পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা] • @ “আমার এক-একবার মনে হয়, হয়ত আমার জন্যেই বিমান-বাৰু চাকরি ছেড়েছেন !” মাধবীর মুখমণ্ডল পুনরায় স্নান হইয়া গেল। মনস্কভাবে সে বলিল, “তা হবে ।” “কিন্তু আমার দোষ নেই মাধবী, এর জন্যে আমি কোনো রকমেই দায়ী নই!” মাধবী, মনে-মনে কি ভাবিতেছিল, কোনো কথা কহিল না। ’ - স্থমিত্র বলিল, “স্বতরাং এর জন্তে বিমান-বাবু আমার কাছে কিছু দাবি করতে পারেন না। কিন্তু যদিই করেন, ত। হ’লে আমি কি বল্ব বল ত ভাই ?” এবার স্বমিত্রার কথায় মনঃসংধোগ করিমু মাধবী বলিল, “তুমি কি বলবে, তা আমি আর কি বল্ব স্থমিত্র, যা তোমার ভাল মনে হয় ভাই বোলৈ ৷” সুমিত্র ঈষৎ অধীরভাবে বলিল, “য। আমার ভাল মনে হয় তা ত বল্বই, তোমার কি ভাল মনে হয়, তাই জিজ্ঞাসা করছি।” “ত অমি কিছু বলতে পারব না মুমিত্র ; আমাকে তুমি ক্ষমা কোরো ভাই ।” মাধবীর এই দুৰ্ব্বোধ বিসদৃশ আচরণে বিস্মিত এবং ব্যথিত হইয়া মুমিত্র। বলিল, “কিন্তু এ-বিষয়ে তোমার পরামর্শ চাই বলেই আজ জন্মদিনের ছুতে করে তোমাকে নিমন্ত্রণ করেছি, তা নইলে কোনো হাঙ্গামাই আজ আমি করতাম না !” মাধবী আরক্ত-মুখে মৃদুস্বরে বলিল “ তা হ’লে আর কখনো এ-পরামর্শের জন্য আমাকে নিমন্ত্রণ কোরো ম', কারণ এ-বিষয়ে আমি কোনো পরামর্শই তোমাকে দিতে পারব না।” এবার স্বমিত্রার মনে-মনে রাগ হইল ; ঈষৎ কঠোর স্বরে সে বলিল, “কিন্তু কেন দিতে পারবে না ? একদিনত বিন নিমন্ত্রণে বাড়ী বয়ে’ আমাকে কত পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলে ; আর আজ হঠাৎ সমস্ত উৎসাহ চলে গেল f” মাধবীর মুখে-চোখে বেদন ও বিমূঢ়তার একটা স্বম্পষ্ট চিহ্ন ফুটিয়া উঠিল। দুইহন্তে স্থমিত্রার হস্ত ধারণ করিয়া সে আৰ্ত্তকণ্ঠে বলিল, “রাগ কোরো না ভাই স্থমিত্র, অনু্য রাজপথ ৩৬৩ আমাকে ক্ষম করে । আমার দুঃখ তুমি যদি জানতে তা হ’লে কখনই এমন করে’ রাগ করতে না ।” মাধবীর এই সকাতর আ ভযোগে স্থমিত্রার মনে সমস্ত ক্রোধ নিমেষের মধ্যে নিভিয়া গেল। অস্থ ও গু ব্যখিতকণ্ঠে সে বলিল, “তোমার দুঃখ ? কি তোমার দুঃখ, মাধবী ? না তা ও বলতে তোমার আপত্তি আছে ?" বিষণ্ণ স্মিতমুখে মাধব বলিল, “ত আছে ।” শুনিয়া স্বমেধ এক-মুহূৰ্ত্ত চুপ্‌ করিয়া এহিল, তাহার পর দুঃখিতস্বরে বলিল “ত। হ’লে কি আর ধলব বল ?” সে কথ}র কোন ও উত্তর না দিয়া মাধবী আত্মনিমগ্ন হইয়ু চিঙ্ক। কারতে লাগিল । বিপন্ন মনে কfরয়া মিত্রী তাই এ নিকট পরমেশ ভিক্ষা করিতেছে, কিন্তু এমনই অবস্থা-সঙ্কটে সে পড়িয়াছে যে পরামর্শ দিবার কোনও উপায় মাই ! অথচ বাস্তবিক পক্ষে পরামর্শ দিবার আছেই ব। কি ? পূৰ্ব্বে যে ছিল বিপ্ন, এপন সে হইয়াছে বন্ধু ! কিন্তু তথাপি নিরুপায় ! “মাধবী !” মাধবী স্থমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিল। “একটা কথা বলবে মাধবী ?” “কি কথা বল ?” একটু ইতস্ততঃ করিয়া স্থলিতভাবে সুমিত্র বলিল *আচ্ছা, তুমি কি বিমান-বাবুকে—”কিন্তু এই পয্যন্ত বলিয়াই সে আর বলিতে পারিল না । অসমাপ্ত বাক্যের মধ্যেই চুপ করিয়া গেল । কথাটা শেষ পৰ্য্যন্ত শুনিবার ইচ্ছায় মাধবী বলিল, “বিমান-বাবুকে আমি, কি বল ?” স্মিতমুখে সুমিত্র। বলিল, “ভালবাস ?” স্বমিত্রার কথা শুনিয়া মাধবীর মুখ আরক্ত হুইয়া উঠিল । একটু চুপ করিয়া থাকিয় শাস্তস্বরে সে বলিল, “তোমাকে পরামর্শ দিচ্ছিনে বলে’ই কি তোমার সে-কথা মনে হচ্ছে ? তা হ’লে ত আরো পরামর্শ দিতাম।” “হঁ্য তা দিতে তাও বুঝতে পাবৃছি।” “তবে ?” “তবুও মনে হচ্ছে ! হামু প্রতি শ্রীতি ! আচ্ছা, বল, আমার অকুমান