পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ ২১শ ভাগ, ২য় খণ্ড আবখ্যকতা আছে বলিয়া মাধবীর মনে বিশ্বাস উৎপাদন করিল। কিন্তু এষ্ট করুণ সুৰ করুণার অতিরিক্ত আর কিছু হইতেও পারে তাঙ্গ মাধবীর মনে হইল না। বৃস্তকে সে শুধু বৃন্ত পৰ্য্যন্তই দেখিল ; বৃন্তের অব্যবহিত পরেই বৃত্বের উপজাত ফলও যে বৃন্ত সংলগ্ন হইয়া থাকিতে পারে সে-কথা সে ভুলিয়া থাকিল । ভুলিয়া থাকা ভিন্ন উপায় ছিল না বলিয়া মাধবী তকট। ইচ্ছা করিয়াই সেকথা ভুলিয়া থাকিল, অন্যথা স্বরেশ্বরের নিকট যে প্রতিশ্রুতি করিয়াছিল তাহাই ভূলিতে sষ্টত। তাই কাজে-কৰ্ম্মে কথা-বাৰ্ত্তায় বিস্মৃতির বাধ বাধিয়া-বাধিয়া মাধবী তfহার চিন্ত-প্রবাহকে সঙ্কীর্ণ করিতে লাগিল । কিন্তু প্রবাহ সঙ্কীর্ণ হইলে গভীর হইবার সম্ভাবনা যে বাড়িয়া যায় সেকথা সে ভাবিয়া দেখিল না । কথাট। সপ্রমাণ হইল কয়েক দিন পৰে একদিন সুমিত্রাদের গৃহে, স্থমিত্রার জন্মদিনে । এবার স্বমিত্র তাহার জন্মদিন উপলক্ষে কোনোপ্রকার সমারোহ করিতে দেয় নাই। কেবলমাত্র মাধবীকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিল। দ্বিপ্রহরে আহারের পর স্থমিত্রার ঘরে বসিয়া দুই সখীতে বিশ্রম্ভtলাপ চলিতেছিল । সুমিত্রা বলিল, “শুনেছ মাধবী, বিমান-বাবু চাকুরি ছেড়ে দিয়েছেন ?” মাধবী চমকিয়া উঠিল । “চাকুরি ছেড়ে দিয়েছেন । কই, শুনিনি ত! ছাড়লেন " + “কাল তার ইস্তফা মঞ্জুর হয়েছে। কাল সন্ধ্যে-বেলা আমাদের বাড়ী বেড়াতে এসেছিলেন । আজ চার্জ, বুঝিয়ে দিয়ে আসবেন ।” মাধবীর প্রসন্ন মুখমণ্ডলে একটা ছায়া পড়িল । ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া সে বলিল, "এবার কিন্তু তা হ’লে তোমার আর-কোনো আপত্তি থাকুল না স্বমিত্রা ?” “কিসের আপত্তি ?” “বিমান-বাবুকে বিয়ে করবার ?” “ও!” বলিয়া স্বমিত্রা একটু চুপ করিয়া থাকিয়া কবে তাহার পর বলিল, “কিন্তু এতেই যে আমার সব আপত্তি যাবে তা তাকে কে বললে ? আমি ত তাকে কোনো অনুরোধ করিনি।” সুমিত্রার কথা শুনিয়া মাধবী মৃদু হাস্ত করিল, বলিল, “তুমি অনুরোধ করনি সেটা ত আর তার অপরাধ নয়! তোমাকে পেতে হ’লে তোমার আকুরোধের অপেক্ষায় থাকূলে র্তার চলবে কেন ?” “আচ্ছা, তা ধেন তার চলবে না ; কিন্তু তোমার স্বর আজ হঠাৎ এ-রকম বদলে গেল কেন, মাধবী ? বিমানবাবু শুধু নিজের চাকুরিই ছেড়েছেন, না তোমাকে ঘটকালিতে বাহালও করেছেন ?” বলিয়া স্বমিত্ৰা মৃদুমুছ হাসিতে লাগিল । মনে-মনে একটু বিব্রত বোধ করিয়া মাধবী বলিল, “বিমান-বাৰু কিছুই করেননি ভাই, অদৃষ্টই আমাকে ঘটকালিতে বাহাল করেছে ।” স্মিতমুখে স্থমিত্রা বলিল, “ত হ’লে অদৃষ্ট বল্‌ছ কেন ? দুরদৃষ্ট বল ?” মাধবী কিন্তু স্বমিত্রীর একথায় খুনী হইল না। তাহার মনে হুইল বিমানবিহারীর প্রতি অবজ্ঞা-বশতঃই সুমিত্র দুরদৃষ্টের কথা বলিতেছে। এতটা দন্তু তাহার অসহ বোধ হইল। সে অপ্রসন্ন-স্বরে বলিল, “দুরদুষ্টষ্ট বা কেন বলছ স্থমিত্রা 7 বিমান-বাবুকে কি তুমি এতই অযোগ্য মনে কর যে র্তার পক্ষ থেকে ঘটকালি করাও দুরদৃষ্ট বলে’ তোমার মনে হয় ?” মাধবীর কথায় ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া স্বামত্রা বলিল, “না ন, মাধবী, বিমান-বাবুকে আমি একেবারেই অযোগ্য মনে করিনে ! তা কেন মনে করুব ভাই, তাকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। তুমি ভুল বুঝেছ, দুরদৃষ্ট আমি সেঅর্থে ব্যবহার করিনি। কিন্তু এ-কথাও সত্যি যে র্তার তরফ থেকে ঘটকালি আসা আমি আমার পক্ষে দূরদৃষ্ট বলে’ই মনে করি ” এবার স্বমিত্রার কথা শুনিয়া মাধবী হাসিতে লাগিল কিন্তু মুখে কিছু বলিল না। - “মাধবী !” “कि उठाहे ?”