পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ8 প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ [ २8* छोश, २ग्न थल অধিকতর রাজনৈতিক অধিকার দেওয়া হয়, তাহা হইলে যখনই কেক রাজনৈতিক হত্য-আদির ভয় দেখাইবে, তখনই তাহাদের দাবী গ্রাহ করিতে হইবে ; এইরূপে, ভয়ের বশবর্তী হইয়া কাজ করা কোন গবর্ণমেণ্টের উচিত নয়। ধমক বা শাসানির বশবৰ্ত্তী হইয়া কাজ করা উচিত নয়, ইহা সাধারণভাবে ঠিক। কিন্তু কেহ ভয় দেখাইতেছে বলিয়াই, কৰ্ত্তব্য কাজ হইতে বিরত থাকাও নির্বদ্ধিতা এবং কাপুরুষতা । আয়ালfাণ্ডের লোকের রক্তপাত বিস্তর করিয়াছে, এবং জাতীয় আত্মকর্তৃত্ব না পাইলে আরও রক্তপাত করিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পাছে জগদ্বাসী বলে, যে, ব্রিটিশ জাতি ভয়ে আইরিশদিগকে স্বাত্মকর্তৃত্ব দিল, সেই কারণে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট আয়ালাগুকে স্বাধীনতা দিতে বিরত থাকে নাই । বঙ্গে বিপ্লবসংঘটনের ষড়যন্ত্র আছে কি না, আমরা জানি না। থাকিলেও তাহা গুরুতর কিছু নয়। যদি থাকে, তাঙ্গ হইলে আমাদিগকে কি এই বুঝিতে হইবে, যে, সেই কারণেই আমাদেব দেশের রাজনৈতিক প্রগতি বন্ধ থাকিবে, এবং বিদ্রোহ দ্বারা স্বাধীন হইতে না পারিলে এদেশের আর কোন গতি থাকিবে না ? সকল দেশেই রাজনৈতিক কারণে অসন্তোষ বুদ্ধি পাইয়া শান্তিভঙ্গ হয়, এবং এইরূপ শান্তিভঙ্গ রাজনৈতিক ব্যাধির লক্ষণ বলিয়া বিবেচিত হয় ও তাহার প্রতিকারের ব্যবস্থা হয়। যেখানে প্রতিকারের ব্যবস্থা হয় না, তথায় পরিশেষে বিপ্লব ও বিদ্রোহু ধটে ; তাহ বাঞ্চনীয় নহে । এপন ভারতবর্যকে আত্মকত্ত্বত্বের দিকে অগ্রসর করিয়া দিলে বুদ্ধিমান কোন বাক্তিই এরূপ মনে করিবে না, যে, মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোকের ভয়ে গবর্ণ মেণ্ট তাহা করিলেন। লর্ড লিটন ত স্বয়ংষ্ট বলিয়াছেন, যে, সামান্য কয়েকজন লোক : ছাড়া দেশের আর-সব অধিবাসী আইন-অমুসারে চলিতেছে ও চলিতে ইচ্ছুক। আমাদের উভয় সঙ্কট । দেশে কোন-প্রকার শান্তিভঙ্গ না হইলে, কৰ্ত্তারা বলেন, ইংরেজ রাজত্ব রাম রাজত্ব, সকলেষ্ট খুলী আছে, কোন পরিবর্তনের দরকার নাই। পক্ষ স্তরে যদি কোন গোলমাল ঘটে, তখনও কর্তারা বলেন, “তোমরা চোখ, রাঙাইতেছ, অতএব আমরা কোন পরিবর্তন করিব না ।” অসন্তোষের আর্থিক কারণ লর্ড লিটন তাহার এক বক্তৃতায় বলিয়াছেন, বঙ্গে কোন অসচ্ছলতা বা অর্থনৈতিক সঙ্কট নাই, যাহার জন্য অসন্তোষ ও বিপ্লব-ইচ্ছা জন্মিতে পারে। রক্তপাত করিয়া বিপ্লব ঘটাইবার ইচ্ছা ও চেষ্টার আমরা বিরোধী ; কিন্তু অসন্তোষের, এবং সেই কারণে বৰ্ত্তমান শাসন-প্রণালীর পরিবর্তনচেষ্টার কোন আর্থিক কারণ নাই, ইহা চক্ষুকৰ্ণবিশিষ্ট কোন লোক বলিতে পারে না। দেশের মামুলী দারিদ্র্য ত লাগিয়াই আছে ; বেকার-সমস্ত। গুরুতর আকার ধারণ করিয়াছে। তাহার উপর বঙ্গের চালের গোলা বাখরগঞ্চেই চালের দর ১২২ টাকা মণ হইয়াছে। সৰ্ব্বপ্রকার আরাম ও বিলাসের আয়োজনে পরিবেষ্টিত লাটসাহেব ইহাকে কি সচ্ছলতার লক্ষণ মনে করেন ? ওডোয়াইয়ার বলেন “পুন মুষিকো ভব” ব্রিটিশ সিংহ ভারতশাসন-সংস্কার আইন দ্বারা অামাদিগকে হিতোপদেশের ব্যান্ত্রে পরিণত করেন নাই। তথাপি পঞ্জাবের ভূতপূৰ্ব্ব জবরদস্ত শাসক ওডোয়াইয়ার বলিতেছেন, ভারতশাসনসংস্কার আইন অনুযায়ী দ্বৈরাজ্য বিফল হইয়াছে, ভারতীয়েরা তাতট রাষ্ট্রীয় অধিকারের যোগ্য বলিয়া আপনাদিগকে প্রমাণ করিতে পারে নাই ; অতএব, উক্ত আইন ও দ্বৈরাজ্য রদ করিয়া আগেকার শাসন প্রণালী প্রবর্তিত করা ইউক । ভিক্ষার মত যাহা দেওয়া হয় ও পাওয়া যায়, তাহার প্রতি আস্থা আমাদের কোন কালেই নাই, এবং তাহা থাকা-না-থাকা-সম্বন্ধে আমাদের কোন চিত্তচাঞ্চল্য উপস্থিত হইবার কাবণও দেখিতেছি না । ইংরেজ নিজের গরজে ও পেয়ালে যাহ। ইচ্ছা করিতে পারেন ; আমরা নিজের কৃতিত্বে যদি কিছু অর্জন কখন করিতে পারি, তাহাতে হস্তক্ষেপ করিবার কথা উঠিলে আমাদের বক্তব্য বলিব নে কৰ্ত্তব্য করিব । বিশ বৎসর আগে "সফলতার সদুপায়’-শীর্ষক প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ধাহা লিখিয়াছিলেন, এখন তাহাই মনে পড়িয় cभज्ञ । डान् श्५- * “পরম্পরায় শুনিয়াছি, আমাদের দেশের কোনো রাজীকে একজন উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী বন্ধুভাবে বলিয়াছিলেন যে, গভমেণ্টকে অনুরোধ করিয়া আপনাকে উচ্চতর উপাধি দিব - তাহাতে-তেঞ্জস্বী রাজ। উত্তর করিয়াছিলেন, দোহাই আপনার, আপনি আমাকে রাজা বলুন, বাবু বলুন, যাহা ইচ্ছা বলিয়া ডাকুন, কিন্তু আমাকে এমন উপাধি দিবেন না, যtহ। আজ ইচ্ছা করিলে দান করিতে পারেন, কাল ইচ্ছা করিলে হরণ করিতেও পারেন । আমার প্রজার। আমাকে মহারাজ-অধিরাজ বলিয়াই জানে, সে-উপাধি হইতে কেহই আমাকে বঞ্চিত করিতে পারে না –তেমুনি আমরাও যেন বলিতে পারি, দোহাই সরকার, আমাদিগকে এমন স্বtয়ত্তশাসন দিয়া কাজ নাই, যাহা দিতেও যতক্ষণ কাড়িতেও ততক্ষণ—যে-স্বায়ত্তশাসন আমাদের আছে, দেশের মঙ্গলসাধন করিবার.ষে-অধিকার বিধাতা আমাদের হস্তে দিয়াছেন, মোহমুক্ত চিত্তে, নিষ্ঠার সহিত তাঁহাই যেন আমরা অঙ্গীকার করিতে পারি— রিপনের জয় হউক্ এবং কার্জনও বাচিয়া থাকুন!” (সমূহ" পৃঃ ৬৭ ) । লর্ড রেডিং ও কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটি লর্ড রেডিংকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য কলিকাতার মেয়র হাওড়া ষ্টেশনে হাজির থাকিবেন কি না, তৎসম্বন্ধে