পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বিষ্ণুপুরাণ, বায়ুপুরাণ, মহাভারত, ভাগবং প্রভৃতি বিবিধ পুরাণে দক্ষযজ্ঞ-নাশের উপাখ্যান বিভিন্নরূপে বর্ণিত হইলেও, আখ্যানভাগের সারাংশে বিশেষ বিভিন্নতা मृहे হয় না। আখ্যানটি এইরূপ,—দক্ষ যে বাজপেয় যজ্ঞ করেন, তাহাতে রুত্রের কোনও অংশ ছিল না। শিবরহিত যজ্ঞ হইলেও দক্ষ-তনয়া সতী পিতৃযজ্ঞে অনাহুতভাবে গমন করেন, এবং তথায় পতি-নিন্দা-শ্রবণে খেদে প্রাণত্যাগ করেন। শিব তখন ক্রোধে স্বীয় জটা উৎপাটন করিয়া তাহা হইতে বীরভদ্র উৎপাদন করেন। এই বীরভদ্র দক্ষের যজ্ঞনাশ করিয়া তাহার শিরশেছদন করেন। মহাভারতের শাস্তি-পর্বে দক্ষযজ্ঞ-নাশের আখ্যানটি অন্তরূপ আছে। শাস্তি-পর্বের ২৮৩ অধ্যায়ে কথিত আছে —“দক্ষ অশ্বমেধ যজ্ঞ আরম্ভ করেন,—তাহাতে মহাদেবের ভাগ কথিত হয় নাই। মহাদেব ক্রোধে যজ্ঞস্থলে উপদ্রব করেন। যজ্ঞ নিতান্ত নিপীড়িত হইয়া মৃগৰূপ ধারণপূর্বক পলায়ন করিতে থাকেন। মহাদেব শরাসনে শর-সংযোগপূৰ্ব্বক তাহার পশ্চাৎ ধাবিত হন। যজ্ঞের অনুসরণ করিডে-করিতে র্তাহার ললাট-দেশ হইতে স্বেদবিন্দু vবিনির্গত হইয়া ভূতলে নিপতিত হয়। ঘৰ্ম্মবিন্দু নিপতিত হইবামাত্র তথায় কালারিসদৃশ হুতাশন প্রাদ্বভূত ও ঐ ***न हरेड यक २€ीकांब भशवलश्रब्राकाख झ्कदर्भ পুরুষ সস্তৃত হয়। ঐ কৃষ্ণবর্ণ পুরুষ মৃগরূপী যজ্ঞকে ভস্মসা” করিয়া মহাবেগে ঋষি১ও দেবগণের প্রতি ধাবমান श्ध्र ।” [ স্বৰ্গীয় মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ মহোদয়ের অনুবাদ ] এই শাস্তি-পর্কেরই পরবর্তী ২৮৪ অধ্যায়ে কথিত আছে—রুদ্র দক্ষের যজ্ঞনাশ-মানসে মুখ হইতে এক ভয়ঙ্কর পুরুষের স্বষ্টি করিলেন। সেই পুরুষ বীরভদ্র-নামে প্রসিদ্ধ হইল। বীরভদ্র যজ্ঞস্থল দ্বন্ধ করিয়া পলায়মান যজ্ঞের শিবচ্ছেদন করেন। মহাভারতের এই আখ্যানে দেখা যায়, প্রজাপতি ও যজ্ঞ একই,—উহার আকৃতি মৃগসদৃশ এবং উহ রুত্ব-কর্তৃক নিপীড়িত। স্বতরাং বেদাঙ্গ ব্রাহ্মণ গ্রন্থাদির আখ্যান অবলম্বন কুরিয়াই যে, এই মহাভারতের বক্ষবল নাশের আখ্যান রচিত হইয়াছে, সে-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। ব্রাহ্মণ গ্রন্থাদির বৈদিক আখ্যান রূপান্তরিত হইয়া পুরাণ-মধ্যে সন্নিবেশিত হইলেও আখ্যানের মূল বক্তব্যের বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটে নাই। বিষুব-বিন্দু ক্রমশঃ পশ্চিম দিকে সরিয়া আসিতেছে ; স্বতরাং মৃগশিরায় বিযুব-সংক্রমণ হইবার পূর্বেও কোনও সময়ে আৰ্দ্ৰ নক্ষত্রে বিষুব-সংক্রমণ হইত। তখন আর্দ্র নক্ষত্র হইতে যজ্ঞাদি সম্পাদনের জন্য সম্বৎসরাদি গণনা করা হইত। এ-কারণ পুরাণাদিতে আর্দ্র বা রুদ্রও একজন প্রজাপতি। পরে যখন বিষুবন মৃগশিরা নক্ষত্র সরিয়া আইসে, তখন আর্দ্র নক্ষত্রের সহিত যজ্ঞাদির আর কোনও সংস্রব থাকে না । দক্ষযজ্ঞে রুদ্রকে যজ্ঞভাগ না। দিবার ইহাই বোধ হয় একমাত্র কারণ । সতীর দেহত্যাগের কথা এই আখ্যানের মধ্যে কেন আসিল, অকুমান করা স্বকঠিন। তবে দেখা যায়, পূৰ্ব্বে নক্ষত্র-পৰ্য্যায়ের মধ্যে অভিজিৎ নামে একটি নক্ষত্র ছিল, কিন্তু দুই ভচক্র হইতে অনেক দূরে অবস্থিত বলিয়া কালে উহাকে আর নক্ষত্র মধ্যে পরিগণনা করা হয় না। এই কারণেই মনে হয়, সতীর দেহ-ত্যাগের কথা কল্পিত হইয়াছে। আৰ্দ্ৰ নক্ষত্রের প্রায় কতকটা সম্মুখে অভিজিৎ-নক্ষত্র অবস্থিত, এ-কারণ সতী রুদ্র-পত্নী । শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয় তাহার “আমাদের জ্যোতিষ ও জ্যোতিষী”-গ্রন্থে অনুমান করিয়াছেন যে, w*f<Tt< <i *|® WEfai (Sirius or Canis Major ) আমাদের পৌরাণিক রুদ্র বা সংহিতার ভূতবান। লুদ্ধক তারা যদি রুদ্র হয়, তাহ হইলে পুরাণের বীরভদ্র ৰুে আমরা পুরাণে দেখিতে পাই, রুদ্র স্বয়ং প্রজাপা দক্ষের শিরচ্ছেদন করেন নাই,—তাহ হইতে উৎপ অপর একজন পুরুষ করিয়াছিল। মৃগশিরার শিরো- শ যে তিনটি উজ্জল তারা আছে, তাহাই প্রজাপতি ষে শরদ্বারা। বিদ্ধ হইয়াছিল সেই ত্রিকাও শর বা রুত্রের ত্ৰিশূল । মৃগব্যাধ তারা ( Sirius ) হইতে রোহিণী নক্ষত্র পর্য্যস্ত; একটি সরল রেখা টানিলে, সেই রেখা মৃগশিরার এই তিনটি উজ্জল তারা ভেদ করে। স্বতরাং মনে হয়, এই মৃগব্যাধ বা লুব্ধক তারাই আমাদের পৌরাণিক স্বীয়ভঞ্জ। এখন কথা হইতে পারে, পুরাণে ক্লজের যে একাদশ নামের উল্লেখ আছে, তন্মধ্যে একটি নাম, মৃগব্যাধ এবং