পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মুসলমানের অপদভাবের যেসব কারণ ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান আছে, কোহাটেও তাহা অবশ্য আছে । किङ्ग उ] ছাড়া অন্য সাক্ষাৎ কারণ কি-কি ছিল, তাহার কিছু পরিচয় সরকারী কাগজপত্রগুলি হইতে পাওয়৷ যায়। কোন সম্প্রদায়ের দোষ বেশী বা কম, তাহা উহ। হইতে নিৰ্দ্ধারণ করিবার চেষ্টা আমরা করিব না। চেষ্টা করিলেও নিৰ্দ্ধারণ করিতে পাের। যাইত না । তাহা করিবীর মত যথেষ্ট প্রমাণ সৰ্বকাৰী কাগজপত্রগুলিতে নাই । হিন্দু পক্ষ হইতে বলা হইয়াছে, যে, তাহাধের ধৰ্ম্মভাবে আঘাত লাগে এরূপ কবিত। মুসলমানরাই আগে প্রকাশ করে, এবং তাহার জবাবস্বরূপ একজন হিন্দু ( সনাতন-ধৰ্ম্মসভার সেক্রেটরী ) একটা কবিতা রচন। করে যাহাতে মুসলমানদের মনে আঘূতি লাগে । এখানে বক্তব্য এই, যে, মুসলমানরা যদি কিছু অন্যায় গালাগালি দিয়াই থাকে, তাই। হইলে তাহার উত্তরে তাহাদের ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক, বা সম্প্রদায়ের নিন্দা করা, এবং তাহ। আবার কবিতায় করা, শিষ্টতা ও ধাৰ্ম্মিকতার লক্ষণ মহে । ওরূপ করা কখনই উচিত নয় । উsা অভ্যন্ত গণ্ডিত । কোন সম্প্রদায়ের লোক অপর সম্প্রদায়ের প্লানিকর কিছু করলে, তাহা প্রথমোক্ত সম্প্রদায়ের নেতাদের গোচর করা উচিত । তাহাতে কোন ফল ন হইলে বরং গবন্মের্ণ কে তাহ জানানো উচিত। পরস্পর মারামারিকাটাকাটি করা সৰ্ব্বথা অকৰ্ত্তব্য । বৰ্ত্তমানে হিন্দুমুসলমানের যেরূপ মনকষাকষি চলিতেছে তাহাতে পরস্পরের পশ্মসংশ্লিষ্ট কোন আলোচনা স্থগিত রাখাই উচিত। যদি সেরূপ আলোচনা করিতেই হয়, তাহা এখন ( এবং সৰ্ব্বকালেই ) বৈজ্ঞানিক আলোচনায় ঘেরাপ শুষ্ক গদ্য ব্যবহৃত হয়, সেইরূপ শুষ্ক উদ্দীপনাবিহীন উত্তেজনাশূন্ত গদ্যে করা উচিত ; কবিতায় তাহা হইতে পারে না । সরকারী কাগজ হইতে জানা যায়, যে, হিন্দু কবিতাকণর প্রকাশ্য সভায় ক্ষম প্রার্থনা করিয়াছিল । ব্যাপারটি এইখানেই শেষ হওয়া উচিত ছিল । কাহার আগে বন্দুক ছুড়িল বা অত্যপ্রকারে দাঙ্গার সূত্রপাত করিল, সে-বিষয়ে উভয়পক্ষের বর্ণনার মিল নাই । সৰ্বকারী কাগজের সিদ্ধান্ত এই, যে, ভয়ে আতঙ্কে অভিভূত হইয়া একজন হিন্দুই প্রথমে গুলি ছুড়ে, এবং তাহাতে একজন মুসলমান বালক হত হয় । আমাদের বক্তব্য এই, যে, সমস্ত দোষটা কোন-কোন হিন্দুর ইহা প্রমাণিত হইলেও, কেবলমাত্র তাহাদেরই শাস্তি আদালতে ধীরভাবে বিচারের পর হওয়া উচিত ছিল । বা মুসলমান যিনিই প্রতিপক্ষকে নিজে শাস্তি দিতে চাহিবেন, তিনিই মাত্রা অতিক্রম নিশ্চয়ই করিবেন এবং میbولاِ ـے۔ 428 বিবিধ প্রসঙ্গ—কোহাটের ভীষণ কাণ্ড প্রতিহিংসা ও উত্তেজনার বশবৰ্ত্তী হইয়। হিন্দু ৪২১ অনেক গৰ্হিত কাজ করিয়া ফেলিবেন । তাহণ করা কোন ধর্মেরই অভিপ্রেত হইতে পারে না। সমগ্র হিন্দু সমাজ বা সমগ্র মুসলমান সমাজ যুক্তিপরামর্শ করিয়া অপর সম্প্রদায়কে ব্যথা দেওয়ার প্রমাণ এই প্রকারের কোন দাঙ্গাহাঙ্গামাতেই পাওয়া যায় না। সুতরাং সমগ্র কোন সম্প্রদায়ের প্রতি আক্রমণ অঙ্কুচিত । নির্জন কক্ষে বসিয়া এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করা সহজ, উত্তেজনার কারণ বিদ্যমান থাকিতে মাথা ঠাণ্ডা রাথিয় বিজ্ঞোচিত কাজ করা কঠিন, তাহা জানি । কিন্তু সকল সময়েই, উত্তেজনার কারণ-সত্ত্বেও, কেবল বৈধ কথা বলিতে ও বৈধ উপায় অবলম্বন করিতে আমরা আভাস্ত না চইলে, ভারতবর্ষের উন্নতি, কোনও সম্প্রদায়ের উন্নতি এবং ভারতীয়দিগের মানবিকতা ও মহুষা ত্বলাভ সম্ভব হইবে না । সরকারী কাগজগুলিতে দেখা গেল, যে, উভয় সম্প্রদায়ের মনকষাকষির আরম্ভ হইতে শেষ পর্যন্ত সৰ্বকারী কোন কৰ্ম্মচারী উভয়সম্প্রদায়ের প্রধান ব্যক্তিদিগের সহিত কোন পরামর্শ করেন নাই, তাহাদিগকে পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন করিতে পরামর্শ দেন নাই ব! অনুরোধ করেন নাই । সরকারী লোক ও বে-সরকারী লোকেরা ঠিক যেন দুটা স্বতন্ত্র জগতের লোক । শক্তির প্রয়োগ ও হুকুমজারি করা ছাড়া যেন সরকারী লোকদের আর কোন কাজ নাই । বৰ্ত্তমান সংখ্যার বিবিধ প্রসঙ্গের গোড়াতেই আমরা যে সাকুলারের কথা বলিয়াছি, তদহসারে কাজ হইলে সম্ভবতঃ সরকারী লোকেরা শক্তিপ্রয়োগ ও হুকুমজারি ছাড়া অদ্যবিধ কাজও শ রবেন। অবশু সব জায়গার সরকারী লোকেরা কোহাটের কৰ্ম্মচারীদের মত নহেন । তাঁহাদের মধ্যে প্রঙ্কত পাবলিক সাভেন্ট, অর্থাৎ জনসাধারণের সেবক অনেকে আছেন। মুসলমানদিগের ক্রোধের কারণীভূত কবিতার লেখকসম্বন্ধে কোহাটের আসিষ্টাণ্ট কমিশনার যেরূপ বিচার করেন, তাহা তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া করিলেই ঠিকৃ হুইত ; কিন্তু সরকারী কাগজপত্রে দেখা গেল, যে, তিনি উই একাধিকবার মুসলমানজনতার শাসনিতে করিয়াছিলেন । কবিতাকারের উপযুক্ত শাস্তি না হইলে মুসলমানের স্বয়ঃ তাহার শাস্তি দিবে, এইরূপ শপথ করা, কিম্ব আসিষ্ট্যান্ট কমিশনারকে শাসন, তাহদের উচিত হয় নাই, কিন্তু ভাহারা উত্তেজনাবশে ঐরুপ আচরণ করিয়া থাকিলেও তাঙ্গাদের শাসানিতে কাজ করা সরকারী কর্মচারীর উচিত হয় নাই। তাহাতে রাজশক্তির অবমাননা ঘটিয়াছে, এবং কুফল যাহা হইয়াছে, তাহা ত জাজ্জ্বল্যমান। তিনি স্বয়ং দৃঢ় থাকিতে পারিবেন না, যখন বুঝিতে পারিলেন, তখন উচ্চতর কৰ্ম্মচারীকে, গবন্মেণ্ট কে এবং শান্তিরক্ষকদিগকে সব