পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা.] বিবিধ প্রসঙ্গ—বাকুড়া ও বীরভূম 8ుసి বে-সরকারী অনেক লোক উপস্থিত হইয়াছিলেন। অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি রায়বাহাদুর অধ্যাপক অবিনাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, এম্-এ মহাশয় প্রথমে তাহার অভিভাষণে সকলকে স্বাগত সম্ভাষণ করেন । তাহার মুদ্রিত অভিভাষণ সকলকে এক-এক খণ্ড দেওয়া হয়। ইহ সংবাদপত্রেও মুদ্রিত হইয়াছে। ইহাতে তিনি কোনকোন দিকে জেলার উন্নতির প্রয়োজন এবং তাহা কিপ্রকারে সাধিত হইতে পারে, তাহা প্রদর্শন করেন । প্রথমেই অবশ্য তিনি কৃষির উল্লেখ করেন । কারণ, বীরভূমের অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী। ইংলণ্ডের ডাক্তার ভেলকার প্রভৃতি বড়-বড় কৃষিবিদগণ ভারতীয় কুষকদের কুষিস্থান-সম্বন্ধে প্রশংসা করিলেও স্বামি বলিতে বাধা হইতেছি যে জাপান, স্পেন প্রভৃতি দেশে আমাদের দেশ অপেক্ষ তিনগুণ হইতে সাতগুণ পৰ্য্যস্ত অধিক ফসল छे९viध्र झर्केब्र! शांएक ! আমাদের দেশের জেfত ক্ষুদ্রাকার হইলেও পরস্পর পরিবর্তন দ্বার প্রত্যেকের জমি এক-এক দিকে একত্রীভূত করিতে পারিলে জমির অীকার বৃহৎ করিবার সুবিধা হয় এবং রাসায়নিক সার ও থইল প্রভৃতি সারের প্রয়োগ দ্বার উৎপন্ন শস্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে । ইহার প্রস্ত মূলধন ও দেশের লোকের শিক্ষণ আবিষ্ঠক। কুধি সম্বর সমিতি ও সমবার ব্যাঙ্ক স্থাপনের দ্বারা এই অভাবের মোচন করিতে পারা যায়। বীরভূমে সেচলের জলের অভাবে ইচ্ছামুরূপ কৃষিকাৰ্য্য করিতে পারা যায় না। আমাদের পূর্বপুরুষগণের মনুষ্যত্বের ও ভবিষ্যদশিঙ্গার ফলে এককালে বীরভূমে অগণ্য পুষ্করিণী খনিত হক্টরছিল। কালের প্রভাবে অধিকাংশ পুষ্করিণী ভরাট হইয়া আসিয়াছে। প্রত্যেক পুষ্করিণীর সংস্কার করিতে হইবে। সমবায়-প্রণালীতে জলসেচন সমিতির গঠন করিয়া সমলায় ব্যাঙ্ক হইতে ঋণ গ্রহণের দ্বারা এই কার্য্যের আবগাকার অর্থ সংগ্ৰহ করিতে হইলে । যেখানে এরূপভাবে কাৰ্য্য সম্পন্ন হওয়া অসম্ভব সেখানে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম দিয়া অর্থাৎ নিজের হাতে কোদাল ধরিয়া পুষ্করিণীর সংস্কার করিতে হইবে । পানীয় জলের পুষ্করিণীর সংস্কারও এইরূপভাবে সম্পন্ন করিতে হইবে। বীরভূমের মধ্য দিয়া অসংখ্য নদনদী অবিরাম-গতিতে প্রবাহিত হইয়৷ কত জল যে সমুদ্রগর্ভে নিক্ষেপ করিতেছে তাঙ্কার ইয়ত্ত নাই। যতদূর সম্ভব এই জল আবদ্ধ করিয়া পয়ঃপ্রণালী দ্বার। আমাদের শস্তক্ষেত্রে প্রবাচিত করিতে হক্টবে এবং সেচনের পুষ্করিণীগুলিকে জলপূর্ণ করিতে হইবে। আমাদের এই কাৰ্য্যে সহায়তা করিবার জন্ত গভর্ণমেণ্ট সম্প্রতি দয়া করিয়া ইঞ্জিনীয়ার ও তাহার সহকারী কৰ্ম্মচারিবৃন্দ বীরভূমের জঙ্ক নিয়োজিত করিবার আদেশ প্রদান করিয়াছেন । প্রত্যেক গ্রামে ম্যালেরিয়া নিবারণী সমিতির প্রতিষ্ঠান দ্বারা গ্রামের প্রত্যেক ব্যক্তিকে, গ্রামের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, উপযুক্ত ও আবশ্বকীয় ড্রেন নিৰ্মাণ, জঙ্গল পরিষ্কার করানো, পচা ডোবাদি বুজাইয় দেওয়া ও ম্যালেরিয়া-মশকের ধ্বংস ইত্যাদি প্রক্রিয়া দ্বারা ম্যালেরিয়া গ্রাম হইতে দূর করিবার বিষয়ে প্রবৃত্ত হইতে হইবে।... কিরূপ করিলে আমাদের লোক-শিক্ষা, কৃষির উন্নতি, পল্লীর সংস্কার, জল-সেচনের স্বব্যবস্থা, ম্যালেরিয়া-নিবারণ প্রভূতি কার্য্যের অনুষ্ঠান আমরা স্বয়ং কল্পিতে পারি তাহারই আলোচনার জন্ত আপনাদিগকে জাহান করিয়াছি। জাম্বন দেশহিতৈৰী ভ্রাতৃগণ, আবালবৃদ্ধবনিত, আমরা একপ্রাণ ও একযোগ হইয়া, সকলে দিবারাত্রি শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করিয়া উল্লিখিত উপায়াদির অবলম্বনে আয়োন্নতির বিধান দ্বারা জামাদিগকে মনুষ্য নামে পরিচিত্ত করিৰার প্রয়াস করি। ঐনিকেতনের দ্বারা বীরভূম জেলার কিরূপ উপকার হইতেছে, তদ্বিষয়ে বন্ধ্যোপাধ্যায় মহাশয় বলেন – শ্ৰীনিকেতনের কৰ্ম্মীগণ বীরভূমের বিপদে-আপদে সাহাৰা করিতে সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত । যখন কয়েকমাস পুৰ্ব্বে কলেরার ব্যারাম সংক্রমিকভাবে বীরভূমের অধিকাংশ গ্রামকে বিধ্বস্ত করিবার উপক্রম করিয়াছিল, यषन खलांडांबवणाठः शैब्रडूtवब्र दहशtन शशकांब टॅब्राझ्णि ७बर যখন অগ্নিভয়ে অনেক গ্রাম ধ্বংসীভূত হইয়াছিল তখন নিকেতনের কৰ্ম্মীগণ জেলাবোর্ডের প্রথম ও প্রধান সহায় হইয় অক্লাস্ক পরিশ্রমে দেশের যে সেবা করিয়াছিলেন তাহা আমি চিরকাল কৃতজ্ঞহৃদয়ে মনে রাখিব। শ্ৰীনিকেতনের এই পল্পী-সংগঠন বিভাগের অধ্যাপকদিগের এবং প্রধানত: কালীমোহন ঘোষ মহাশয়ের সাহায্যে আমরা এই জেলার যাবতীয় স্কুলের-শিক্ষকদিগকে পল্পী-সংগঠন কধ্যে শিক্ষিত করিড়ে সমর্থ হইতেছি । ইতিপূৰ্ব্বেই প্রায় ৩০ জন শিক্ষক শিক্ষালাভ করিয়া স্ব-স্ব গ্রামে পল্লী-সংগঠন কায্য আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন এবং জেলাবোর্ডের হেলথ অফিসারের ও তদধীন কৰ্ম্মচারীবৃঙ্গের তত্ত্বাবধানে নুতনলুভন পল্লীতে সংগঠনের কায্য আরম্ভ হইতেছে। অতঃপর প্রবাসীর সম্পাদক সম্মিলনের সভাপতি হুইয়। কিছু বলিবার পর নানা বিষয়ে প্রবন্ধ পঠিত হয়। শ্ৰীযুক্ত স্বকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা-সংস্কারবিষয়ে ও জলসেচন-বিষয়ে, শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণপ্রসাদ বসাক স্ত্রীশিক্ষা-বিষয়ে, শ্ৰীযুক্ত সন্তোষবিহারী বল্প কৃষি বিষয়ে, শ্ৰীযুক্ত ডাঃ উপেন্দ্রনাথ ঘোষ স্বাস্থ্য-বিষয়ে স্ত্রীযুক্ত কালীমোহন ঘোষ পল্লীসংগঠন বিষয়ে, শযুক্ত অধ্যাপক ডাঃ রজনীকান্ত দাস গ্রামের উন্নতি-কল্পে সর্পবিধ গ্রাম্য তথ্যসংগ্ৰহ বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন । আরও দুই-একটি প্রবন্ধ পঠিত এবং জলসেচন বিষয়ে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি মহাশয়ও কিছু বলিয়াছিলেন । শেষে শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত কিছু বলেন । মধ্যে-মধ্যে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি গান গীত হইয়াছিল। সন্ধ্যার পর শান্তিনিকেতনে বালকদের দ্বারা "মুকুট” অভিনীত হয় । অধিকাংশ প্রবন্ধ "ভূমিলক্ষ্মী"তে প্রকাশিত হইবে শুনিয়াছি । o ॐ श्रृं,

  • mes

বাঁকুড়া ও বীরভূম রায়বাহাদুর অবিনাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বক্তৃত হইতে বীরভূম-সম্বন্ধে উপরে যাহ উদ্ধত করিয়াছি, এবং “প্রবাসী’তে পূৰ্ব্বে বাঁকুড়া-সম্বন্ধে મિপ্রবন্ধ লিথিয়ছিলাম, তাহা হইতে প্রতীত হইবে, ধে, এইদুইটি জেলার উন্নতির সমস্ত অনেকট এক । এই জন্য আমরা দেখিতেছি, বাকুড়ায় স্বরাজ্যদলের যে জেলাকনফারেন্স, হুইয়াছিল, তাহার অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি শ্ৰীযুক্ত বিজয়কুমার চট্টোপাধ্যায় তাহার অভিভাষণে বলিয়াছিলেন, “কৃষিকার্ধ্যের উন্নতি-ব্যতীত