পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>8 প্রবাসী—পৌষ, ১৩৪২ [ २8ं खांशं, २झ थ७ লোক হইলেই তাহা তাহার দেশহিতকর কাজ করিবার এখনও টাকা দেন নাই, অথচ দিতে ব্যগ্র । তাহা হইলে যোগ্যতার প্রমাণ না হইতেও পারে । “স্বরাজ্য সপ্তাহে” সংগৃহীত টাকা ৯ই ডিসেম্বরের কলিকাতার দৈনিকগুলিতে দেখিলাম— ঐযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ বলিয়াছেন, যে, “স্বরাজ্য সপ্তাহে” মোটামুটি একলক্ষ ষাট হাজার টাকা উঠিয়াছে ; পরে তিনি টাকার পরিমাণ আরও ঠিক্‌ করিয়া বলিতে পারিবেন, বলিয়াছেন । ঠিকৃ করিয়া বলাই ভাল। টিলক স্বরাজ্য ফও-সম্বন্ধে প্রথমে কাগজে এই সংবাদ বাহির হইয়াছিল, যে, বাংলাদেশে উহার জন্য পচিশ লক্ষ টাকা উঠিয়াছে। তাহার পর খবরের কাগজে দেখা গেল, যে, উহা পচিশ নহে, পনের লক্ষ । তাহার পর শুনিলাম, পনের লক্ষ নহে, অনেক কম ; কিন্তু ঠিক কত তখন তাহ জানিতে পারি নাই। সম্প্রতি টিলক স্বরাজ্য ফণ্ডের যে হিসাব এলাহাবাদ হইতে সমগ্র ভারতীয় কংগ্রেসূ কমিটির সাধারণ সেক্রেটরী বাহির করিয়াছেন, তাহাতে দেখিলাম, বাংলাদেশে উহার জন্ত ১৯২১ সালে ৬১৭৩৭৪০/৩, ১৯২২ সালে ১৩৮০৯ls/2, এবং ১৯২৩ সালে ১১৮৬৩ ২৩ উঠিয়াছে ; মোট ৬৪৩০৪৬৮০/৩। মগ্র বাংলাদেশে তিন বৎসরে যদি মহাত্মা গান্ধীর প্রভাব সত্ত্বেও মোটামুটি সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা টিলক স্বরাজ্য ফণ্ডের জন্য উঠিয়া থাকে, তাহ পচিশ লাখ কিম্বা পনের লাখ অপেক্ষা অনেক কম বলিতে হুইবে । শুকৃতি বাদ এত বেশী ধাওয়া উচিত ছিল না । টিলক স্বরাজ্য ফণ্ডের বাংলাদেশের প্রধান সংগ্রাহক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশই ছিলেন । এইজন্য "স্বরাজ্য সপ্তাহে” একলক্ষ ষাট হাজার টাকা সংগৃহীত হইয়াছে শুনিয়া, পাটীগণিতের প্রক্রিয়ায় কোন ভুল হইয়াছে কি না দেখা আবশুক মনে হইতেছে । ১৯২১ সালে সমগ্র বাংলাদেশ হইতে টিল ক স্বরাজ্য ফণ্ডের জন্য মোট ৬১৭৩৭৪ly৩ আদায় হইয়াছিল। আর এবার একমাত্র কলিকাতা হইতেই এক সপ্তাহেই একলক্ষ যাট হাজার টাকা চিত্তরঞ্জনের স্বরাজ্য ফণ্ডের জন্য সংগৃহীত হওয়াতে মনে হইতেছে, যে, বাঙ্গালীর আগেকার চেয়ে মুক্তহস্ত হইয়াছে, এবং ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর প্রভাব যত বেশী ছিল, বর্তমান সময়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রভাব তাহা অপেক্ষ শতগুণ বেশী। স্বতরাং দেশবন্ধুর বাহাদুরি আছে স্বীকার করিতে হইবে। উপরে বলিয়াছি, একমাত্র কলিকাতা হইতেই ১৬• • • • টাকা উঠিয়াছে। তাহা ঠিক নয়। “স্বরাজ্য সপ্তাহ"কে বাড়াইয়া “স্বরাজ্য-পক্ষ” করিবার হেতু এই দেখানে হইয়াছে, যে কলিকাতার অনেক রাস্তার ও গলির লোক কলিকাতার কোন-কোন অংশ হইতেই ১৬e••• টাকা উঠায় বাহাদুরি আরো বেশী বলিতে হইবে। “স্বরাজ্য-সপ্তাহ’ ফগু-সম্বন্ধে কর্তব্য কাহারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক আয় কিরূপে ব্যয়িত হুইবে, তৎসম্বন্ধে কিছু বলিবার অধিকার অন্তের নাই । কিন্তু যে-টাকা সৰ্ব্বসাধারণের হিতের জন্ত সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে সংগ্রহ করা হইতেছে, তাহার সদ্ব্যয়-সম্বন্ধে আলোচনা করিবার কেবল যে অধিকার সৰ্ব্বসাধারণের আছে, তাহা নহে, এরূপ আলোচনা একান্ত কৰ্ত্তব্য । কিন্তু *দেশের ডাক” প্রবন্ধ হইতে এরূপ আলোচনার যথেষ্ট. উপকরণ পাওয়া যায় না। এইজন্ত মোটামুটি দু-একটা কথা বলিতেছি । উক্ত প্রবন্ধে যে-সকল কাজের উল্লেখ করা হইয়াছে, তাহার কোন-কোনটিতে অভিজ্ঞ লোক স্বরাজ্যদলে আছেন ; যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যতত্ত্ব, ইত্যাদি । এইরূপ অভিজ্ঞ লোকদের এক-একজনকে এক-একটি বিভাগের ভার দিয়া তাহাদিগকে নিজ-নিজ কৰ্ম্মী মনোনয়ন করিতে বলিলে ভাল হয়। অবশু এই কৰ্ম্মীদের নিয়োগ পরে ঐ-দলের কমিটির দ্বারা পাকা করাইয়া লইতে হইবে । এরূপ ব্যবস্থার প্রয়োজন এই, যে, কোন-একজন লোকের দ্বারা নানাবিধ কার্য্যের পরিচালনা ও নির্ববাহ হইতে পারে না। টাকা যাহা সংগৃহীত হইবে, তাহার পরিমাণঅকুসারে অল্প বা অধিকসংখ্যক গ্রামে অল্প বা অধিকরকম কাজ আরম্ভ করা কর্তব্য । কোন কাজে কত টাকা দেওয়া হইবে, বিশেষ বিবেচনা করিয়া তাহ! আগে হইতে ভাগ করিয়া দেওয়া উচিত । যে-কাজের জন্ত যত টাকা নিদিষ্ট হইবে, তাহার মধ্য হইতে কৰ্ম্মীদের নূনকল্পে একবৎসরের খোরপোষের টাকা পৃথক্ করিয়া ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা উচিত । ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকার স্বদ হইতে কৰ্ম্মীদের ভরণপোষণের ব্যয় নির্বাহ করিতে হইলে যত বেশী টাক ব্যাঙ্কে রাখা দরকার, তাহা সংগ্ৰহ করিবার চেষ্টা করা হয় নাই, এবং চেষ্টা করিলেও সম্ভবতঃ তাহ উঠিত না । এইজন্য আমরা আপাতত: কেবল একবৎসরের খোরপোষের টাকা জমা রাখিতে বলিতেছি । যাহাদিগকে কোন কাজে প্রবৃত্ত করা হয়, তাহাদের ব্যয়নিৰ্ব্বাহের ভার লণ্ডয়া কৰ্ত্তব্য । নতুবা যেমন আসামবেঙ্গল রেলওয়ের অনেক কৰ্ম্মচারীকে ধৰ্ম্মঘটে প্রবৃত্ত করাইয়া পরে তাহাদিগকে অল্পবস্ত্রের কষ্টে ফেলা হইয়াছিল, সেইরূপ ঘটনা আবার ঘটিতে পারে। অন্ততঃ একবৎসর কাজ করার প্রয়োজন এই, ধে,