পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8లిS) 台 প্রবাসী—মাঘ, ১৩৪১ [ २8* छांभ, २घ्र थ७ ভোর বেলায় শুকতারার মত, প্রভাত না হ’তেই অন্ত গেল। মধ্যাহ্নে মনে হ’ল তারা তুচ্ছ, বোধ হ’ল তাদের ভুলে"ই গেছি। তার পরে সন্ধ্যার অন্ধকারে যখন নক্ষত্ৰলোক সমস্ত আকাশ জুড়ে’ আমার মুখের দিকে চাইল তখন জানলুম সেই ক্ষণিক ত ক্ষণিক নয়, তারাই চিরকালের ; ভোরের স্বপ্নে বা সন্ধ্যাবেলার স্বপ্নাবেশে জানতে না জানতে তা’র যার কপালে একটুখানি আলোর টিপ পরিয়ে দিয়ে যায় তাদের সৌভাগ্যের সীমা নেই। "তাই মন বলচে, একদিন যারা ছোট হয়ে এসেছিল আজ আমি যেন ছোট হয়ে তাদের কাছে আর একবার যাবার অধিকার পাই ; যারা ক্ষণকালের ভাণ করে’ এসেছিল, বিদায় নেবার দিনে আর একবার যেন তা’র আমাকে বলে, “তোমাকে চিনেচি", আমি যেন বলি, “তোমাদের চিনলুম।” ৬ অক্টোবর খোলো, খোলো,হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা,— খুজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা । কবে সে যে এসেছিল আমার হৃদয়ে যুগান্তরে, গোধূলি-বেলার পাস্থ জনশূন্ত এ মোর প্রাস্তরে, লয়ে’ তার ভীরু দীপশিখা ৷ দিগন্তের কোন পারে চলে গেল আমার ক্ষণিক ॥ ভেবেছিন্ন গেছি ভুলে ; ভেবেছিন্ন পদচিহ্নগুলি পদে পদে মুছে নিল সৰ্ব্বনাশী অবিশ্বাসী ধূলি। আজ দেখি সেদিনের সেই ক্ষীণ পদধ্বনি তা’র আমার গানের ছন্দ গোপনে করেছে অধিকার ; দেখি তারি অদৃশ্য অঙ্গুলি স্বপ্নে অশ্রু-সরোবরে ক্ষণে ক্ষণে দেয় ঢেউ তুলি’ ৷ বিরহের দূতী এসে তার সে স্তিমিত দীপখানি চিত্তের অজানা কক্ষে কখন রাখিয়া দিল আনি । সেখানে যে বীণা আছে অকস্মাৎ একটি আঘাতে মুহূৰ্ত্ত বাজিয়াছিল ; তার পরে শব্দহীন রাতে। বেদনা-পদ্মের বীণাপাণি সন্ধান করিছে সেই অন্ধকারে-থেমে-যাওয়া বাণী ॥ সেদিন ঢেকেছে তা’রে কি এক ছায়ার সঙ্কোচন, নিজের অধৈৰ্য্য দিয়ে পারেনি তা করিতে মোচন। তার সেই ত্রস্ত অাখি, সুনিবিড় তিমিরের তলে যে-রহস্ত নিয়ে চলে গেল, নিত্য তাই পলে পলে মনে মনে করি যে লুণ্ঠন। চিরকাল স্বপ্নে মোর খুলি তা’র সে অবগুণ্ঠন ৷