পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩১ ।। २४= ख्गं, २्च शु দূর হতে আলোকের বরমাল্য এসে খসিয়া পড়িল তব কেশে, স্পর্শে তারি কভু হাসি কভু অশ্রুজলে উৎকণ্ঠিত আকাঙ্ক্ষায় বক্ষতলে ওঠে যে ক্ৰন্দন, মোর ছন্দে চিরদিন দোলে যেন তাহারি স্পন্দন। স্বৰ্গ হ’তে মিলনের মুধা মর্ত্যের বিচ্ছেদ-পাত্রে সঙ্গোপনে রেখেছ, বস্থধা ; তা’রি লাগি নিত্যক্ষুধা, বিরহিণী আয়ি, মোর মুরে হোক জ্বালাময়ী ॥ ৫ অক্টোবর মামুষের আয়ুতে য’টের কোঠা অস্ত দিগন্তর দিকে হেলে-পড়া । অর্থাৎ উদয়ের দিগস্থটা এই সময়ে সামনে এসে পড়ে, পূৰ্ব্বে-পশ্চিমে মুখোমুখি হয়। জীবনের মাঝ-মহলে, যে কালটাকে বলে পরিণত বয়স, সেই সময়ে, অনেক বড় বড় সঙ্কল্প, অনেক কঠিন সাধনা, অনেক মন্ত লাভ, অনেক মস্ত লোকসান এসে জমেছিল । সব জড়িয়ে ভেবেচি এইবার আসা গেল পাক-পরিচয়ের কিনারাটাতে । সেই সময়ে কেউ যদি হঠাৎ এসে জিজ্ঞাসা কবুত, “তোমার বয়স কত ?” তা হ’লে আমার গোড়ার দিকের ৩৬টা বছর সরিয়ে রেখে বলতুম, আমি হচ্চি বাকিটুকু। অর্থাৎ আমার বয়স হচ্চে কুষ্টির শেষদিকের সাতাশ। এই পাক৷ সাতাশের রকম-সকম দেখে গষ্ঠীর লোকে খুলি হ’ল । তারা কেউ বললে নেতা হও, কেউ বললে সভাপতি হও, কেউ বললে উপদেশ দাও। আবার কেউ বা বললে, দেশটাকে মাটি করতে বসেচ। অর্থাৎ স্বীকার করলে দেশটাকে মাটি করে দেবার মত অসামান্ত ক্ষমতা আমার আছে । এমন সময়ে যাটে পড়লুম। একদিন বিকেল বেলায় সাম্নের বাড়ির ছাতে দেখি দশ-বারো বছরের একটি ছেলে খালি গায়ে যা-খুলি করে বেড়াচ্চে । ঠিক সেই সময়ে চা খেতে-খেতে একটা জরুরি কথা ভাবচি। ভাবনাটা একদমে এক লাইন থেকে আর-এক লাইনে চলে গেল। হঠাৎ নিতান্ত এই একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা মনে উঠ ল, যে, ঐ ছেলেটা এই অপরাহ্লের আকাশের সঙ্গে একেবারে সম্পূর্ণ মিশ গেয়ে গেছে ; কোনো একটা অন্যমনস্কতার ঠেলায় বিশ্ব-পৃথিবীর সঙ্গে ওর জোড় ভেঙে যায়নি। সমস্ত দিগ দিগন্তরকে ঐ ছেলে তার সর্বাঙ্গ দিয়ে পেয়েচে, দিগম্বর শিবের মত। কিসে যেন একটা ধাক্কা দিয়ে আমাকে মনে করিয়ে দিলে যে, অমনি করে’ই নগ্ন হয়ে সমস্তর মধ্যে মগ্ন হয়ে নিখিলের আঙিনায়. আমিও একদিন এসে দাড়িয়েছিলুম। মনে হ’ল, সেটা কম কথা নয়। অর্থাৎ আজো যদি বিশ্বের স্পর্শ প্রত্যক্ষ প্রাণের মধ্যে তেমূনি করে এসে লাগত, তা হ’লে ঠকতুম না। তা হলে আমার জীবন-ইতিহাসের মধ্য-যুগে অকালে যুগান্তর অবতারণার যে-সব আয়োজন করা গেছে, তার ভার আমার চেয়ে যোগ্যতর লোকের হাতেই পড়ত, আর বাদশাই কুড়ের সিংহাসনটা আমি স্থায়ীরূপে দখল করে বসবার সময় পেতুম। সেই কুড়েমির ঐশ্বধ্য আমি ষে একলা ভোগ করতুম তা নয়, এই রসের রসিক যারা তাদের জন্তে ভাণ্ডারের দ্বার খুলে দিয়ে বলা যেত, পীয়তাং ভূজ্যতাম্। চায়ের পাত্রটা ভুলে গিয়ে ভাবতে লাগলুম, যেপুলকটাতে আজ মন আবিষ্ট হয়েচে সেটার কথা সবাইকে বুঝিয়ে বলি কি করে’ ? বয়স যখন ৩৬-এর নীচে