পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপথ শ্ৰী উপেন্দ্রনাথ [ ৩৬ ] , মুখে চুপ . করিলেও মাধবী কিন্তু মনের মধ্যে চুপ করিতে পরিল না, বিমানবিহারী প্রস্থান করিবার পর নানাবিধ প্রশ্নোত্তরে তাহার মন আলোড়িত হইয়া উঠিল । যেসকল কথা বিমানবিহারী তাহাকে বলিয়া গিয়াছিল তাহা মনে করিয়া-করিয় সে মনে-মনে বিশ্লেষণ করিতে লাগিল ; এবং নদীর বঁাকে জলস্রোত যেখানে প্রতিহত হয় সেখানে আবর্জনা ধে-রূপে জমিতে থাকে ঠিক সেইরূপে, কথোপকথনের যে-যে স্থলে বিমানবিহারী নিজেকে সংরুদ্ধ করিয়াছিল সেইসকল স্থলে মাপবীর চিন্ত একটির পর একটি করিয়া জমাট বুধিতে লাগিল । কথোপকথনের মধ্যে বিমানবিহারী বলিয়ছিল ধে স্তরেশ্বরের জেলের পর প্রথম সেদিন সে মাধবাদের গৃহে প্রবেশ করে তখন ভাঙ্গার মন সুরেশ্বরের প্রতি বিদ্বেযে পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু গৃহ ইষ্টতে নিস্ক্রান্ত হইবার সময়ে তাহার মনে সে-বিদ্বেষের আর কিছুমাত্র অবশেষ ছিল ন । সহসা সমস্ত বিদ্বেয এরূপে অন্তহিত শুইবার কি কারণ হইয়াছিল তাহ মাধবী জানিতে চাইিলে বিমানবিহারী শুধু বলিয়াছিল যে সে-কথা তাঙ্কার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়, যাহা সকলেরই নিকট সে অগোচর রাথিতে চাহে । তাঙ্গার পর কথোপকথনের আর-এক স্থলে এই দ্বিতীয় অধ্যায় সংক্রান্তে বিমানবিষ্কারী বলিয়াছিল, ‘তোমার কথা শুনে আমার মনে আশ হচ্ছে মাধবী ! মনে হচ্ছে আমার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় প্রথম সপ্যায়ের মতন নিষ্ফল না হ’তেও পারে !" এই অবর্ণিত দ্বিতীয় অধ্যায় যে কি, এবং কিরূপে তাহার স্বত্রপাত হুইল তাহা নির্ণয় করিবার জন্য মাধবীর সমস্ত চিন্তা তৎপর হুইয়া উঠিল । সংশয় এবং সম্ভাবনার মাল-মশলায় যতরকমেই সে সম্ভাবিত দ্বিতীয় অধ্যায় রচিত করিল, কোনোটিই তাহার নিজ ছায়াপাত হইতে

  • * --محو&8

গঙ্গোপাধ্যায় মুক্তি পাইল না। প্রথম অধ্যায় সুমিত্রাকে লইয়া শেষ হইয়াছে তাঃ নিঃসন্দেহ ; তাহার পর দ্বিতীয় অধ্যায় যে তাঙ্গকে লইয়া আরম্ভ হয় নাই তাই কে বলিতে পাবে? বন্দুক হইতে এক মুহূর্বে সমস্ত বারুদ নির্গত হইয় যাওয়ার মতন মন হইতে বিদ্বেয নিৰ্গত হুইখা যাওয়ার প্রসঙ্গে যে জাদু-বাঙ্গির কথা বিমান বলিয়ছিল তাহার জাদুকরী সে ভিন্ন অপর আর কে হইতে পারে তাহ। মাধবী ভাবিয়া পাইল না। স্পষ্ট প্ৰিয় বিমানবিহার এপর্য্যন্ত কিছু বলে নাই তথাপি তাহার পুন:পুন: মনে হইতে লাগিল ধে বিমানবিহারীর জীবনের দ্বিতীণ অধ্যায়ে অধিষ্ঠাথীর পদে সে-ই অধিষ্ঠিত হইয়াছে ! কিন্তু এরূপ মীমাংসা মাধবীর নিকট মনোরম বলিয়া বোধ হইল না। বিমানবিহারার অনুরাগ স্বমিত্রার উপর হইতে অপস্থত হইয়া ত স্থার প্রতি প্রসারিত ੇমনে হব৷ মাঘ সৰ্ব্বপ্রপথে সে মনের মধ্যে একটা স্কুণ্ঠ হীনত বোধ করিল। সে-জিনিযের মধ্যে একনিষ্ঠ হুইবার শক্তি নাই, অপর-কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হস্তধার ঘাই জর্মণ, এবং বস্ত্র ঃ ধtঙ্গ অপর-কত্ত্বক প্রাপ্যাত মতে; হইয়াছে, তাহা লাভ করিবার কল্পনায় আগৌরবেরষ্ট মতন একটা কিছু, মাধবীর নিষ্ঠী-প্রিয় মনে, পীড় দিতে লাগিল । কিন্তু দুৰ্ব্বলতার একটা গুণ আছে ; একদিকে অশ্রদ্ধা সঞ্চার কবিলেও করুণ এবং সহানুভূতি উদ্রিস্তু করিবার তাঙ্গার একটা প্রকৃতিজাত পটুম্ব আছে । তাই বিমানবিহারী যে দুৰ্ব্বল, অনন্যত্রত ষ্টয়া অধিকার করিবার দৃঢ়ত। তাছার প্রকৃতির মধ্যে ধ নাই, সেই চিন্তাই মাধবীর সবলচিত্ত্বে ক্রমশ: একটা করুণ সঞ্চার করিতে লাগিল, এবং এই করণ বলসঞ্চয় করিয়া-করিয়৷ ক্ৰমশঃ এমন পুষ্ট হুইল ধে স্বমিত্র বিমানবিহারীকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছে বলিয়াই নিরবলম্ব বিমানবিহারীর একটা অবলম্বনের 釁