পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমৃ শিবম্ সুন্দরম্” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ 8 i하 ২য় খণ্ড కాTTE, S<><ంకS ৪র্থ সংখ্যা পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি ৩ অক্টোবর এখনো স্বধ্য ওঠেনি। আলোকের অবতরণিক পূৰ্ব্ব আকাশে । জল স্থির হয়ে আছে সিংহবাহিনীর পায়ের তলাকার সিংহের মত। স্বর্ধ্যোদয়ের এই আগমনীর মধ্যে মজে গিয়ে আমার মুখে হঠাৎ ছন্দে-গাথা এই কথাটা আপনিই ভেসে উঠল ঃ হে ধরণী, কেন প্রতিদিন তৃপ্তিহান একই লিপি পড়ে বারে বারে ? বুঝতে পারলুম, আমার কোনো একটি আগম্ভক কবিতা মনের মধ্যে এসে পৌছবার আগেই তার ধুয়োটা এসে পৌচেছে। এইরকমের ধুয়ো অনেক সময়ে উড়ো বীজের মত মনে এসে পড়ে, কিন্তু সব সময়ে তাকে এমন স্পষ্ট করে দেখতে পাওয়া যায় না । সমুদ্রের দূর তীরে যে-ধরণী আপনার নানা-রঙা আঁচলখনি বিছিয়ে দিয়ে পূবের দিকে মুখ করে একলা বসে আছে, ছবির মত দেখতে পেলুম তার কোলের উপর একখানি চিঠি পড়ল থলে’, কোন উপরের থেকে । সেই চিঠিখানি বুকের কাছে তুলে ধরে সে একমনে পড়তে বসে গেল ; তাল-তমালের নিৰিড় বনচ্ছায়া পিছনে রইল এলিয়ে, হয়ে-পড়া মাথার থেকে ছড়িয়ে-পড়া এলোচুল । আমার কবিতার ধুয়ে বলচে, প্রতিদিন সেই একই চিঠি । সেই একখানির বেশি আর দরকার নেই ; সেই শুর যথেষ্ট । সে এত বড়, তাই সে এত সরল। সেই একখানিতেই সব আকাশ এমন সহজে ভরে গেছে । ধরণী পাঠ করচে কত যুগ থেকে। সেই পাঠ-করাটা আমি মনে মনে চেয়ে দেখচি। স্বরলোকের বাণী পৃথিবীর বুকের ভিতর দিয়ে কণ্ঠের ভিতর দিয়ে, রূপে রূপে বিচিত্র হয়ে উঠল । বনে বনে হ’ল গাছ, ফুলে ফুলে হ’ল গন্ধ, প্রাণে প্রাণে হ’ল নিঃশ্বসিত । একটি চিঠির সেই একটি মাত্র কথা,-সেই আলো । সেই স্বন্দর, সেই ভীষণ ; সেই হাসির ঝিলিকে ঝিকিমিকি, সেই কারার কাপনে ছলছল ।