পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)0:8 প্রবাসী--পৌষ, ১৩৩১ [ २8* छांश, २ग्न थ७ শক্ত, কারণ সমস্ত দেশের শতকরা সংখ্যার হার এক নয়। ইতালীতে বধিরদের মধ্যে শতকরা ১৫ জনু এবং স্যাক্সনিতে শতকরা ৪৭৬ জন পীতজরের জন্ত বধির । , ৩। আরও নান-প্রকার রোগ হইতে বধির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাঁহাদের মধ্যে নিম্নলিখিত রোগগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ; যথা, হাম, টাইফয়েড, ডিপথেরিয়া, বসন্ত, রক্তামাশয়, হুপিং কফ প্রভৃতি। পরিশেষে আমার বিশেষ অনুরোধ যাহাতে সন্তানগণ “দস্যি ছেলেমেয়ে” হয়, সে-বিষয়ে প্রত্যেক মাতাপিত যেন বিশেষ চেষ্টা করেন, যে-ছেলে ঘরের কোণে বা দিবারাত্র মায়ের কোলে থাকে, সে-ছেলের ভবিষ্যৎ কোন দিন কোন বিষয়ে ভালো হইতে পারে না। এই-রকম ঘরকুণে ছেলে-মেয়েদের উপরে নানাপ্রকার রোগ বিশেষভাবে আধিপত্য লাভ করে । ছেলে-মেয়েদের অতি সামান্য অস্বথের উপরও যেন বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়। সামান্ত সর্দি-কাশি হইতে মস্তবড় একটকিছু হওয়া অসম্ভব নয়। অনেক ছেলেমেয়েদের কানে পূজ হয়। এই পূজ হইতে কান চিরদিনের মতন নষ্ট হইয়া যাওয়া বিশেষ-কিছু আশ্চর্য্যের কথা নয়। বামুন-বাগদী শ্রী অরবিন্দ দত্ত সপ্তম পরিচ্ছেদ দেখিতে-দেখিতে শাস্তির বিবাহকাল আসিয়া উপস্থিত হইল। বড়লোকের মেয়ে—পাত্র জুটিতে বিলম্ব হইল না। দিনও স্থির হইয়া গেল। পত্রিটি বিলাসপুরের জমিদার-পুত্র । বিবাহের দিন যতই নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিল, কানাইকে লইয়া মহেশ্বরীর ভাবনা ততই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবে গৃহখানি পূর্ণ হইলে গৃহে নিত্যই যজ্ঞব্যাপার চলিবে । তিনি কি করিয়া এই অস্ত্যজ ছেলেটিকে লইয়া সব-দিকু সাম্‌লাইয়া গৃহের মাঝখানে চলিবেন ? কানাইলাল এখন সেয়ানা হইয়াছে, তাহাকে অক্ষত্র সরাইয়া রাখিবার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। কিন্তু দিদির বিবাহ আসিতেছে, কত বাজিবাজনা, রং-রোশনাই হইবে—মিঠাই-মণ্ডা আসিবে, জাক-জমকে ও আড়ম্বরে চোখে চমক্‌ লাগিয়া যাইবে— সে প্রতিদিন মহেশ্বরীর নিকট তত্ত্ব লইয়া লইয়া সেই আনন্দে মাতিয়া উঠিয়াছে। এখন তাহাকে কি করিয়া অন্যত্র বিদায় করা যায়? আর যে পারে পারুকৃ—মহেশ্বরী ত পারেন না। তিনি একদিন ভয়ে-ভয়ে পুত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “স্বখেন! কানাইকে নিয়ে কি হবে ?” স্বখেন্দু কহিলেন, “কি আর হবে। বাড়ীতে এই উৎসব, তুমি আমি বরং অন্যত্র গিয়ে থাকৃতে পারি, ওরা গলায়-গলায় সাথী, তুমি ওকে অন্যত্র পাঠাতে চাও নাকি ?” - মহেশ্বরী কহিলেন, “পুরুষের কথা ধরিনি, সবাই বাইরে-বাইরে থাকৃবেন। কিন্তু এই যে সব মেয়ের আসবেন, ছেলেট, কখন কি করে বসে, আমার ত ভয়ে প্রাণ কেঁপে যাচ্ছে ।” মুখেন্দু কহিলেন, “র্তারা মেয়েমানুষ হ’য়ে কি মায়ের প্রাণটা বাড়ীতে রেখে আসবেন ? দুনিয়ার উপর যে ভেসে-ভেসে বেড়াচ্ছে, এমন একটা নিঃসহায় বালকের এক-আধটু অপরাধ যদি তারা ক্ষমা করতে না পারেন, তবে তুমিও নাচার—আমিও নাচার!” মহেশ্বরী পুত্রের সদয় মন্তব্য শুনিয়া অত্যন্ত পুলকিত . হইতেছিলেন। তিনি কহিলেন, “আমি ভাবছিলাম কি কিন্তু ,