যা খুবই কম। কোনও রোগের দরুন বা কোনোপ্রকার আঘাতের (shock) দরুন তাহদের কথা বলিবার শক্তি লোপ পায়। গত মহাযুদ্ধের পর এইরূপ মুকের সংখ্যা অনেক বাড়িয়া গিয়াছে । গোলার শব্দে বা কোনপ্রকার ভীষণ আঘাতের জন্য অনেকের বাকৃশক্তির লোপ (aphasia) হইয়াছে। আমি ওয়াশিংটন্‌ সহরে এইরূপ একটি মানুষ দেখিয়ছিলাম। র্তাহার শক্তি-সঞ্চালক স্বায়ুর ( motor norves ) উপর ক্ষমতা সৰ্ব্বতেভাবে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। তিনি কথাও বলিতে পারেন না, লিখিতেও পারেন না ; কিন্তু সমস্ত কথাই শুনিতে পান। এইসব কারণে প্রকৃত মুক-বধির কাহারা তাহা আমাদের জানা আবশ্বক। যাহারা জন্মাবধি অথবা অতি শৈশবাবধি সম্পূর্ণভাবে বধির হওয়ায় মুক, এবং যাহাদের জন্মাবধি অথবা অতি শৈশবাবধি শ্রবণশক্তি এত