পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] পয়লা আষাঢ় 8X কালিদাসের ছবি না হ’লে আজ যে ১লা আষাঢ়ই হবে না । এতখানি কাজ করলে, লক্ষ্মীটি, আর একটু কষ্ট করে একখানা কিনে নিয়ে এসগে ! বেশী ত দূর নয়।” “কিন্তু রেবা ! সে ছবি আমি আনুব কোখেকে ! সেত কোথাও পাওঁয়া যায় না।” রেবা স্নান হইয়া গেল। কিন্তু পর মুহূর্তেই উৎসাহের সহিত বলিতে লাগিল, “দাও, দাও আর চালাকি করে” কাজ নেই। আমায় ক্ষ্যাপাবার জন্যে কোথায় লুকিয়ে রেখেছ, আমি যেন বুঝিনে ৷” *সত্যি পাওয়া যায় না।” কি মুস্কিল! রেবাকে বোঝানো সহজ নহে। কিন্তু অবশেষে যখন বুঝিল, তখন তার চোখ জলভারাক্রান্ত হইয়া পড়িল । স্নকান্ত সক্ষেহে তাহার চোথ মুছাইয়া “বলিল, কেঁদো না, ছিঃ ! কালিদাসের ছবি তোমার কি দরকার বলে দেখি ?" “বাঃ ! কালিদাসকে সম্মান করতে হবে, কালিদাসের ছবি না থাকলে কি করে হয় ?” “ও এই কথা, আমি উপায় বলে দিচ্ছি।” রেবা সন্দিগ্ধ-দৃষ্টিতে বলিল, “কি উপায় শুনি ?" “অত্যন্ত সহজ ; আমাদের যে মেঘদূতখানা আছে সেই আজ কালিদাসের ছবির কাজ করবে।” "মেঘদূত আর কালিদাসের ছবি বুঝি এক ?” “এক নয় ! কিন্তু কালিদাসের ছবিও ত কালিদাস নয় । কালিদাস কালিদাসের ছবির চেয়ে বড় । কালিদাসের ছবিকে সম্মান করে” কালিদাসকে কি করে’ সম্মান করো ?” “তবে ।” “বরং কালিদাস যেখানে বড়, সেইখানে তাকে সম্মান করে, ছবিকে সম্মান করে কি হবে ? মেঘদূত আজ কালিদাসের মহত্ত্বের সাক্ষী হোক।” সকল কথা রেবা বুঝিতে পারিল কি না বলিতে পারি না, তবে দেখা গেল সে চোথ মুছিয়া মেঘদূতের মলাটের ধূলা ঝাড়িতে আরম্ভ করিয়াছে। স্বকাস্তকে প্রশ্ন করিতে উদ্যত দেখিয়া রেবা বলিল, “একটি প্রশ্নও না । কোন மூ SMMMSSM SMMMS SSAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAASAAAA S AAAAAA AAASA SAASAA AAAAMMMSAMAMMAAAA জিনিষ কোন কাজে লাগবে পরে জানতে পারবে। তুমি এখন স্নান করে’ এস ত ।” রেবার মুখে সহজ হাসি ফুটিয়া উঠিল। স্বকাস্ত নীচে পরম আরামে কল-তলায় স্নান করিতে-করিতে রেবার মৃদু-গুঞ্জন শুনিতে লাগিল । স্বান সারিয়া উপরে আসিয়া স্বকান্ত দেখিল তাদের সব ঘরের চেহারা যেন নিমেষে বদলাইয়া গিয়াছে। দুইখানা ঘরের কোথাও একটু ময়লা নাই, মেজেগুলি চকু চকু করিতেছে । আর চুলের গন্ধ, তেলের গন্ধ, ফুলের গন্ধ ধূপধুনার গন্ধ, ও ভিজামাটির গন্ধ একটা অপূৰ্ব্ব ব্যাপার গড়িয়। তুলিয়াছে। স্বকান্ত মাথা মুছিতে মুছিতে বলিল?’জাজ দেখি গন্ধের ভোজ ।” . রেবা মৃদু-মৃদু হাসিতে লাগিল । বিছানার দিকে চোখ পড়িতেই সুকান্ত বলিল, “এ কি করেছ ? অাজ আজ আবার নতুন করে ফুলসজ্জার আয়োজন নাকি ? বিছানা যে ফুলে ফুলময় হ’য়ে গেছে !" রেবা লজ্জিতভাবে বলিল, “যাও ; বিছানায় একটু ফুল ছড়িয়েছি অম্নি—” স্বকান্ত চাহিয়া দেখিল ঘরের মধ্যে টেবিলখানি ধুইয়া মুছিয়া উজ্জল করা হইয়াছে । তার উপর একখানা সাদা ধবধবে বিছানার চাদর পড়িয়াছে। বহুকালের দুইটা ফুলদানি ঘরের কোন কোণে পড়িয়া ছিল, রেবা তাদের উঠাইয়া আনিয়া মাজিয়া ফুল রাখিয়াছে ও জল ভরিয়াছে এবং নিপুণ হাতে টেবিলের উপব সাজাইয়া রাখিয়াছে। ফুলদানি দুইটার ঠিক মাঝখানে মেঘদূতখানা সযত্নে রক্ষিত হইয়াছে তার চার দিকে একটা মালা জড়ানো । একটি মালার হিসাব পাওয়া গেল না । দডি এবং পেরেক গুলিও কাজে লাগিয়াছে। রেবা যে কখন অনেকগুলি সুন্দর-সুন্দর পাতা জোগাড় করিয়া আনিয়াছে, তা কেহ বলিতে পারে না । দড়ি ও পেরেকের সাহায্যে সে মনের মত ঘর সাজাইয়াছে । দুয়ারের কাছে ধূপ ও ধূনা পুড়িতেছে স্বীকার করিতেই হইবে রেবার সৌন্দৰ্য্য জ্ঞান আছে। স্বতরাং মোমবাতি ও মালা-সাতটি ছাড়া আর সবেরই